০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার মুরাদনগরে বিএনপি-এনসিপি পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ৭ সাংবাদিকসহ আহত ১৭ “গণতন্ত্রে পরিপক্বতা ও সহনশীলতা দরকার” -ড. খন্দকার মারুফ হোসেন দাউদকান্দিতে ভাষা সৈনিক ড. জসিম উদ্দিন আহমেদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত বুড়িচংয়ে গোমতী নদীর বেরিবাঁধে অবৈধ স্থাপনায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযান; ৯৫ লাখ টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ কুমিল্লায় মহাসড়কে ৩০ লাখ টাকার মালামালসহ কাভার্ডভ্যান ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১ কুমিল্লা ধর্মসাগর ও নগর উদ্যানে হকারদের হয়রানি বন্ধে এনসিপির উদ্যোগ কুমিল্লায় আত্মীয়র মরদেহ দেখতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নারীর কুবিতে ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব অব অ্যানথ্রোপলজির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা কুমিল্লায় লাল কার্ড হাতে নিয়ে দেশপ্রেমে জাগ্রত হওয়ার শপথ নিলেন ২০০ শিক্ষার্থী

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলায় মারামারি করে আহত ২ শিক্ষার্থী

  • তারিখ : ১০:৩৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • 1

ফয়সাল মিয়া, কুবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শহিদ আবদুল কাইয়ুম স্মৃতি আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে আবারও দু’পক্ষের মধ্যে ঘটেছে মারামারির ঘটনা। এসময় দু’জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলেও জানা যায়। তুচ্ছ বিষয়েও বারবার এভাবে দু’পক্ষের মারামারির ঘটনায় টুর্নামেন্ট চলমান রাখা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গণিত বিভাগ ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের মধ্যকার খেলা চলাকালে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে নতুন করে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উভয় পক্ষ ভালোই খেলছিল। হঠাৎ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের একজন খেলোয়াড় একটা ফাউল করলে রেফারির সিদ্ধান্ত নিতে একটু দেরি হয়। তখন হুট করে গণিত বিভাগের দর্শকরা খেলার মাঠে ঢুকে ব্যবস্থাপনা শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করে। তখন শিক্ষকরা উভয় পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যার্থ হন।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, এমন টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দেওয়া উচিত। প্রতিটি খেলায় সামান্য বিষয় নিয়ে মারামারি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্টগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এটা নিয়ে পরে আরও বড় ধরনের ঝামেলা হতে পারে।

তারা আরো বলেন, ফুটবল টুর্নামেন্ট নকআউট পদ্ধতিতে হলে ভালো হতো। কম খেলার মাধ্যমে একটা সুন্দর টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যেত।

গণিত বিভাগের অধিনায়ক মো. তুহিন বলেন, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধিনায়ক মোশাররফ হোসেন খেলার শুরু থেকে আমাদের খেলোয়াড়দের আহত করার চেষ্টা করছিলো। শেষ দিকে সে আবার একটা ফাউল করে। রেফারি ফাউল দিলে মোশাররফ উঠেই আমার এক খেলোয়াড়কে লাথি মেরে দেয়। তখন আমাদের দর্শকরা মাঠে ঢুকে পড়ে। এটাই আমাদের দোষ ছিল।

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধিনায়ক মোশাররফ হোসেন বলেন, খেলার মাঠে ফাউল হবে খেলোয়াড়ের মধ্যে। তা সমাধান করার জন্য আছে রেফারি আছে কিন্তু গণিত বিভাগের খেলোয়াড়েরা দর্শক নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, খেলোয়াড়রা আহত হয়।

আহতদের বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালের প্রধান মাহমুদুল হাসান বলেন, মারামারিতে দুইজন খেলোয়াড় আহত হয়েছে। তাদের একজনের নাকে মারাত্মক আঘাতের কারণে কুমিল্লা মেডিকেলে রেফার করেছি। আরেক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তবে তারা কোন ডিপার্টমেন্টের তা জানা যায় নি।

এভাবে প্রতিনিয়ত বিশৃঙ্খলার বিষয়ে প্রক্টর আবদুল হাকিম বলেন, খেলাকে কেন্দ্র করে এভাবে প্রতিনিয়ত মারামারি হলে খেলা চালানো সম্ভব নয়। বিষয়গুলো নিয়ে স্পোর্টস কমিটির সাথে আমরা বসবো। পরবর্তীতে আমরা সিদ্ধান্ত জানাবো।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলায় মারামারি করে আহত ২ শিক্ষার্থী

তারিখ : ১০:৩৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ফয়সাল মিয়া, কুবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শহিদ আবদুল কাইয়ুম স্মৃতি আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে আবারও দু’পক্ষের মধ্যে ঘটেছে মারামারির ঘটনা। এসময় দু’জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলেও জানা যায়। তুচ্ছ বিষয়েও বারবার এভাবে দু’পক্ষের মারামারির ঘটনায় টুর্নামেন্ট চলমান রাখা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গণিত বিভাগ ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের মধ্যকার খেলা চলাকালে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে নতুন করে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উভয় পক্ষ ভালোই খেলছিল। হঠাৎ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের একজন খেলোয়াড় একটা ফাউল করলে রেফারির সিদ্ধান্ত নিতে একটু দেরি হয়। তখন হুট করে গণিত বিভাগের দর্শকরা খেলার মাঠে ঢুকে ব্যবস্থাপনা শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করে। তখন শিক্ষকরা উভয় পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যার্থ হন।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, এমন টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দেওয়া উচিত। প্রতিটি খেলায় সামান্য বিষয় নিয়ে মারামারি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্টগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এটা নিয়ে পরে আরও বড় ধরনের ঝামেলা হতে পারে।

তারা আরো বলেন, ফুটবল টুর্নামেন্ট নকআউট পদ্ধতিতে হলে ভালো হতো। কম খেলার মাধ্যমে একটা সুন্দর টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যেত।

গণিত বিভাগের অধিনায়ক মো. তুহিন বলেন, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধিনায়ক মোশাররফ হোসেন খেলার শুরু থেকে আমাদের খেলোয়াড়দের আহত করার চেষ্টা করছিলো। শেষ দিকে সে আবার একটা ফাউল করে। রেফারি ফাউল দিলে মোশাররফ উঠেই আমার এক খেলোয়াড়কে লাথি মেরে দেয়। তখন আমাদের দর্শকরা মাঠে ঢুকে পড়ে। এটাই আমাদের দোষ ছিল।

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধিনায়ক মোশাররফ হোসেন বলেন, খেলার মাঠে ফাউল হবে খেলোয়াড়ের মধ্যে। তা সমাধান করার জন্য আছে রেফারি আছে কিন্তু গণিত বিভাগের খেলোয়াড়েরা দর্শক নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, খেলোয়াড়রা আহত হয়।

আহতদের বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালের প্রধান মাহমুদুল হাসান বলেন, মারামারিতে দুইজন খেলোয়াড় আহত হয়েছে। তাদের একজনের নাকে মারাত্মক আঘাতের কারণে কুমিল্লা মেডিকেলে রেফার করেছি। আরেক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তবে তারা কোন ডিপার্টমেন্টের তা জানা যায় নি।

এভাবে প্রতিনিয়ত বিশৃঙ্খলার বিষয়ে প্রক্টর আবদুল হাকিম বলেন, খেলাকে কেন্দ্র করে এভাবে প্রতিনিয়ত মারামারি হলে খেলা চালানো সম্ভব নয়। বিষয়গুলো নিয়ে স্পোর্টস কমিটির সাথে আমরা বসবো। পরবর্তীতে আমরা সিদ্ধান্ত জানাবো।