মনোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারে ইতালি প্রবাসীর ক্রয়কৃত জায়গা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী বাবুলের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সোমবার অভিযোগটি দায়ের করেন ইতালি প্রবাসী ও আ’লীগ নেতা আমিনুল ইসলামের ছোট ভাই গোমারবাড়ি গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইতালি প্রবাসী আমিনুল ইসলামের কষ্টার্জিত টাকায় ২০০৯ সালের ৩১ মে চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ চাঁন্দিশকরা মৌজায় ২৬২৫ দাগে ৩৩৬০নং দলিলমূলে ৪ শতক জায়গা এবং ২০১০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ২৬২৫, ২৬২৬, ২৬৩৫ দাগে ৪৩৬নং দলিলমূলে ১৬.১৮ শতক জায়গা খরিদ করেন। এক বছর আগে ইতালি প্রবাসী আমিনুল ইসলামের খরিদকৃত ২০.১৮ শতক সম্পত্তিতে মাটি ভরাট করা হয়। রোববার রাত ১১টা থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত সময়ে ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ ফ্রেন্ডস্ হসপিটালের দক্ষিণ পাশে প্রবাসী আমিনুল ইসলামের জায়গা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বেদখল করার লক্ষ্যে কয়েকটি পিলার ডালাই দেয়। সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রবাসী আমিনুল ইসলামের ভাই মোঃ নজরুল ইসলাম দেখতে পান কয়েকটি পাকা পিলার। বিষয়টি প্রবাসী আমিনুল ইসলাম সোমবার সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার বর্তমান মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরু, সাবেক প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব কাজী নজরুল ইসলাম কামালকে অবহিত করেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে-কাউন্সিলর কাজী বাবুল জুলুমবাজ, উশৃংখল, ভুমি লোভী ও খারাপ প্রকৃতি লোক। এছাড়া কাউন্সিলর হিসেবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দেশের আইন কানুনের তোয়াক্কা করে না এবং স্থানীয় শালিশ দরবার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মান্য করে না।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে অনেকে অভিযোগ করেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নতুন সড়কের পাশে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী শাহজাহান মিয়ার সামনের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে স্থাপনা নির্মাণ, চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশে মহাসড়কের নতুন সড়কে যাত্রী ছাউনী ও সড়ক দখল করে বালু রাখা এবং মহাসড়কের জায়গা দখল করে ভোজন বিলাসের একাংশ নির্মাণ করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ কাউন্সিলর কাজী বাবুল গত ১০ বছর ধরে একাই চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় সরকারের বিপুল পরিমাণ সম্পদ জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এনিয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বর শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ফলাও করে কাজী বাবুলের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক কাউন্সিলর কাজী বাবুলের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভুমি দখলের অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোরদাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে সোমবার বিকেলে কাউন্সিলর কাজী বাবুল বলেন, ‘আমার ক্রয়কৃত জায়গায় আমি পিলার দিয়েছি। কারও জায়গা দখল করিনি’।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page