১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রী কলেজের রুবি জয়ন্তী উপলক্ষে ৯৭ ব্যাচের আলোচনা ও রেজিস্ট্রেশন দেবিদ্বারে সাড়ে তিন বছরের শিশুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত চৌদ্দগ্রামে কাশিনগর ইউনিয়ন দক্ষিণ ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়া যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা কুমিল্লার লাভলী আক্তারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান কক্সবাজারের আনন্দযাত্রা সড়কেই শেষ, কুমিল্লার একই পরিবারের ৫ জন নিহত ক্যান্সার আক্রান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রভা বাঁচতে চায় মুরাদনগরে শিশু আদিবা হত্যার ঘটনায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার কুবিতে রোটারেক্ট ক্লাবের উদ্যোগে ‘স্টাডি অ্যাবরোড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

সিলেটকে হারিয়ে রেকর্ড ফাইনালে কুমিল্লা

  • তারিখ : ১১:২৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • 53

নিউজ ডেস্ক।।
রেকর্ড চতুর্থবার বাংলাদেশ প্রিমিয়াল লিগের (বিপিএল) ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলে আজ প্রথম কোয়ালিফায়ারে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা। এতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠল। একই নাম এবং এক স্বত্বাধিকারীর অধীনে বিপিএলে একমাত্র কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসই চারবার ফাইনালে খেলবে। আগের তিন ফাইনালে, প্রত্যেকবারই ট্রফি জিতেছে তারা।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে মাতানো সেরা চার ফেরিওয়ালা—মঈন আলি, আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারিন ও জনসন চার্লস ছিলেন আজ কুমিল্লা দলে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মোস্তফিজুর রহমান ও লিটন দাসের মতো দেশসেরা ক্রিকেটার। তাই সিলেটের সঙ্গে শক্তির পার্থক্যে কুমিল্লা এগিয়ে না থাকার কোনো কারণও ছিল না।

কুমিল্লার গতবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল নারিনের। কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল দুটোতেই ব্যাটিং-বোলিংয়ে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি। করেছিলেন বিপিএলের দ্রুততম দুই ফিফটি। এবারও কোয়ালিফায়ারে ক্যারিবিয়ান তারকা দেখালেন ব্যাটিং-বোলিংয়ের ঝলক।

৩.১ ওভার বোলিং করে মাত্র ৮ রান নিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। ৪ ছক্কা ও ৩ চারে ১৮ বলে ৩৯ রান ইনিংসে কুমিল্লার জয়ের ভিত গড়ে দেন। পরে মঈন আলির ২১, মোসাদ্দেকের ২৭ ও রাসেলের অপরাজিত ১৫ রানে সিলেটের দেওয়া ১২৬ রানের লক্ষ্য ২০ বল হাতে রেখেই তাড়া করে কুমিল্লা।

বরিশালের হয়ে পেসার রুবেল হোসেন ৩.৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। হারলেও দ্বিতীয় কোয়ারিফায়ারে ফাইনালে ওঠার আরও একটি সুযোগ পাবে সিলেট।

টস জিতে সিলেটকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। লিগ পর্ব থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল হিসেবে কোয়ালিফাই করে সিলেট। কিন্তু প্রথম কোয়ালিফায়ারে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল দেখাল এর বিপরীতি প্রদর্শনী। ১৭.১ ওভারে ১২৫ রানেই অলআউট হয়ে গেল সিলেট।

রানের মধ্যে থাকা তৌহিদ হৃদয়-জাকির হাসানরা রান করতে পারেননি। ১৬ রানের মধ্যে ফিরেছেন দুজন। তানভীর ইসলামের দুর্দান্ত এক থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরেছেন শূন্য রানে। ২ রানে মঈন আলির বলে নারিনের হাতে ক্যাচ দেন জাকির। এর আগে ফেরেন ওপেনার শফিকুল্লাহ গাফারি। দলের টপ অর্ডার ধসের পর ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে উঠে আসেন মাশরাফি।

শুরুতে রাসেল-মঈনদের বল খেলতে কিছুটা বেশ বেগ পেয়েছেন মাশরাফি। তবে বেশি সময় অপচয় করেননি। ২ ছক্কা ও ২ চারে ১৭ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। এই সময় নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে মাশরাফির জুটি হয়েছে ৫৬ রানের। মাশরাফির আউটের আর সিলেটের ইনিংসে আর বড় জুটির দেখা মেলেনি। সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৩৮ রান করেছেন শান্ত। আশা জাগিয়েও পূর্ণতা দিতে পারেননি মুশফিক। রাসেলের বলে চালর্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে তাঁর ইনিংস থেমেছে ২৯ রানে। কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তানভীর ইসলাম, রাসেল ও মোস্তাফিজ।

error: Content is protected !!

