মাহফুজ নান্টু।।
দাম্পাত্য কলহের জের ধরে স্ত্রী রোকসানা আক্তার (৩৫) কে কুপিয়ে হত্যা করে ঘাতক স্বামী দেলোয়ার হোসেন। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩ টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ঘাতক স্বামী দেলোয়ার হোসেন। তার বাড়ী পালপাড়ায়। তবে সে নিজের ভিটেমাটি বিক্রি করে নিজের গ্রামে ভাড়া থাকতো। দেলোয়ার পেশার পরিবহন শ্রমিক।
নিহত রোকসানার এক ছেলে এক মেয়ে। মেয়ের নাম স্বর্ণা আক্তার। সে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। ছেলে আশিকুর রহমান। নবম শ্রেনীতে পড়ে।
মেয়ে স্বর্না আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকে তার বাবা দেলোয়ার প্রায়ই বিভিন্ন অযুহাতে তার মাকে শারিরিক নির্য়াতন করতো। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস দরবার হলেও তার কোন সমাধান হয় নি। এই দাম্পাত্য কলহের জের ধরে বাবা দেলোয়ার তার মাকে খুন করে বলে অভিযোগ করেন।
স্বর্ণা আরো জানান, সে আর তার ছোট ভাই আশিকুর রহমান ঘটনার দিন নানার বাড়ী সদর উপজেলার বদরপুর এলাকায় ছিলো।
নিহত রোকসানার ছোট বোন পারুল আক্তার জানান, তার বোন কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারী ক্লিনিকে আয়ার চাকরী করতো। বৃহস্পতিবার রাতে কাজ শেষে স্বামী দেলোয়ারের সাথে পালপাড়ার বাড়ীতে আসে। পরে আজ শুক্রবার ক্লিনিকে না গেলে তাকে খোঁজতে বের হয়। পরে নিহত রোকসানার ছেলে আশিকুর রহমান ও স্বর্নাসহ স্বজনরা এসে দেখেন পালপাড়ার বাড়ীতে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। এ সময় তারা দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন রোকসানার নিথর দেহ পড়ে আছে। মাটিতে রক্ত জমাট বাধা। এ সময় তারা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কল করেন। খবর পেয়ে শুক্রবার বেলা আড়াইটায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কোতয়ালী মডেল থানার ছত্রখীল ফাঁড়ির ইনচার্জ শরিফুর রহমান।
সুরতহাল শেষে উপপরিদর্শক শরিফ জানান, নিহতের শরীরের পাঁচটি অংশে ধারালো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
এদিকে নিহতের স্বজনরা জানান, ঘাতক স্বামী দেলোয়ার পলাতক। রাতে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page