০২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রী কলেজের রুবি জয়ন্তী উপলক্ষে ৯৭ ব্যাচের আলোচনা ও রেজিস্ট্রেশন দেবিদ্বারে সাড়ে তিন বছরের শিশুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত চৌদ্দগ্রামে কাশিনগর ইউনিয়ন দক্ষিণ ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়া যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা কুমিল্লার লাভলী আক্তারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান কক্সবাজারের আনন্দযাত্রা সড়কেই শেষ, কুমিল্লার একই পরিবারের ৫ জন নিহত ক্যান্সার আক্রান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রভা বাঁচতে চায় মুরাদনগরে শিশু আদিবা হত্যার ঘটনায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার কুবিতে রোটারেক্ট ক্লাবের উদ্যোগে ‘স্টাডি অ্যাবরোড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

মুরাদনগরে খাল দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা স্থাপনা

  • তারিখ : ১০:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 69

মনির খাঁন।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সরকারি খাল দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাক্তি মালিককে খালের উপর স্থাপনা নির্মানে প্রশাসনের অনুমতি থাকায় স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার (খুব)তৈরী হয়েছে।

তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে কোন ব্যাক্তি স্বার্থে নয়, স্থানীয়দের যাতায়তের সুবিধার্থে নিজস্ব অর্থায়নে কালভার্ট নির্মানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের গোলক রায়ের বাড়ীর সংলগ্নে মুরাদনগর-হোমনা সড়কের সাথে ১নং খাস ক্ষতিয়ানের ৯৬৪৩ নং দাগের একটি সরকারি খাল রয়েছে। সেই খালের চারি দিকে টিনের বেষ্টনী নির্মাণ করে খালটি ভরাট করে নামে মাত্র প্রায় ৫০ ফুট লম্বা খালের অংশ দখল করে ড্রেন নির্মান করছেন প্রণবেশ রায় নামের এক ব্যাক্তি।

তবে তাঁর দাবি যাতায়তের জন্য উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই আমরা খালের উপর ড্রেন নির্মাণ করছি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি সরকারি খাল। একসময় প্রবহমানও ছিল। তবে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আর দখলদকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ব্যবস্থা নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ঠরা। একটু বৃষ্টি হলেরই মাস্টার পাড়া এলাকার প্রায় সহস্রাধীক পরিবার পানি বন্দি হয়ে থাকতে হয়। খালের এই অংশটিও যদি দখলদারদের দখলে চলে যায় তখন মাস্টার পাড়া এলাকাটি স্থায়ী জলাবদ্ধতার তৈরী হবে।

প্রণবেশ রায় দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটি সরকারি খাল, আমরা কেন খাল দখল করব! বাড়িতে যাতায়তের সুবিধার্থে আমরা উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই খালের উপর ড্রেন নির্মাণ করছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনী বলেন, ওই এলাকায় খালের উপর দিয়ে একটি সড়ক রয়েছে। যা সরকারি আইডি ভূক্ত নয়। জনস্বার্থে চলাচলের সুবিধার্থে ওই সড়কটি দিয়ে যাতায়তের জন্য কিছু শর্থ সাপেক্ষে নিজস্ব অর্থায়নে খালের ওপরে কালভার্ট নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হয়। কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থে খাল দখল করে ড্রেন নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হয়নি। তিনি আরো বলেন ব্যক্তি স্বার্থে খাল দখল করে ড্রেন নির্মাণের বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখে খালের উপরে চারি পাশের টিনের বেষ্টনী খুলে ফেলা ও ড্রেন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী রায়হান চৌধুরী বলেন জনস্বার্থে সরকারি খালের উপরে কালভার্ট নির্মাণের অনুমতি প্রদান করি। আমাদের শর্তের বাইরে ব্যক্তি স্বার্থে ড্রেন নির্মাণ করলে সরে জমিনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

error: Content is protected !!

মুরাদনগরে খাল দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা স্থাপনা

তারিখ : ১০:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মনির খাঁন।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সরকারি খাল দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাক্তি মালিককে খালের উপর স্থাপনা নির্মানে প্রশাসনের অনুমতি থাকায় স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার (খুব)তৈরী হয়েছে।

তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে কোন ব্যাক্তি স্বার্থে নয়, স্থানীয়দের যাতায়তের সুবিধার্থে নিজস্ব অর্থায়নে কালভার্ট নির্মানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের গোলক রায়ের বাড়ীর সংলগ্নে মুরাদনগর-হোমনা সড়কের সাথে ১নং খাস ক্ষতিয়ানের ৯৬৪৩ নং দাগের একটি সরকারি খাল রয়েছে। সেই খালের চারি দিকে টিনের বেষ্টনী নির্মাণ করে খালটি ভরাট করে নামে মাত্র প্রায় ৫০ ফুট লম্বা খালের অংশ দখল করে ড্রেন নির্মান করছেন প্রণবেশ রায় নামের এক ব্যাক্তি।

তবে তাঁর দাবি যাতায়তের জন্য উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই আমরা খালের উপর ড্রেন নির্মাণ করছি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি সরকারি খাল। একসময় প্রবহমানও ছিল। তবে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আর দখলদকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ব্যবস্থা নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ঠরা। একটু বৃষ্টি হলেরই মাস্টার পাড়া এলাকার প্রায় সহস্রাধীক পরিবার পানি বন্দি হয়ে থাকতে হয়। খালের এই অংশটিও যদি দখলদারদের দখলে চলে যায় তখন মাস্টার পাড়া এলাকাটি স্থায়ী জলাবদ্ধতার তৈরী হবে।

প্রণবেশ রায় দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটি সরকারি খাল, আমরা কেন খাল দখল করব! বাড়িতে যাতায়তের সুবিধার্থে আমরা উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই খালের উপর ড্রেন নির্মাণ করছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনী বলেন, ওই এলাকায় খালের উপর দিয়ে একটি সড়ক রয়েছে। যা সরকারি আইডি ভূক্ত নয়। জনস্বার্থে চলাচলের সুবিধার্থে ওই সড়কটি দিয়ে যাতায়তের জন্য কিছু শর্থ সাপেক্ষে নিজস্ব অর্থায়নে খালের ওপরে কালভার্ট নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হয়। কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থে খাল দখল করে ড্রেন নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হয়নি। তিনি আরো বলেন ব্যক্তি স্বার্থে খাল দখল করে ড্রেন নির্মাণের বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখে খালের উপরে চারি পাশের টিনের বেষ্টনী খুলে ফেলা ও ড্রেন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী রায়হান চৌধুরী বলেন জনস্বার্থে সরকারি খালের উপরে কালভার্ট নির্মাণের অনুমতি প্রদান করি। আমাদের শর্তের বাইরে ব্যক্তি স্বার্থে ড্রেন নির্মাণ করলে সরে জমিনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।