সিলেটকে হারিয়ে রেকর্ড ফাইনালে কুমিল্লা

তারিখ : ১১:২৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিউজ ডেস্ক।।
রেকর্ড চতুর্থবার বাংলাদেশ প্রিমিয়াল লিগের (বিপিএল) ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলে আজ প্রথম কোয়ালিফায়ারে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা। এতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠল। একই নাম এবং এক স্বত্বাধিকারীর অধীনে বিপিএলে একমাত্র কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসই চারবার ফাইনালে খেলবে। আগের তিন ফাইনালে, প্রত্যেকবারই ট্রফি জিতেছে তারা।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে মাতানো সেরা চার ফেরিওয়ালা—মঈন আলি, আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারিন ও জনসন চার্লস ছিলেন আজ কুমিল্লা দলে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মোস্তফিজুর রহমান ও লিটন দাসের মতো দেশসেরা ক্রিকেটার। তাই সিলেটের সঙ্গে শক্তির পার্থক্যে কুমিল্লা এগিয়ে না থাকার কোনো কারণও ছিল না।

কুমিল্লার গতবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল নারিনের। কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল দুটোতেই ব্যাটিং-বোলিংয়ে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি। করেছিলেন বিপিএলের দ্রুততম দুই ফিফটি। এবারও কোয়ালিফায়ারে ক্যারিবিয়ান তারকা দেখালেন ব্যাটিং-বোলিংয়ের ঝলক।

৩.১ ওভার বোলিং করে মাত্র ৮ রান নিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। ৪ ছক্কা ও ৩ চারে ১৮ বলে ৩৯ রান ইনিংসে কুমিল্লার জয়ের ভিত গড়ে দেন। পরে মঈন আলির ২১, মোসাদ্দেকের ২৭ ও রাসেলের অপরাজিত ১৫ রানে সিলেটের দেওয়া ১২৬ রানের লক্ষ্য ২০ বল হাতে রেখেই তাড়া করে কুমিল্লা।

বরিশালের হয়ে পেসার রুবেল হোসেন ৩.৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। হারলেও দ্বিতীয় কোয়ারিফায়ারে ফাইনালে ওঠার আরও একটি সুযোগ পাবে সিলেট।

টস জিতে সিলেটকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। লিগ পর্ব থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল হিসেবে কোয়ালিফাই করে সিলেট। কিন্তু প্রথম কোয়ালিফায়ারে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল দেখাল এর বিপরীতি প্রদর্শনী। ১৭.১ ওভারে ১২৫ রানেই অলআউট হয়ে গেল সিলেট।

রানের মধ্যে থাকা তৌহিদ হৃদয়-জাকির হাসানরা রান করতে পারেননি। ১৬ রানের মধ্যে ফিরেছেন দুজন। তানভীর ইসলামের দুর্দান্ত এক থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরেছেন শূন্য রানে। ২ রানে মঈন আলির বলে নারিনের হাতে ক্যাচ দেন জাকির। এর আগে ফেরেন ওপেনার শফিকুল্লাহ গাফারি। দলের টপ অর্ডার ধসের পর ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে উঠে আসেন মাশরাফি।

শুরুতে রাসেল-মঈনদের বল খেলতে কিছুটা বেশ বেগ পেয়েছেন মাশরাফি। তবে বেশি সময় অপচয় করেননি। ২ ছক্কা ও ২ চারে ১৭ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। এই সময় নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে মাশরাফির জুটি হয়েছে ৫৬ রানের। মাশরাফির আউটের আর সিলেটের ইনিংসে আর বড় জুটির দেখা মেলেনি। সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৩৮ রান করেছেন শান্ত। আশা জাগিয়েও পূর্ণতা দিতে পারেননি মুশফিক। রাসেলের বলে চালর্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে তাঁর ইনিংস থেমেছে ২৯ রানে। কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তানভীর ইসলাম, রাসেল ও মোস্তাফিজ।