মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ের শাহদিলাবাগ এলাকায় নির্বাচন পরিবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজন হামলা চালিয়ে ৮ টি বাড়ী, ২টি দোকান ও একটি গোডাউন ভাংচুর করেছে। হামলায় দুই নারীসহ ৩ জন আহত হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৭ টায় এ ঘটনা ঘটে।
সপ্তম ধাপে সোমবার কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ৯ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ন ভাবে সমাপ্ত হয়।
জানা যায়, নির্বাচনের ফলাফল পাওয়ার পর উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মোরগ প্রর্তীকের পরাজিত প্রার্থী আবুল হাসেম তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অপর পরাজিত পানির পাম্প প্রতীকের প্রার্থী আল আমিন সর্দার, এজেন্ট কবির হোসেন, তাঁর চাচা আবদুল করিম, মনির হোসেন, আবুল কাশেমের বাড়ীতে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা এসময় ৮ টি ঘর, ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। এসময় সন্ত্রাসীদল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মূলবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। হামলায় ওই এলাকায় মৃত আলী মিয়ার ছেলে খোরশেদ আলম, প্রার্থীর বোন জোস্না আক্তার, বোনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার আহত হয়।
পানির পাম্প প্রতীকের প্রার্থী আল আমিন সর্দার বলেন, আবুল হাসেম তার পারাজয়ের কারন হিসেবে আমাকে দোষি করে তার নেতৃত্বে এরশাদ, রাশেদ, খালেক, নাসির, মাহফুজ, কবির, ইব্রাহিম, বাবুল, ফয়সাল, আতিকুর রহমান, বাসারসহ শতাধিক লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় বুড়িচং থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবুল হাসেম জানান, আমি কেন্দ্রে থাকা অবস্থায় হামলার খবর শুনতে পাই, আমি এ হামলার সাথে জড়িত নই। ওই প্রার্থী পরাজিত হয়ে নিজেদের বাড়ী ঘর ভাংচুর করে আমার উপর দোষ চাপাচ্ছে।
এদিকে হামলার খবর পেয়ে রাতেই দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ীর উপ-পরিদর্শক (এস আই) রাজিব চৌধূরী জানান, রাতে পুলিশের একটি দল ও সকালে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন, ফাড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক জাদেব উল আলমসহ পুলিশের আরো দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page