মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যাকাÐের মামলায় প্রধান আসামী শাহ আলম বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
বুধবার রাত ১ টা ১৫ মিনিটে কুমিল্লা চাঁনপুর গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাস।
তিন জানান, কয়েকজন অস্ত্রধারী চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে অবস্থান করছে। এমন সংবাদ পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানা এবং ডিবি পুলিশের একাধিক টিম আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালায়।
পুলিশের টিম পৌঁছালে আসামীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা জীবন রক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়। গুলিবর্ষণ শেষে ঘটনাস্থলে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল হতে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ পিস্তল এবং গুলির খোসা এবং কার্তুজের খোসা উদ্ধার কর নিহতরে লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। সে কাউন্সিলরসহ জোড়া খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ।
শাহ আলম কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি। সে সুজানগর বউ বাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে।
এর আগে এই মামলার আসামি সাব্বির ও সাজন পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।