নেকবর হোসেন।।
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নাম পরিবর্তন করে ‘কুমিল্লা’ নামেই বিভাগ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু। তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মেঘনা নামে কুমিল্লা বিভাগ করা হচ্ছে। কিন্তু বৃহত্তর কুমিল্লার মানুষের প্রাণের দাবি ‘কুমিল্লা’ নামে বিভাগ। আমরাও সবসময় কুমিল্লা নামেই বিভাগ চেয়েছি। তাই বিএনপি যদি আগামীতে ক্ষমতায় আসে- মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে ‘মেঘনা’ নাম পরিবর্তন ‘কুমিল্লা’ নামেই বিভাগ করা হবে।
বুধবার বিকেলে কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১০ শর্তে বিএনপিকে এখানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
১০ শর্তে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া প্রসঙ্গে বরকত উল্লা বুলু বলেন, বিএনপি একটি সাংগঠনিক দল। দেশের অন্যতম বড় এ দলটি সমাবেশ করতে কোথাও শর্ত মানতে হবে তা আমরা মনে করি না। আমরা সমাবেশের অনুমতি পেয়েছি এটাই যথেষ্ট, এসব শর্তের বিষয়ে আমাদেরকে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না।
তিনি বলেন, কুমিল্লার বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ। এই সরকারের পতনের জন্য মানুষ মুখিয়ে আছে। শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষও স্বতস্ফূর্তভাবে ২৬ নভেম্বরের গণসমাবেশে অংশ নিবে। লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে কুমিল্লা।
এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, মহানগর বিএনপি নেতা কাউসার জামান বাপ্পী, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মোরতাজুল করিম বাদরু, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহবায়ক উদবাতুল বারী আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মঞ্চ নির্মাণ কাজে বাধা:
কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশকে সামনে রেখে নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু করলে পুলিশ এসে তা থামিয়ে দেয়। বুধবার বিকেলে বিএনপির নেতৃবৃন্দ যখন সমাবেশস্থলের কর্মযজ্ঞ দেখতে সেখানে উপস্থিত হন, তার কিছুক্ষণ পরেই কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোর্শেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নির্মাণ কাজ কাজ থামিয়ে দেন।
পুলিশ বলেছে, যেহেতু মাঠে বইমেলা চলছে, তাই বরাদ্দের সময়েই নির্মাণকাজ শুরু করতে হবে। পরে মঞ্চে যে পাটাতন দেওয়া হচ্ছিল তা সরিয়ে নিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়।
ওসি মোর্শেদ জানান, যেহেতু পাশেই একটি সরকারি প্রোগ্রাম চলছে, তাই তাদেরকে নির্ধারিত সময়েই কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page