০১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে অবৈধ নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী অপসারণ অভিযান বুড়িচংয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া চৌদ্দগ্রামে শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কামরুল হুদার পক্ষে নির্বাচনী গণমিছিল বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল জাতিকে পঙ্গু করার সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র – হাজী ইয়াছিন তরুণদের যুক্তি, চিন্তা ও নেতৃত্বকে একত্রিত করতে ডিবেটিং সোসাইটির আত্মপ্রকাশ কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা আটক কুমিল্লার দেবিদ্বারে নাশকতার মামলায় দুই সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আটক কুমিল্লায় সারা রাত কুস্তি লড়াই; বিজয়ী পেলেন গরু, রানারআপের খাসি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের ‘রান উইথ কুবি শিবির’ কর্মসূচি ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিক্ষোভ সমাবেশ

কুমিল্লায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতা গ্রেপ্তার

  • তারিখ : ১০:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • 451

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার মেঘনায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান চালায় মেঘনার চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম। অভিযানে মইষ্যার চর এলাকা থেকে চারজন জেলে রবিউল্লাহ, জাকির হোসেনসহ দুটি নৌকা ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।

এ সময় আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় যুব অধিকার পরিষদের সাঈদ খোকন ও সগীর হোসেনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজমগীর হোসেন বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়ারা জেলেদের জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিতে স্থানীয় চাঁদাবাজ আলামিনের নেতৃত্বে খোকন, সগীরসহ ৮-১০ জন সন্ত্রাসী দুটি ট্রলার নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এ সময় তারা এএসআই মইন উদ্দিন ও কনস্টেবল আলমের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আহতদের মেঘনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, এ ঘটনায় মেঘনা থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে এ বিষয়ে যুব অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে।

গণধিকার পরিষদের মেঘনা উপজেলা শাখার সভাপতি মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কোনো নেতাকর্মী অনৈতিক কাজে জড়িত নয়। চারজন সাধারণ জেলেকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে আমাদের দুই নেতা খোকন ও সগীর মানবিক কারণে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের কথা না শুনেই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। খোকন ও সগীর অবৈধ বালু ব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, আর এজন্যই নৌ পুলিশ ইনচার্জ আজমগীর এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন।’

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতা গ্রেপ্তার

তারিখ : ১০:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার মেঘনায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান চালায় মেঘনার চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম। অভিযানে মইষ্যার চর এলাকা থেকে চারজন জেলে রবিউল্লাহ, জাকির হোসেনসহ দুটি নৌকা ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।

এ সময় আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় যুব অধিকার পরিষদের সাঈদ খোকন ও সগীর হোসেনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজমগীর হোসেন বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়ারা জেলেদের জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিতে স্থানীয় চাঁদাবাজ আলামিনের নেতৃত্বে খোকন, সগীরসহ ৮-১০ জন সন্ত্রাসী দুটি ট্রলার নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এ সময় তারা এএসআই মইন উদ্দিন ও কনস্টেবল আলমের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আহতদের মেঘনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, এ ঘটনায় মেঘনা থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে এ বিষয়ে যুব অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে।

গণধিকার পরিষদের মেঘনা উপজেলা শাখার সভাপতি মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কোনো নেতাকর্মী অনৈতিক কাজে জড়িত নয়। চারজন সাধারণ জেলেকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে আমাদের দুই নেতা খোকন ও সগীর মানবিক কারণে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের কথা না শুনেই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। খোকন ও সগীর অবৈধ বালু ব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, আর এজন্যই নৌ পুলিশ ইনচার্জ আজমগীর এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন।’