কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরীফ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। প্রেমিকের সঙ্গে নির্বিঘ্নে দৈহিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে তাকে হত্যা করে স্ত্রী মোনালিসা হিমু। হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে হিমুর প্রেমিক মো. আশিক। ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে স্বামীকে হত্যার পর স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে বাসায় ফেলে চলে যায় সে।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২২ ডিসেম্বর আশিক ও ২৫ ডিসেম্বর হিমুকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে দুজনই হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা ডিবি পুলিশের এসআই ইকতিয়ার।
নিহত শরীফের স্ত্রী মোনালিসা হিমু সিরাজগঞ্জের হোসেনপুরের মো. আবদুল মান্নানের মেয়ে। মো. আশিক কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের চেঙ্গাচ্ছাল গ্রামের নাসিরুল আলমের ছেলে।
গ্রেফতারদের জবানবন্দি অনুযায়ী, নিহত শরীফ ও আসামি আশিকের চাচা রেজু মিয়া একই অফিসে চাকরি করতেন। এ কারণে দুইজনের পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়। সেই সুবাদে শরীফের বাড়িতে যাতায়াত করত আশিক। এক পর্যায়ে শরীফের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী মোনালিসা হিমুর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে আশিক। বিভিন্ন সময় দৈহিক সম্পর্কেও লিপ্ত হয় আশিক-হিমু।
এরই ধারাবাহিকতায় হিমু ও আশিক পরামর্শ করে- শরীফ তাদের জীবনে না থাকলে তারা নির্বিঘ্নে দৈহিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টায় আশিক হিমুর বাসায় গিয়ে ঘুমন্ত শরীফের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে সজোরে আঘাত করে। এতে ছটফট করতে করতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শরীফ। পরে তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে আশিক ও হিমু। ঘটনাটি অন্যদিকে নিতে হিমুকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে বাসা থেকে চলে যায় আশিক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইকতিয়ার জানান, ওই ঘটনায় প্রথমে বরুড়া থানায় মামলা হয়। পরে মামলার তদন্তভার পায় ডিবি পুলিশ। দীর্ঘ তদন্তের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হ’ত্যাকাণ্ডে জড়িত আশিক ও হিমুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দুজনই হত্যার দায় স্বীকার করে কুমিল্লা আদালতে জবানবন্দি দেয়।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page