স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় খুন হওয়া গাড়িচালক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার (৩১) খণ্ডিত দুই পা উদ্ধার করা হয়েছে। তিতাস থানা পুলিশ সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামের পাশের খাল থেকে বস্তাবন্দী দুই পায়ের চারটি খণ্ড উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ উল্লাহ জানান, নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার পা দুটি ময়নাতদন্তর জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত রোববার স্থানীয় একটি খাল থেকে নজরুল ইসলামের দুটি কাটা হাত উদ্ধার করা হয়। তবে শরীরের বাকি অংশ এখনো পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক হোসেন মিয়া ও তাঁর স্ত্রী স্মৃতি আক্তার।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৬ আগস্ট রাত ১১টার দিকে উপজেলার মজিতপুর গ্রামের অটোরিকশার চালক হোসেন মিয়া তাঁর স্ত্রী সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে মুঠোফোনে নজরুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে যান। এর পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরের দিন এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নজরুল ইসলামের বাবা। গত শনিবার হোসেন মিয়া ও তাঁর স্ত্রী স্মৃতি আক্তারকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের দেওয়া তথ্যানুসারে রোববার গ্রামের একটি খাল থেকে নজরুলের দুটি হাত উদ্ধার করা হয়। পরে হত্যা মামলা দায়ের হলে আটক দম্পতিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রকাশ পেলেও তা অস্বীকার করেছে নিহতের পরিবার। নিহতের বাবা হানিফ বলেন, তাঁর ছেলে মোটেও পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন না। এ নিয়ে আগে কোনো অভিযোগও ওঠেনি। হত্যার পর এগুলো একটি মহলের ইন্ধনে প্রচার করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, হত্যাকাণ্ডে আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত। গভীর তদন্তের মাধ্যমে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
পুলিশের বরাত দিয়ে নিহত নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার বড় ভাই হাসান ভূঁইয়া জানান, ৬ আগস্ট রাত ১২টার দিকে নজরুল ইসলামকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে লাশ টুকরা টুকরা করে চারটি পৃথক বস্তায় ভেতরে করে গ্রামের খালে ফেলে দেন আসামিরা।