মোঃ বাছির উদ্দিন।।
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় কোন বাজারেই পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারিত কোন স্লটার হাউজ বা পশু জবাইখানার ব্যবস্থা নেই।
ফলে মাংস বিক্রেতারা নিজেদের মতো করে পশু জবাই করে বাজারে ওই মাংস বিক্রয় করছে। এর ফলে উপজেলায় যত্রতত্র ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করা হচ্ছে। ফলে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার বড়ধুশিয়া বাজারে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে প্রায় কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়ে একটি স্লটার হাউজ করার কথা ছিল। কিন্তু জায়গা থাকার পরও কি কারণে স্লটার হাউজ হচ্ছে না তা নিয়ে কিছু বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মহালক্ষীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মামুনুর রশিদ বলেন, সবার অগোচরে পশু জবাই করা হয়। নির্দিষ্ট কসাইখানা না থাকার ফলে সুস্থ নাকি অসুস্থ পশুর মাংস টাকা দিয়ে কিনে খাচ্ছি তা আমরা কেউ জানি না।
এবিষয়ে সদর বাজারের মাংস বিক্রেতা রাসেল বলেন, প্রতিমাসে একবার আমাদেরকে অফিসে ডেকে নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার নানা নিয়মকানুন ও কাগজপত্রের বিষয়ে আলোচনা করেন প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা। তারা আমাদেরকে মাংস বিক্রির বিভিন্ন নিয়মকানুন সম্পর্কে অবহিত করেন।
উপজেলাবাসীর দাবী, অতি শীঘ্রই যেন ব্রাহ্মণপাড়ায় একটি স্লটার হাউজ নির্মাণ হয়। এতে করে পশুর মাংস কিনতে দ্বিদাবোধ হবে না। এখন তো কি পশু জবাই হচ্ছে বুঝাই মুশকিল।
এই বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে উপজেলাবাসী। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইজমাল হাসান বলেন, ব্রাহ্মণপাড়ায় আপাতত নির্দিষ্ট কোনো স্লটার হাউজ নেই।
বড়ধুশিয়া বাজারে স্লটার হাউজ হওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা। কিন্তু কি কারণে হচ্ছে না তা জানে না কেউই। তবে স্লটার হাউজ হলে উপজেলাবাসী উপকৃত হবে।