০২:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় একদিনে মাদ্রাসাছাত্রসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার বুড়িচংয়ে বিএনপির সভাপতির নাম ব্যবহার করে অপপ্রচার; তীব্র নিন্দা কুবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলায় জড়িতদের তথ্য চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হোমনায় চার দিন ধরে নিখোঁজ সাংবাদিক দিদার, পরিবারের সন্দেহ অপহরণ বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন কুমিল্লায় ৩ হাজার টাকায় স্ত্রীকে বিক্রি; তিনদিন ধরে ধর্ষণ, নোয়াখালীর ৫ যুবক গ্রেফতার বাজগড্ডায় জিকরুল্লাহ ইসলামিয়া যুব কমিটির উদ্যোগে ঈদে মাজিউন্নাবী (সা.) মাহফিল শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিনকে কুমিল্লায় ফুলেল সংবর্ধনা চৌদ্দগ্রামে তুলাপুষ্কুরণী সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা আলী হোসেন সজিব বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত

কুমিল্লায় কাউন্সিলর হ’ত্যার ঘটনায় ‘বন্দুক’যুদ্ধে’ নি’হত দুই আসামীর জানাজা ছাড়াই দাফন

  • তারিখ : ১২:২২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
  • 19

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লা সিটি কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি সাব্বির হোসেন ও মো. সাজন সোমবার রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। পুলিশি পাহারায় মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হলেও তাদের জানাজা নামাজে কেউ আসেননি। তাই জানাজা ছাড়াই তাদের দাফন করতে হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নিহতদের নিজ এলাকায় লাশ নিয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে- এই আশঙ্কায় সিটি কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রিত নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে তাদের দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু মাগরিব নামাজের ১৫-২০ মিনিট আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করেও নামাজে জানাজা পড়াতে কোনো মাওলানা ও মুসল্লি এগিয়ে আসেননি। এ সময় এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে জানাজা ছাড়াই মাগরিব নামাজের কিছু আগে সাব্বির হোসেন ও মো. সাজনের মরদেহ দাফন করা হয়। কবরস্থান এলাকায় দুই পরিবারের সীমিত সংখ্যক সদস্যকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এর আগে দুপুর থেকে এলাকার লোকজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই জনের লাশ এলাকায় দাফন না করতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেন।

কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনওয়ারুল আজিম বলেন, এলাকাবাসী নিহতদের দাফনের সময় সমস্যা করতে পারে- এই আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও জানাজায় অংশ নিতে কেউ না আসায় জানাজা ছাড়াই তাদের লাশ দাফন করতে হয়েছে।

এর আগে সোমবার গভীর রাতে নগরীর সংরাইশ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এজাহারে থাকা ৩ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন (২৮) ও ৫ নম্বর আসামি মোঃ সাজন (৩২) নিহত হয়। এর মধ্যে সাব্বির নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে এবং সাজন নগরীর সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে।

উল্লেখ্য, নগরীর সুজানগরে নিজ কার্যালয়ে গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৬ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও আওয়ামীলীগ নেতা হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়। ঘটনায় নিহত ওই কাউন্সিলরের ভাই সৈয়দ রুমান বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।

নিহত দুইজন ছাড়াও পুলিশ এ পর্যন্ত আরো ৬ জনকে আটক করেছে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় কাউন্সিলর হ’ত্যার ঘটনায় ‘বন্দুক’যুদ্ধে’ নি’হত দুই আসামীর জানাজা ছাড়াই দাফন

তারিখ : ১২:২২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লা সিটি কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি সাব্বির হোসেন ও মো. সাজন সোমবার রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। পুলিশি পাহারায় মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হলেও তাদের জানাজা নামাজে কেউ আসেননি। তাই জানাজা ছাড়াই তাদের দাফন করতে হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নিহতদের নিজ এলাকায় লাশ নিয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে- এই আশঙ্কায় সিটি কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রিত নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে তাদের দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু মাগরিব নামাজের ১৫-২০ মিনিট আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করেও নামাজে জানাজা পড়াতে কোনো মাওলানা ও মুসল্লি এগিয়ে আসেননি। এ সময় এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে জানাজা ছাড়াই মাগরিব নামাজের কিছু আগে সাব্বির হোসেন ও মো. সাজনের মরদেহ দাফন করা হয়। কবরস্থান এলাকায় দুই পরিবারের সীমিত সংখ্যক সদস্যকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এর আগে দুপুর থেকে এলাকার লোকজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই জনের লাশ এলাকায় দাফন না করতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেন।

কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনওয়ারুল আজিম বলেন, এলাকাবাসী নিহতদের দাফনের সময় সমস্যা করতে পারে- এই আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও জানাজায় অংশ নিতে কেউ না আসায় জানাজা ছাড়াই তাদের লাশ দাফন করতে হয়েছে।

এর আগে সোমবার গভীর রাতে নগরীর সংরাইশ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এজাহারে থাকা ৩ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন (২৮) ও ৫ নম্বর আসামি মোঃ সাজন (৩২) নিহত হয়। এর মধ্যে সাব্বির নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে এবং সাজন নগরীর সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে।

উল্লেখ্য, নগরীর সুজানগরে নিজ কার্যালয়ে গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৬ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও আওয়ামীলীগ নেতা হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়। ঘটনায় নিহত ওই কাউন্সিলরের ভাই সৈয়দ রুমান বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।

নিহত দুইজন ছাড়াও পুলিশ এ পর্যন্ত আরো ৬ জনকে আটক করেছে।