০৭:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে চান্দিনা-বাগুর বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ‘সায়েন্স, স্পিরিচুয়ালিটি অ্যান্ড স্যাংকটিটি’ কনফারেন্স বাঙ্গরায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত অফিসের শুভ উদ্বোধন চান্দিনায় সবুজ গাছের চারা হাতে নিয়ে মাদককে লাল কার্ড দেখালো শিক্ষার্থীরা সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ; ১৫৩ জনের মধ্যে ১৩৮ জন ফেল; পাসের হার মাত্র ৯.৮০% কুমিল্লা বোর্ডের ৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কেউ কুমিল্লায় খেলতে বের হয়ে পানিতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু টানা ১৪ বছর কুমিল্লা বোর্ডসেরা সোনার বাংলা কলেজ; শতভাগ পাস, ১৪৮ জন জিপিএ-৫ জিপিএ-৫ পেল কুমিল্লা সোনার বাংলা কলেজের পায়েল ইসলাম; ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন না হলে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধের হুমকি প্রবাসীদের

বুড়িচংয়ে হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

  • তারিখ : ১০:৩৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
  • 31

কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার খাড়াতাইয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার তিন তলার ছাদ থেকে গলায় ফাঁস অবস্থায় জয়নাল আবেদীন জয় নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে (৩ অক্টোবর ২০২৩) মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায়।জয়নাল আবেদীন জয় মাদ্রাসাটিতে নাজেরা বিভাগের ছাত্র ছিল।মৃত্যুর আগে পবিত্র কোরআন শরিফের পাঁচ পাড়া হেফজ হয়েছিল তার।

নিহত মাদ্রাসার ছাত্র খাড়াতাইয়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি আনোয়ার হোসেনের ছেলে।স্থানীয়রা জানায় ছাত্র জয়নাল আবেদীন জয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ এটিকে দুর্ঘটনা বললেও তা মানতে নারাজ নিহতের বাবা আনোয়ার হোসেন ও মা ঝরনা আক্তার।

মাদ্রসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ রবিউল হাসান জানান, ওই দিন সকাল ১০টায় মাদ্রসার সকল শিক্ষার্থীকে খাবার খাওয়ানোর পর সবার সাথে ঘুমাতে যায় জয়নাল আবেদীন জয়। সহপাঠীদের ফাঁকি দিয়ে ছাদে উঠে কাপড় পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এর আগের দিন তার মা ঝরনা আক্তার মারধর করে হাসপাতালে দিয়ে যায়। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা আমরা বলতে পারিনি। মাদ্রসার ছাত্র আলী আকবর প্রথমে ছাদে গিয়ে তাকে ফাঁস অবস্থায় দেখতে পায়। এই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক রবিউল হাসান, সহকারী শিক্ষক হাফেজ মোঃ হামজাদ, হাফেজ মোঃ হেলাল হোসেনের দাবী ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। ওই ছাত্রকে আমাদের নিজ সন্তানের মতোই দেখিতাম।

ঘটনার খবর শুনে বুড়িচং থানার পুলিশ এস আই মিঠুন ও সঙ্গীয় ফোর্স মাদ্রাসায় গিয়ে জয়নাল আবেদীন জয়কে দেখতে না পেরে হাসপাতালে যায়, সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত জয়ের বাবা আনোয়ার হোসেন ও মা ঝরনা আক্তার বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষকরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। মৃত্যুর আসল ঘটনা তারা লুকানো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মৃত্যুর কারণ সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক বিচার চাই।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার আব্দুল লতিফ ও সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সোলায়মান জানান, আমরা বিষয়টি শুনে মাদ্রাসায় গিয়ে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষকদের অবেহেলা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপরে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।

এই ব্যাপারে বুড়িচং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, বুড়িচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে মূল ঘটনা বের করার চেষ্টা করছি। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত আরও তথ্য জানা যাবে।

error: Content is protected !!

বুড়িচংয়ে হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

তারিখ : ১০:৩৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার খাড়াতাইয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার তিন তলার ছাদ থেকে গলায় ফাঁস অবস্থায় জয়নাল আবেদীন জয় নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে (৩ অক্টোবর ২০২৩) মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায়।জয়নাল আবেদীন জয় মাদ্রাসাটিতে নাজেরা বিভাগের ছাত্র ছিল।মৃত্যুর আগে পবিত্র কোরআন শরিফের পাঁচ পাড়া হেফজ হয়েছিল তার।

নিহত মাদ্রাসার ছাত্র খাড়াতাইয়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি আনোয়ার হোসেনের ছেলে।স্থানীয়রা জানায় ছাত্র জয়নাল আবেদীন জয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ এটিকে দুর্ঘটনা বললেও তা মানতে নারাজ নিহতের বাবা আনোয়ার হোসেন ও মা ঝরনা আক্তার।

মাদ্রসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ রবিউল হাসান জানান, ওই দিন সকাল ১০টায় মাদ্রসার সকল শিক্ষার্থীকে খাবার খাওয়ানোর পর সবার সাথে ঘুমাতে যায় জয়নাল আবেদীন জয়। সহপাঠীদের ফাঁকি দিয়ে ছাদে উঠে কাপড় পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এর আগের দিন তার মা ঝরনা আক্তার মারধর করে হাসপাতালে দিয়ে যায়। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা আমরা বলতে পারিনি। মাদ্রসার ছাত্র আলী আকবর প্রথমে ছাদে গিয়ে তাকে ফাঁস অবস্থায় দেখতে পায়। এই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক রবিউল হাসান, সহকারী শিক্ষক হাফেজ মোঃ হামজাদ, হাফেজ মোঃ হেলাল হোসেনের দাবী ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। ওই ছাত্রকে আমাদের নিজ সন্তানের মতোই দেখিতাম।

ঘটনার খবর শুনে বুড়িচং থানার পুলিশ এস আই মিঠুন ও সঙ্গীয় ফোর্স মাদ্রাসায় গিয়ে জয়নাল আবেদীন জয়কে দেখতে না পেরে হাসপাতালে যায়, সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত জয়ের বাবা আনোয়ার হোসেন ও মা ঝরনা আক্তার বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষকরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। মৃত্যুর আসল ঘটনা তারা লুকানো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মৃত্যুর কারণ সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক বিচার চাই।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার আব্দুল লতিফ ও সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সোলায়মান জানান, আমরা বিষয়টি শুনে মাদ্রাসায় গিয়ে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষকদের অবেহেলা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপরে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।

এই ব্যাপারে বুড়িচং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, বুড়িচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে মূল ঘটনা বের করার চেষ্টা করছি। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত আরও তথ্য জানা যাবে।