০৭:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সামিরা আজিমের গাড়িবহরে হামলা; দুই পক্ষে আহত ৩৫ কুমিল্লার বটবৃক্ষ ইয়াছিনকে সরাবেন না-তারেক রহমানের প্রতি নির্যাতিত পরিবারের আবেদন কুমিল্লায় নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত দেবিদ্বারে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহীদের জনসংযোগ বিএনপির মধ্যে বিভাজন স্বার্থান্বেষী মহলের দৌরাত্ম্যের কারণে – রশিদ আহমেদ হোসাইনী কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল; ৪৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাল মৃত্তিকায় শীতের নির্মল ছোঁয়া বিভিন্ন স্থানে বিড়ালের চোখ তুলে নেয়া ও প্রাণি নির্যাতনের প্রতিবাদে কুমিল্লায় মানববন্ধন

কুমিল্লায় মাটিতে পুঁতে থাকা কামানের গোলা উদ্ধার

  • তারিখ : ০৯:১১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • 30

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে একটি কামানের গোলা উদ্ধার করে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে সেটি ধ্বংস করা হয়। পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল মাটিতে পুঁতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গোলাটি ধ্বংস করে।

থানা–পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের মল্লিকাদীঘি গ্রামের সুফিয়া বেগম নামের এক নারী গতকাল বিকেলে তাঁদের বাড়ির পাশে শুকনা পাতা কুড়াতে গিয়ে মাটিতে পুঁতে থাকা পিতলের তৈরি একটি বস্তু দেখতে পান। এটিকে গুপ্তধন মনে করে তিনি বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে সুফিয়া তাঁর ছেলে মাইন উদ্দিনকে দেখান। এ সময় মাইন উদ্দিন এটিকে বোমা বলে তাৎক্ষণিকভাবে পুকুরে ফেলে দেন।

পরে মাইন উদ্দিন গতকালই ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পায়। এ সময় তারা পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেন। খবর পেয়ে আজ পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাউন্টার টেররিজম পরিদর্শক মো. মোদাচ্ছের কায়সারের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা পুকুর থেকে সেটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

পরে তারা পরীক্ষা করে জানতে পারেন, সেটা অবিস্ফোরিত কামানের গোলা। এটির ওজন ১০ কেজি, দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৩ ইঞ্চি। পরে মাটিতে পুঁতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এটি ধ্বংস করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইকরামুল হক, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল হাবি রবিন প্রমুখ।

সুফিয়া বেগম বলেন, ‘এটিকে দেখে আমার মনে হয়েছে গুপ্তধন। তাই এটিকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে আমার ছেলে বলছে এটা বোমা। পরে সেটা পানিতে ফেলে দিয়ে আমার ছেলে ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে।’

পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের পরিদর্শক মোদাচ্ছের কায়সার বলেন, এটি অবিস্ফোরিত কামানের গোলা ছিল। যেকোনো সময় বিস্ফোরণ হতে পারত। ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় নিক্ষেপ করা হয়।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় মাটিতে পুঁতে থাকা কামানের গোলা উদ্ধার

তারিখ : ০৯:১১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে একটি কামানের গোলা উদ্ধার করে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে সেটি ধ্বংস করা হয়। পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল মাটিতে পুঁতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গোলাটি ধ্বংস করে।

থানা–পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের মল্লিকাদীঘি গ্রামের সুফিয়া বেগম নামের এক নারী গতকাল বিকেলে তাঁদের বাড়ির পাশে শুকনা পাতা কুড়াতে গিয়ে মাটিতে পুঁতে থাকা পিতলের তৈরি একটি বস্তু দেখতে পান। এটিকে গুপ্তধন মনে করে তিনি বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে সুফিয়া তাঁর ছেলে মাইন উদ্দিনকে দেখান। এ সময় মাইন উদ্দিন এটিকে বোমা বলে তাৎক্ষণিকভাবে পুকুরে ফেলে দেন।

পরে মাইন উদ্দিন গতকালই ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পায়। এ সময় তারা পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেন। খবর পেয়ে আজ পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাউন্টার টেররিজম পরিদর্শক মো. মোদাচ্ছের কায়সারের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা পুকুর থেকে সেটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

পরে তারা পরীক্ষা করে জানতে পারেন, সেটা অবিস্ফোরিত কামানের গোলা। এটির ওজন ১০ কেজি, দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৩ ইঞ্চি। পরে মাটিতে পুঁতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এটি ধ্বংস করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইকরামুল হক, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল হাবি রবিন প্রমুখ।

সুফিয়া বেগম বলেন, ‘এটিকে দেখে আমার মনে হয়েছে গুপ্তধন। তাই এটিকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে আমার ছেলে বলছে এটা বোমা। পরে সেটা পানিতে ফেলে দিয়ে আমার ছেলে ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে।’

পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের পরিদর্শক মোদাচ্ছের কায়সার বলেন, এটি অবিস্ফোরিত কামানের গোলা ছিল। যেকোনো সময় বিস্ফোরণ হতে পারত। ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় নিক্ষেপ করা হয়।