
মনির হোসাইন।।
সরকারের জনবান্ধব উদ্যোগগুলো মানুষকে জানাতে হবে, গ্রামীণ অবকাঠামোর উদ্যোগ মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে তাহলে মানুষের উপকার হবে। প্রতিবছর সরকার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক কর্মসূচি হাতে নেন এসব কর্মসূচি সম্পর্কে মানুষ অবগত না থাকায় তারা সেবা গ্রহণ করতে পারে না। সরকারের গ্রামীন অবকাঠামোর প্রকল্প সম্পর্কে সকল মানুষ অবগত না থাকায় অনেক মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
সকল জনপ্রতিনিধিদের উচিত সরকারের গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন ও জনবান্ধব কর্মসূচি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। জনবান্ধব কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে পারলে তারা বেশ উপকৃত হবে এবং সরকারের দেওয়া গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে দেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির সকল সেবা নির্দ্বিধায় গ্রহণ করতে পারবে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। তাছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিভিন্ন ভাতা ও বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়। এ সকল বিষয়ে জণপ্রতিনিধিরা মানুষকে সচেতন করতে হবে। মাদক ও বাল্যবিবাহ সম্পর্কে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
সোমবার মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে আয়োজিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, প্যানেল চেয়ারম্যান, প্রশাসক, সদস্য বৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরদের সরকারি ক্রয় পদ্ধতি, হিসাব ব্যবস্থাপনা, গ্রাম আদালত, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, এবং গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ সভায় কোর্স উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত থেকে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার এসব কথা বলেন।
এ সময় কোর্স পরিচালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার কুমিল্লার উপপরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী মাহমুদ আকন্দ, ওর সমন্বয়ক মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুর রহমান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর উপজেলায় কর্মরত ২২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং হিসাব সহকারি কর্মকর্তারা।
প্রশিক্ষণ বিষয়ক সভা শেষে জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার মুরাদনগর উপজেলায় আয়োজিত ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যগনের মাসব্যাপী বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি গ্রাম পুলিশদের দায়িত্ব ও কার্যক্রম নিয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।