০২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় রানী মা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সংবাদপত্র বিলিকারীদের মাঝে কম্বল বিতরণ দারুসসালাম মাদানীয়া মাদরাসার বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত খাজা গরীব এ নেওয়াজ (রঃ) এর জন্মদিন উপলক্ষে মুরাদনগরে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল মুক্ত চিন্তার শুদ্ধ প্রকাশে নিরন্তর-কুমিল্লায় ধ্বনি আবৃত্তির ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কুমিল্লার হোমনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক আটক কুমিল্লায় জলাতংক বিস্তার রোধে বিড়াল-কুকুরের বিনামূল্যে চেকাপ ও ভেক্সিন ক্যাম্প চৌদ্দগ্রামের কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী; স্মৃতির প্রাঙ্গনে প্রীতির বন্ধনে মিলনমেলা কুমিল্লায় ঢাকাগামী বিএনপির নেতাকর্মীদের বাস দুর্ঘটনা, আহত ৩২ কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন জামায়াতের প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বুড়িচংয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সুজন গ্রেপ্তার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালিত

  • তারিখ : ০৫:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • 82

কুবি প্রতিনিধি।।
যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জাতীয় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচীর আয়োজন করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কর্মসূচীর মধ্যে ছিল কালো ব্যাজ ধারণ, র‍্যালি করে শহীদ মিনারে যাত্রা, শহীদদের স্মরনে ১ মিনিট নীরবতা পালন, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা এবং শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য ডক্টর মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার ডক্টর মোঃ আসাদুজ্জামান , শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডক্টর দুলাল চন্দ্র নন্দী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডক্টর মোঃ মোকাদ্দেস-উল- ইসলাম, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক এবং সাধারণ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পূর্ব বাংলার মানুষের অধিকার চেতনা জাগ্রত হয় ভাষাকে কেন্দ্র করেই। এই ভাষার উপর ভিত্তি করে বাঙালী জাতি একত্রিত হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যে চেতনা সেই চেতনার মূলে ছিল বাঙালি ভাষার ঐক্য এবং অধিকারের প্রশ্ন। এই কারণে মুক্তিযুদ্ধারা হাসি মুখে জীবন দিয়ে এ দেশটি স্বাধীন করেছেন।’

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পৃথিবীতে হাজারেরও বেশি ভাষা রয়েছে। কিন্তু বাংলা ভাষা যেন অফিশিয়াল ভাষা না হয়, পূর্ব বাংলার মানুষ যাতে বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারে সেজন্য পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীরা একটা ভিন্ন ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা সুদূরপ্রসারী একটা ষড়যন্ত্র ছিলো। সেই জায়গা থেকেই ভাষা আন্দোলনের শুরু। ভাষা আন্দোলন হলো বাঙালী জাতির মাথা নত না করার আন্দোলন। এর পরবর্তী যে কয়েটি আন্দোলন হয়েছিল তার মূলমন্ত্র ভাষা আন্দোলনের মধ্যে নিহিত ছিলো।’

প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর পরপর শিক্ষকদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পর্যায় ক্রমে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমূহ, ছাত্র পরামর্শক এবং নির্দেশনা দপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ এবং বিভিন্ন সংগঠন সমূহ শহীদ মিনারে পষ্পস্তবক অর্পণ করে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালিত

তারিখ : ০৫:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কুবি প্রতিনিধি।।
যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জাতীয় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচীর আয়োজন করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কর্মসূচীর মধ্যে ছিল কালো ব্যাজ ধারণ, র‍্যালি করে শহীদ মিনারে যাত্রা, শহীদদের স্মরনে ১ মিনিট নীরবতা পালন, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা এবং শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য ডক্টর মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার ডক্টর মোঃ আসাদুজ্জামান , শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডক্টর দুলাল চন্দ্র নন্দী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডক্টর মোঃ মোকাদ্দেস-উল- ইসলাম, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক এবং সাধারণ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পূর্ব বাংলার মানুষের অধিকার চেতনা জাগ্রত হয় ভাষাকে কেন্দ্র করেই। এই ভাষার উপর ভিত্তি করে বাঙালী জাতি একত্রিত হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যে চেতনা সেই চেতনার মূলে ছিল বাঙালি ভাষার ঐক্য এবং অধিকারের প্রশ্ন। এই কারণে মুক্তিযুদ্ধারা হাসি মুখে জীবন দিয়ে এ দেশটি স্বাধীন করেছেন।’

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পৃথিবীতে হাজারেরও বেশি ভাষা রয়েছে। কিন্তু বাংলা ভাষা যেন অফিশিয়াল ভাষা না হয়, পূর্ব বাংলার মানুষ যাতে বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারে সেজন্য পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীরা একটা ভিন্ন ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা সুদূরপ্রসারী একটা ষড়যন্ত্র ছিলো। সেই জায়গা থেকেই ভাষা আন্দোলনের শুরু। ভাষা আন্দোলন হলো বাঙালী জাতির মাথা নত না করার আন্দোলন। এর পরবর্তী যে কয়েটি আন্দোলন হয়েছিল তার মূলমন্ত্র ভাষা আন্দোলনের মধ্যে নিহিত ছিলো।’

প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর পরপর শিক্ষকদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পর্যায় ক্রমে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমূহ, ছাত্র পরামর্শক এবং নির্দেশনা দপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ এবং বিভিন্ন সংগঠন সমূহ শহীদ মিনারে পষ্পস্তবক অর্পণ করে।