১০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ কুমিল্লা নগরীর কাঁটাবিলে জোরপূর্বক প্রবাসীর জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার উন্নয়ন ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে সদর আসনের প্রার্থী রিয়াদের সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু কুমিল্লায় ভেজাল জুস ও যৌন উত্তেজক পণ্য কারখানায় অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লা লাকসাম (মুদাফ্ফরগঞ্জ) ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক উপজেলা কমিটি গঠিত কুমিল্লায় জুলাই মাসে ১১টি হত্যা, ধর্ষণের মামলার ৮টি কুমিল্লায় ৩৩ বছরের ইমামত শেষে রাজকীয় বিদায়; কাঁদলেন এলাকাবাসী সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার মুরাদনগরে মানববন্ধন

কুমিল্লায় নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

  • তারিখ : ০১:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
  • 263

জহিরুল হক বাবু

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আলাউদ্দিনকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি শেখ ফরিদ (৪৫) অবশেষে ধরা পড়েছে। ঢাকার হাতিরঝিলের মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে শুক্রবার দিনগত রাতে বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১ এর একটি দল।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা শহরের অশোকতলায় র‍্যাব-১১ কুমিল্লা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত শেখ ফরিদ নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

দীর্ঘদিনের বিরোধের জের

র‍্যাব জানায়, নাঙ্গলকোটের আলীয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় জমি ও সামাজিক আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি থেমে গেলেও ভেতরে ভেতরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ঠিক ৩ আগস্ট দুপুরে আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামসংলগ্ন রাস্তা থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে জোরপূর্বক একটি সিএনজিতে তুলে নেয়। পরে তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

মামলার অগ্রগতি

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ৫ আগস্ট নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় শেখ ফরিদকে প্রধান আসামি করে মোট কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়।

মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, “ঘটনার পর থেকেই আমরা পলাতক আসামিদের অবস্থান শনাক্তে কাজ করছিলাম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, শেখ ফরিদ ঢাকায় অবস্থান করছে। শুক্রবার রাতে র‍্যাবের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।”

র‍্যাবের দাবি, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও অন্যান্য সহযোগীদের নাম উঠে এসেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, আলাউদ্দিন ছিলেন এলাকার জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী ইউপি সদস্য। তার হত্যাকাণ্ডে এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। তারা দ্রুত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

কুমিল্লায় নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

তারিখ : ০১:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

জহিরুল হক বাবু

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আলাউদ্দিনকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি শেখ ফরিদ (৪৫) অবশেষে ধরা পড়েছে। ঢাকার হাতিরঝিলের মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে শুক্রবার দিনগত রাতে বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১ এর একটি দল।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা শহরের অশোকতলায় র‍্যাব-১১ কুমিল্লা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত শেখ ফরিদ নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

দীর্ঘদিনের বিরোধের জের

র‍্যাব জানায়, নাঙ্গলকোটের আলীয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় জমি ও সামাজিক আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি থেমে গেলেও ভেতরে ভেতরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ঠিক ৩ আগস্ট দুপুরে আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামসংলগ্ন রাস্তা থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে জোরপূর্বক একটি সিএনজিতে তুলে নেয়। পরে তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

মামলার অগ্রগতি

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ৫ আগস্ট নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় শেখ ফরিদকে প্রধান আসামি করে মোট কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়।

মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, “ঘটনার পর থেকেই আমরা পলাতক আসামিদের অবস্থান শনাক্তে কাজ করছিলাম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, শেখ ফরিদ ঢাকায় অবস্থান করছে। শুক্রবার রাতে র‍্যাবের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।”

র‍্যাবের দাবি, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও অন্যান্য সহযোগীদের নাম উঠে এসেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, আলাউদ্দিন ছিলেন এলাকার জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী ইউপি সদস্য। তার হত্যাকাণ্ডে এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। তারা দ্রুত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।