০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার মুরাদনগরে মামলায় আটক বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীর জামিন কুমিল্লার মুরাদনগরে অতিরিক্ত মদ পানে ২ জনের মৃত্যু কুমিল্লায় এনজিও’র ঋণের চাপ ও অভাবে মা-মেয়ের আত্মহত্যা চৌদ্দগ্রামে সাংবাদিক মামুনের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মিলাদ বুড়িচংয়ে দখলকৃত খাল উদ্ধারে প্রশাসনের অভিযান কুমিল্লায় টিফিনের টাকায় গাছের চারা উপহার: ৫০০ শিক্ষার্থীর সবুজ শপথ কুমিল্লায় ৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ করে বিএনপির সম্মেলন চৌদ্দগ্রামে বিনাধান-১৯, ২১ ও ব্রি ধান-৪৮ এর মূল্যায়ন শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে ‘কলিজা খুলে নেওয়ার’ হুমকি, অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ৭৫ বোতল স্কাফ ও ১ লাখ ১০ হাজার টাকাসহ মাদক কারবারি আটক

কুমিল্লার মুরাদনগরে মামলায় আটক বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীর জামিন

  • তারিখ : ০৯:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
  • 243

স্টাফ রিপোর্টার
মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার চাচাতো ভাই ও স্থানীয় পুলিশের দায়ের করা মামলায় আটক বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৩ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় কুমিল্লা জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বিকেল ৬টায় মুক্তি পাওয়া নেতা-কর্মীরা কুমিল্লা জেলা পরিষদের সামনে থেকে আনন্দ মিছিল বের করেন, এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, বিগত ১৭ বছরের আওয়ামী ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনে যেসব নেতা-কর্মী জেল খেটেছেন ও মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন, তাদেরকেই নতুন করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপিকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। সদ্য কারামুক্তরা বলেন, জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদকে লক্ষ্য করে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও স্থানীয় আওয়ামী নেতারা।

কারামুক্ত উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, “যে থানাকে আমাদের নেতা কায়কোবাদ দাদার নির্দেশে পাহারা দিলাম, সেই পুলিশই আমাদের মিথ্যা মামলায় জেল খাটায়, আর আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিশে চাঁদাবাজি করে।”

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ বাদশাহ বলেন, “আমরা ভাগ্যবান, আমাদের পাশে তারেক রহমান ও কায়কোবাদ দাদার মতো নেতা আছেন। তারা আমাদের খোঁজ নিয়েছেন, সহায়তা করেছেন।” তিনি উপদেষ্টা আসিফকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “সাহস থাকলে জনতার কাতারে আসুন, জনগণ আপনার এমপি হওয়ার খায়েশ মিটিয়ে দেবে।”

উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ মুরাদনগর থানায় হামলার অভিযোগে এবং উপদেষ্টার চাচাতো ভাই স্থানীয় সমন্বয়ক ওবায়দুল্লাহর ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির উপজেলা আহ্বায়কসহ ৩২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়—একটি পুলিশ এবং অন্যটি ওবায়দুল্লাহ নিজে দায়ের করেন।

কুমিল্লার মুরাদনগরে মামলায় আটক বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীর জামিন

তারিখ : ০৯:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার
মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার চাচাতো ভাই ও স্থানীয় পুলিশের দায়ের করা মামলায় আটক বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৩ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় কুমিল্লা জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বিকেল ৬টায় মুক্তি পাওয়া নেতা-কর্মীরা কুমিল্লা জেলা পরিষদের সামনে থেকে আনন্দ মিছিল বের করেন, এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, বিগত ১৭ বছরের আওয়ামী ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনে যেসব নেতা-কর্মী জেল খেটেছেন ও মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন, তাদেরকেই নতুন করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপিকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। সদ্য কারামুক্তরা বলেন, জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদকে লক্ষ্য করে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও স্থানীয় আওয়ামী নেতারা।

কারামুক্ত উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, “যে থানাকে আমাদের নেতা কায়কোবাদ দাদার নির্দেশে পাহারা দিলাম, সেই পুলিশই আমাদের মিথ্যা মামলায় জেল খাটায়, আর আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিশে চাঁদাবাজি করে।”

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ বাদশাহ বলেন, “আমরা ভাগ্যবান, আমাদের পাশে তারেক রহমান ও কায়কোবাদ দাদার মতো নেতা আছেন। তারা আমাদের খোঁজ নিয়েছেন, সহায়তা করেছেন।” তিনি উপদেষ্টা আসিফকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “সাহস থাকলে জনতার কাতারে আসুন, জনগণ আপনার এমপি হওয়ার খায়েশ মিটিয়ে দেবে।”

উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ মুরাদনগর থানায় হামলার অভিযোগে এবং উপদেষ্টার চাচাতো ভাই স্থানীয় সমন্বয়ক ওবায়দুল্লাহর ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির উপজেলা আহ্বায়কসহ ৩২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়—একটি পুলিশ এবং অন্যটি ওবায়দুল্লাহ নিজে দায়ের করেন।