০২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Although not, the greatest victories into the Playtech’s community provides happened into the most other popular online slots Together with, the latest promise of future discount password products adds an element of expectation to have what exactly is ahead Slots be noticeable due to their vibrant image and enjoyable templates কুবিতে ‘ডাটা গভর্নেন্স অ্যান্ড ইন্টারঅপারেবিলিটি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৮৬ লাখ টাকার ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে আটক দেবিদ্বারে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে ‘ক্লিনিং ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন Free Gambling Enterprise Games for Enjoyable: A Total Guide চৌদ্দগ্রামে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী: পল্লী চিকিৎসক ইয়াছিন আটক কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কিতে জামাতার লাশ; স্ত্রী, দুই পুত্র ও দুই শ্যালক আটক কুমিল্লায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ মাজারে হামলা ভাঙচুর আগুন

বরুড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

  • তারিখ : ০৪:২৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • 7

বরুড়া প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার বরুড়ায় ঐতিহাসিক আজ ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বরুড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বরুড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বরুড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ এন এম মইনুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুস সাত্তার সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন আজ ৭ ডিসেম্বর কুমিল্লার বরুড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে বরুড়া মুক্ত হয়। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধ আর নির্যাতনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীসহ সর্বস্তরের জনগণের উল্লাস ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠে, মুক্ত হয় বরুড়া। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সাড়াশী আক্রমণে পাক সেনারা তাদের ক্যাম্প গুটিয়ে বরুড়া ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। রাতের মধ্যে অবস্থানরত পাক সেনাদের সঙ্গে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে পাকসেনাদের প্রধান ঘাঁটি পতনের মধ্য দিয়ে পরদিন ৭ ডিসেম্বর বরুড়া পাক সেনা মুক্ত হয়।

এদিন ভোরে মুক্তিসেনারা বরুড়ার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে আনন্দ উল্লাস করে কুমিল্লা শহরে প্রবেশ করে। স্থানীয় জনসাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বরণ করে নেয়। পরে এদিন বিকেলে বরুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্রবাহিনী ও জনতার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা। এসময় আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার যুদ্ধ কালিন সময়ে বিভিন্ন ঘটনা স্মৃতিচারণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিকভাবে ইতিহাস তরুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আহবান করেন।

error: Content is protected !!

বরুড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

তারিখ : ০৪:২৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

বরুড়া প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার বরুড়ায় ঐতিহাসিক আজ ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বরুড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বরুড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বরুড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ এন এম মইনুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুস সাত্তার সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন আজ ৭ ডিসেম্বর কুমিল্লার বরুড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে বরুড়া মুক্ত হয়। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধ আর নির্যাতনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীসহ সর্বস্তরের জনগণের উল্লাস ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠে, মুক্ত হয় বরুড়া। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সাড়াশী আক্রমণে পাক সেনারা তাদের ক্যাম্প গুটিয়ে বরুড়া ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। রাতের মধ্যে অবস্থানরত পাক সেনাদের সঙ্গে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে পাকসেনাদের প্রধান ঘাঁটি পতনের মধ্য দিয়ে পরদিন ৭ ডিসেম্বর বরুড়া পাক সেনা মুক্ত হয়।

এদিন ভোরে মুক্তিসেনারা বরুড়ার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে আনন্দ উল্লাস করে কুমিল্লা শহরে প্রবেশ করে। স্থানীয় জনসাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বরণ করে নেয়। পরে এদিন বিকেলে বরুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্রবাহিনী ও জনতার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা। এসময় আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার যুদ্ধ কালিন সময়ে বিভিন্ন ঘটনা স্মৃতিচারণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিকভাবে ইতিহাস তরুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আহবান করেন।