কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় এক হোটেলশ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশটি ঝুলছিল ঘরের আড়ার সঙ্গে। ঘরের ভেতরে বাক্রুদ্ধ অবস্থায় বসেছিলেন তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী। তাঁকেসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
ওই হোটেলশ্রমিকের নাম আরিফুর রহমান (২১)। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের চর পাগলা গ্রামের বাসিন্দা। তিন বছর ধরে নাঙ্গলকোটের জোড্ডা বাজারের একটি হোটেলে কাজ করে আসছিলেন আরিফুর। ভাড়ায় থাকতেন উপজেলার বটতলি ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে।
আটক তিনজন হলেন আরিফুরের স্ত্রী আয়েশা আক্তার (১৯), এই দম্পতির ভাড়াবাড়ির মালিক আলী আজগর ভূঁইয়া (৪২) এবং হোটেলমালিক আবদুল হকের ছেলে মো. লিটন (২৪)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আরিফুর তিন বছর ধরে জোড্ডা বাজারে আবদুল হকের হোটেলে কাজ করে আসছিলেন। মুঠোফোনে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার ঢালীকান্দি গ্রামের আয়েশা আক্তারের (১৯)। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১ সেপ্টেম্বর তাঁরা বিয়ে করেন।
গত সোমবার স্ত্রীকে নিয়ে কাশিপুর গ্রামের ওই ভাড়াবাড়িতে ওঠেন আরিফুর। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওই টিনশেড ঘরের আড়ার সঙ্গে আরিফুরের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। এ সময় তাঁর স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে ওই ঘরে বাক্রুদ্ধ অবস্থায় পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে তারা।
আরিফুর রহমানের বাবা মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়া সে আত্মহত্যা করতে পারে না। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ বলছে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আরিফুরের সঙ্গে বিরোধ চলছিল সালাহউদ্দিন নামের এক ব্যক্তির। তিনি পেশায় অটোরিকশার চালক। বাড়ি কাশিপুর গ্রামেই। আরিফুরের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে সালাহউদ্দিনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। লাশ উদ্ধারের পর থেকে তিনি পলাতক।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আব্দুন নুর বলেন, আপাতত আটক তিনজনকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে আরিফুরের স্ত্রী এখনো কোনো কথা বলছেন না। পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে পাওয়া তথ্য ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page