০৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে কোরপাই থেকে নাজিরা বাজার পর্যন্ত টহল-চেকপোস্টে তল্লাশি জোরদার কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার কুমিল্লা–৬ আসনে টানা কর্মসূচির দশম দিনে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে গণস্বাক্ষর অভিযান তিন মাস পর বাসায় ফিরেছে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির কুমিল্লার যমজ দুইবোন জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ঘুষ জাদুঘরে পাঠানো হবে- কুমিল্লায় সরওয়ার ছিদ্দিকী চৌদ্দগ্রামে কামরুল হুদার পক্ষে ঘোলপাশা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের লিফলেট বিতরণ ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই নির্বাচন, কোনো শক্তিই ঠেকাতে পারবে না: কুমিল্লায় প্রেস সচিব কুমিল্লায় হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার আহত প্রবাসী সেলিমের দেশে ফেরার টিকিট দিলেন মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনার

বুড়িচংয়ে কোরপাই থেকে নাজিরা বাজার পর্যন্ত টহল-চেকপোস্টে তল্লাশি জোরদার

  • তারিখ : ১১:৪১:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • 136

জহিরুল হক বাবু।।
আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাড়তি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সকাল থেকে

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হকের নেতৃত্বে পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি লক্ষ্য করা গেছে।

বিশেষ করে মোকাম ইউনিয়নের কোরপাই এলাকা থেকে শুরু করে ময়নামতি ইউনিয়নের নাজিরা বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়, বাসস্ট্যান্ড, ব্রিজ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে পুলিশের অবস্থান নিতে দেখা যায়। প্রতিটি মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট, যেখানে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলসহ সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এছাড়াও সড়কজুড়ে টহল দিচ্ছে র‌্যাব, ডিবি ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা তল্লাশি অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের সদস্যদেরও অংশ নিতে দেখা গেছে। তারা যাত্রীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করছেন, ব্যাগপত্র ও লাগেজ খুলে দেখা হচ্ছে। সন্দেহভাজন কিছু মোটরসাইকেল আরোহী ও ব্যক্তিকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে-যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা, নাশকতা বা সংঘাত প্রতিরোধের লক্ষ্যেই এই অভিযান ও তল্লাশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, “সড়ক ও জননিরাপত্তা রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা যান চলাচলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও ডিবির টিমগুলোও মাঠে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী সদস্যরাও কৌশলগত অবস্থান নিয়েছেন যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

পুলিশ প্রশাসন সাধারণ মানুষকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, “মহাসড়ক ও আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে শুধুমাত্র জনগণের নিরাপত্তার জন্য। গুজবে কান না দিয়ে শান্ত থাকুন।”

error: Content is protected !!

বুড়িচংয়ে কোরপাই থেকে নাজিরা বাজার পর্যন্ত টহল-চেকপোস্টে তল্লাশি জোরদার

তারিখ : ১১:৪১:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

জহিরুল হক বাবু।।
আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাড়তি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সকাল থেকে

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হকের নেতৃত্বে পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি লক্ষ্য করা গেছে।

বিশেষ করে মোকাম ইউনিয়নের কোরপাই এলাকা থেকে শুরু করে ময়নামতি ইউনিয়নের নাজিরা বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়, বাসস্ট্যান্ড, ব্রিজ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে পুলিশের অবস্থান নিতে দেখা যায়। প্রতিটি মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট, যেখানে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলসহ সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এছাড়াও সড়কজুড়ে টহল দিচ্ছে র‌্যাব, ডিবি ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা তল্লাশি অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের সদস্যদেরও অংশ নিতে দেখা গেছে। তারা যাত্রীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করছেন, ব্যাগপত্র ও লাগেজ খুলে দেখা হচ্ছে। সন্দেহভাজন কিছু মোটরসাইকেল আরোহী ও ব্যক্তিকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে-যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা, নাশকতা বা সংঘাত প্রতিরোধের লক্ষ্যেই এই অভিযান ও তল্লাশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, “সড়ক ও জননিরাপত্তা রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা যান চলাচলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও ডিবির টিমগুলোও মাঠে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী সদস্যরাও কৌশলগত অবস্থান নিয়েছেন যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

পুলিশ প্রশাসন সাধারণ মানুষকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, “মহাসড়ক ও আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে শুধুমাত্র জনগণের নিরাপত্তার জন্য। গুজবে কান না দিয়ে শান্ত থাকুন।”