১০:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার মা–মেয়ে হত্যাকাণ্ড; প্রশ্নের ভিতরে কিছু প্রশ্ন! কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে হালচাষের ট্রাক্টর উল্টে কিশোর নিহত কুমিল্লায় ধর্ষণের বাধা দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ও মাকে খুন; মূলহোতা মোবারক গ্রেফতার পাশাপাশি দাফন করা হলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেয়ে ও তার মাকে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ফকির বাজার আনন্দ আইডিয়া ইসলামিক স্কুলে মিলাদ ও পুরস্কার বিতরণ কুমিল্লার দেবিদ্বারে মাদক কেলেঙ্কারিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বহিষ্কার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তার মা হত্যায় ক্লাস স্থগিত ঘোষণা কুমিল্লায় মা-মেয়ে খুন, সিসিটিভি ফুটেজে রহস্যজনক ব্যক্তির প্রবেশ-প্রস্থান ব্রাহ্মণপাড়ায় বিশুদ্ধ পানির নামে অস্বাস্থ্যকর পানি বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

কুমিল্লায় গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

  • তারিখ : ০৩:৩৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
  • 12

চান্দিনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় যুবলীগ নেতা তানভীর আহমেদ ভূঁইয়াকে (৩২) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের এক ব্যক্তির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

যে ব্যক্তির বাড়ি থেকে তানভীর আহমেদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই ব্যক্তির স্ত্রী অভিযোগ করেন, গতকাল মঙ্গলবার রাত দুইটায় তানভীর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর স্বামীর সঙ্গে তানভীরের ধস্তাধস্তি ও মারমারির ঘটনা ঘটে। তাঁর স্বামী তানভীরকে মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি মারা যান।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে বুধবার সকালে গিয়ে তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল যেখানে, সেই এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। এরপরও এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় কেউ কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। তবে তানভীরের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

নিহত তানভীর আহমেদ ভূঁইয়া বাড়েরা ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের বাবুল ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বাড়েরা ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামীকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে তানভীরের মা নিলুফা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওই নারী যা বলছেন, তা মোটেও সত্য নয়। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

এ বিষয়ে বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, হত্যাকাণ্ডটি সন্দেহজনক। এ নিয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলছেন না।’

এ বিষয়ে চান্দিনা থানার এসআই সুজন দত্ত বলেন, নিহত তানভীরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, সেই বিষয়ে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূর স্বামীকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

তারিখ : ০৩:৩৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

চান্দিনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় যুবলীগ নেতা তানভীর আহমেদ ভূঁইয়াকে (৩২) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের এক ব্যক্তির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

যে ব্যক্তির বাড়ি থেকে তানভীর আহমেদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই ব্যক্তির স্ত্রী অভিযোগ করেন, গতকাল মঙ্গলবার রাত দুইটায় তানভীর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর স্বামীর সঙ্গে তানভীরের ধস্তাধস্তি ও মারমারির ঘটনা ঘটে। তাঁর স্বামী তানভীরকে মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি মারা যান।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে বুধবার সকালে গিয়ে তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল যেখানে, সেই এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। এরপরও এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় কেউ কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। তবে তানভীরের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

নিহত তানভীর আহমেদ ভূঁইয়া বাড়েরা ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের বাবুল ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বাড়েরা ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামীকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে তানভীরের মা নিলুফা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওই নারী যা বলছেন, তা মোটেও সত্য নয়। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

এ বিষয়ে বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, হত্যাকাণ্ডটি সন্দেহজনক। এ নিয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলছেন না।’

এ বিষয়ে চান্দিনা থানার এসআই সুজন দত্ত বলেন, নিহত তানভীরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, সেই বিষয়ে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূর স্বামীকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।