০৭:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় রান্নাঘর থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার কুমিল্লায় রাতে শিক্ষার্থীদের আড্ডা-ঘোরাফেরা বন্ধে ছদ্মবেশে ইউএনও’র অভিযান কুমিল্লায় খাবার হোটেলে মাদক বিক্রি; সেনা অভিযানে গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার দাউদকান্দিতে সদ্যযোগদানকৃত ইউএনও’র সাথে গণমাধ্যম কর্মীদের মতবিনিময় কুমিল্লার রহমত আলী মৎস্য খাতে পেলেন জাতীয় স্বর্ণপদক কুমিল্লায় প্রেমিক যুগলের অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ, দারোয়ানকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা বুড়িচংয়ে গাভী পালন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কুমিল্লায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন বুড়িচংয়ে বাজারের জায়গার দখল দিতে ৩ জনকে কুপিয়ে আহত কুমিল্লার হোমনায় পৃথক স্থান থেকে দুটি লাশ উদ্ধার

কুমিল্লা থেকে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রের লাশ ১৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার

  • তারিখ : ০৪:১০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
  • 3

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লা মর্ডান স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার সাতরা এলাকার ওমর ফারুকের পুত্র মেহেদী হাসানের (১৬) সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রের লাশ ১৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজের ১৯ ঘণ্টার পর তার লাশ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে লাশটি উদ্ধার করে মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আনা হয়।

গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মেহেদী হাসানসহ ১৪ জন সহপাঠী গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে এসে সৈকতে গোসল করতে নামে। সেখানে মেহেদী হাসান ও মো. শিহাব নিখোঁজ হয়। পরে শিহাবকে জীবিত উদ্ধার করে তার সহপাঠীরা। তবে মেহেদীর কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না।

জীবিত উদ্ধার হওয়া মো. শিহাব বলেন, তারা ১৪ জন কুমিল্লা সদর উপজেলার সাতরা গ্রাম থেকে এসেছিল। প্রত্যেকে একই বিদ্যালয়ের নবম দশম-শ্রেণির ছাত্র। তারা গতকাল দুপুরে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে গোসলে নামে। মেহেদী সাঁতার জানত না। সে একটি গাছ ধরে গোসল করছিল। এ সময় বড় একটি ঢেউ এসে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে মেহেদী ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সেও (শিহাব) ডুবে যেতে থাকলে অন্যরা তাকে উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আজাদ বলেন, গতকাল বুধবার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে তাঁরা মেহেদী হাসানকে সমুদ্র সৈকতে খুঁজেছিলেন। কিন্তু না পেয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। আজ ভোরের আলো ফুটতেই তিনিসহ স্থানীয় কয়েকজন আবারও মেহেদী হাসানের লাশ খোঁজার জন্য গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকতে নামেন। ভাটার কারণে উপকূল থেকে সাগরের পানি অনেক নিচে নেমে যায়। তাঁরা উপকূল থেকে অনেক দূর পর্যন্ত খুঁজতে থাকেন। যে জায়গায় মেহেদীর নিখোঁজ হয়েছিল, সেখান থেকে অন্তত ২০০ ফুট দূরে কাদার নিচে মেহেদীর পুরো শরীর ঢাকা ছিল। শুধু একটি হাত বাইরে ছিল। দূর থেকে হাত দেখে তিনি সোলাইমানসহ আরও কয়েকজন মিলে সেখানে যান। পরে লাশ কাদা থেকে তুলে নিয়ে আসেন। খালের পানি দিয়ে কাদা পরিষ্কার করে লাশটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন, আজ সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মেহেদীকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেছিলেন। পরে স্থানীয় জেলেরা লাশ পাওয়ার পর তাঁদের জানান। বিষয়টি মেহেদীর বাবাকে জানানো হয়েছে। গতকাল থেকে মেহেদীর বাবা সীতাকুণ্ডে আছেন।

কুমিল্লা থেকে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রের লাশ ১৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার

তারিখ : ০৪:১০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লা মর্ডান স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার সাতরা এলাকার ওমর ফারুকের পুত্র মেহেদী হাসানের (১৬) সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রের লাশ ১৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজের ১৯ ঘণ্টার পর তার লাশ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে লাশটি উদ্ধার করে মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আনা হয়।

গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মেহেদী হাসানসহ ১৪ জন সহপাঠী গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে এসে সৈকতে গোসল করতে নামে। সেখানে মেহেদী হাসান ও মো. শিহাব নিখোঁজ হয়। পরে শিহাবকে জীবিত উদ্ধার করে তার সহপাঠীরা। তবে মেহেদীর কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না।

জীবিত উদ্ধার হওয়া মো. শিহাব বলেন, তারা ১৪ জন কুমিল্লা সদর উপজেলার সাতরা গ্রাম থেকে এসেছিল। প্রত্যেকে একই বিদ্যালয়ের নবম দশম-শ্রেণির ছাত্র। তারা গতকাল দুপুরে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে গোসলে নামে। মেহেদী সাঁতার জানত না। সে একটি গাছ ধরে গোসল করছিল। এ সময় বড় একটি ঢেউ এসে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে মেহেদী ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সেও (শিহাব) ডুবে যেতে থাকলে অন্যরা তাকে উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আজাদ বলেন, গতকাল বুধবার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে তাঁরা মেহেদী হাসানকে সমুদ্র সৈকতে খুঁজেছিলেন। কিন্তু না পেয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। আজ ভোরের আলো ফুটতেই তিনিসহ স্থানীয় কয়েকজন আবারও মেহেদী হাসানের লাশ খোঁজার জন্য গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকতে নামেন। ভাটার কারণে উপকূল থেকে সাগরের পানি অনেক নিচে নেমে যায়। তাঁরা উপকূল থেকে অনেক দূর পর্যন্ত খুঁজতে থাকেন। যে জায়গায় মেহেদীর নিখোঁজ হয়েছিল, সেখান থেকে অন্তত ২০০ ফুট দূরে কাদার নিচে মেহেদীর পুরো শরীর ঢাকা ছিল। শুধু একটি হাত বাইরে ছিল। দূর থেকে হাত দেখে তিনি সোলাইমানসহ আরও কয়েকজন মিলে সেখানে যান। পরে লাশ কাদা থেকে তুলে নিয়ে আসেন। খালের পানি দিয়ে কাদা পরিষ্কার করে লাশটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন, আজ সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মেহেদীকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেছিলেন। পরে স্থানীয় জেলেরা লাশ পাওয়ার পর তাঁদের জানান। বিষয়টি মেহেদীর বাবাকে জানানো হয়েছে। গতকাল থেকে মেহেদীর বাবা সীতাকুণ্ডে আছেন।