০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় চুরির অভিযোগে যুবককে কুকুর লেলিয়ে অমানবিক নির্যাতন, ৩ জন আটক কুমিল্লায় স্বামীর নিষেধে বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে না দেওয়ায় স্ত্রীর গলায় ফাঁস দেবিদ্বারে মন্দিরের রাস্তা নিয়ে মানববন্ধন, বিএনপি নেতার হস্তক্ষেপে সমাধান রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা দাবীতে দেবিদ্বারে বিএনপির লিফলেট বিতরণ কুমিল্লা মাঠে বসুন্ধরা কিংসের দাপুটে জয়, মোহামেডানের হতাশার সূচনা নুরে আলম-মোক্তারের নেতৃত্বে কুবির শরীয়তপুর স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন “পিআর আর সংস্কার চাই” স্লোগানে কুমিল্লায় জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ কুমিল্লা জেলা মুয়াল্লিম ও হাজী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন জহিরুল-মুনতাছিরের নেতৃত্বে কুবির নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ কুমিল্লায় ৪ মাজারে হামলা ও আগুন; দুই হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লায় অভাবের তাড়নায় দুই মেয়েকে বিষ খাইয়ে নিজেও খেলেন বাবা; দুই মেয়ের মৃত্যু

  • তারিখ : ১২:০৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫
  • 73

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলাযর তুলাকান্দিতে দুই বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে কীটনাশক খাইয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মনু মিয়া নামের বাক প্রতিবন্ধী এক বাবা। বিষক্রিয়ায় দুই মেয়ের মৃত্যু হলেও, বেঁচে আছেন বাবা। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়ার পর স্থানীয় অন্য একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সোমবার (৯ জুন) সকালে তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বাক প্রতিবন্ধী দুই মেয়ে মনিরার বয়স ১০ বছর এবং ফাতিহার বয়স ৬ বছর। ঘটনার সময়ে তাদের মা হাসিনা বেগম রান্নাঘরে নাস্তা তৈরী করছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ওসি মোঃ শহিদ উল্লাহ জানান, বাবা মনু মিয়া এবং মেয়ে মনিরা ও ফাতিহা তিনজনই প্রতিবন্ধী। প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরিবারের অসচ্ছলতা থেকে এবং বাক প্রতিবন্ধী কথার কারণেই বাবা দুই মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। দুই মেয়ে মারা গেছেন। বাবাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শরীরে ইনফেকশন হওয়ায় মনু মিয়া দীর্ঘদিন বেকার। তাছাড়া মনু মিয়া ও তার দুই মেয়ে তিনজনেই বাক প্রতিবন্ধী। শারীরিক অবস্থা, দারিদ্রতা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে তার ভেতরে হতাশা কাজ করছিল। এসব কারণে এই ঘটনাও হয়ে থাকতে পারে। হতাশা থেকেই মনু মিয়া নিজেও বিষপান করেছে এবং মেয়ে দুটিকেও বিষ পান করিয়েছে। তাদের কোন পারিবারিক কলহ ছিল না বলেই জানা গেছে।

তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ সরফরাজ হোসেন খান জানান, সকাল আটটায় মনু মিয়া এবং তার দুই মেয়েকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নিয়ে আসা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মনিরা ও ফাতিহার মৃত্যু হয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় অভাবের তাড়নায় দুই মেয়েকে বিষ খাইয়ে নিজেও খেলেন বাবা; দুই মেয়ের মৃত্যু

তারিখ : ১২:০৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলাযর তুলাকান্দিতে দুই বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে কীটনাশক খাইয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মনু মিয়া নামের বাক প্রতিবন্ধী এক বাবা। বিষক্রিয়ায় দুই মেয়ের মৃত্যু হলেও, বেঁচে আছেন বাবা। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়ার পর স্থানীয় অন্য একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সোমবার (৯ জুন) সকালে তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বাক প্রতিবন্ধী দুই মেয়ে মনিরার বয়স ১০ বছর এবং ফাতিহার বয়স ৬ বছর। ঘটনার সময়ে তাদের মা হাসিনা বেগম রান্নাঘরে নাস্তা তৈরী করছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ওসি মোঃ শহিদ উল্লাহ জানান, বাবা মনু মিয়া এবং মেয়ে মনিরা ও ফাতিহা তিনজনই প্রতিবন্ধী। প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরিবারের অসচ্ছলতা থেকে এবং বাক প্রতিবন্ধী কথার কারণেই বাবা দুই মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। দুই মেয়ে মারা গেছেন। বাবাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শরীরে ইনফেকশন হওয়ায় মনু মিয়া দীর্ঘদিন বেকার। তাছাড়া মনু মিয়া ও তার দুই মেয়ে তিনজনেই বাক প্রতিবন্ধী। শারীরিক অবস্থা, দারিদ্রতা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে তার ভেতরে হতাশা কাজ করছিল। এসব কারণে এই ঘটনাও হয়ে থাকতে পারে। হতাশা থেকেই মনু মিয়া নিজেও বিষপান করেছে এবং মেয়ে দুটিকেও বিষ পান করিয়েছে। তাদের কোন পারিবারিক কলহ ছিল না বলেই জানা গেছে।

তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ সরফরাজ হোসেন খান জানান, সকাল আটটায় মনু মিয়া এবং তার দুই মেয়েকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নিয়ে আসা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মনিরা ও ফাতিহার মৃত্যু হয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।