কুমিল্লায় পণ্য বিক্রিতে প্রতারনা, র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের এমডি সহ ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা

নেকবর হোসেন।।
র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের নকল পণ্য কিনে প্রতারিত হয়ে এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী ক্রেতা। সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লা চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলী আদালতে এই মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। মামলায় র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে. এম একরাম হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী আঁখি মাহমুদ।

তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই কোম্পানি মানুষের কাছে নকল পণ্য দিয়ে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার (২১ মার্চ) একজন ভুক্তভোগী এসে অভিযোগ করলে কুমিল্লা চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলী আদালতে মামলার আবেদন করি। পরে বিচারক আব্বাস উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলাটি দায়ের করেছেন শিল্পী আক্তার। তিনি কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা। অনলাইনে পেইজে তিনি মালয়েশিয়ান ক্যালভিনেটর ২৭৯ একটি ফ্রিজ দেখে ১৪ মার্চ তিনি কুমিল্লার ঝাউতলা র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের শো-রুমে গিয়ে ফ্রিজটি কিনেন। এর আগে শো-রুমে একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা হয় তার। তিনি একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হন এটি মালয়েশিয়ান ক্যালভিনেটর ২৭৯ ফ্রিজ।

কিন্তু তিনি শো-রুমে গিয়ে দেখেন সেই ফ্রিজে নেই কোন লোগো বা স্টিকার। পরে এর কারণ জানতে চাইলে সেখানকার কর্মচারীরা নিজেরা এসে হাতে লোগো লাগিয়ে দেন। পাশাপাশি বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে ফ্রিজটি তাকে নিয়ে নিতে বাধ্য করেন। তিনি বাড়ি আসার পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফ্রিজটি মালয়েশিয়ান ক্যালভিনেটর ২৭৯ নয় বলে সন্দেহ করেন। একাধিক ফ্রিজ টেকনিশিয়ান এসে ফ্রিজটি দেখে নকল ও লোকাল পণ্য বলে দাবি করেন। এরপর ভুক্তভোগী শিল্পী আক্তার ফ্রিজটি ফেরত দিতে গেলে শো-রুম কতৃকপক্ষ ফেরত নিতে অস্বীকার করে। পরে তিনি সোমবার (২১ মার্চ) মামলাটি দায়ের করেন।

তিনি বলেন, আমি চাই আমার মতো কেউ যেন প্রতারিত না হয় তাই মামলাটি দায়ের করেছি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিকস লিঃ এর জি.এম (বিক্রয় ও বিপনন) জানে আলম, মার্কেটিং ম্যানেজার মোহাইমিনুল ইসহাক প্রতীক, এসিষ্ট্যান্ট ম্যানেজার মার্কেটিং মো. ওমর ফারুক, কুমিল্লা ঝাউতলা শো-রুমের র‌্যাংগস কর্মকর্তা কামরুল হাসানকে আসামি করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে কুমিল্লা ঝাউতলা শো-রুমের র‌্যাংগস কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কাস্টমারের অভিযোগ ছিল মেইড ইন মালয়েশিয়া খোদাই করে লেখা নেই কেন। তিনি শংসয় প্রকাশ করেছেন। আমাদের ঢাকা অফিস থেকে বলা হয়েছে এটি মালয়েশিয়ার তৈরি ক্যালভিনেটর ২৭৯ ফ্রিজ। তাই আমরা এটিই বিক্রি করছি। যদি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকে তবে আমরা এই বিষয়ে জবাব দিতে প্রস্তুত।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  

You cannot copy content of this page