০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রী কলেজের রুবি জয়ন্তী উপলক্ষে ৯৭ ব্যাচের আলোচনা ও রেজিস্ট্রেশন দেবিদ্বারে সাড়ে তিন বছরের শিশুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত চৌদ্দগ্রামে কাশিনগর ইউনিয়ন দক্ষিণ ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়া যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা কুমিল্লার লাভলী আক্তারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান কক্সবাজারের আনন্দযাত্রা সড়কেই শেষ, কুমিল্লার একই পরিবারের ৫ জন নিহত ক্যান্সার আক্রান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রভা বাঁচতে চায় মুরাদনগরে শিশু আদিবা হত্যার ঘটনায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার কুবিতে রোটারেক্ট ক্লাবের উদ্যোগে ‘স্টাডি অ্যাবরোড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নির্বিঘ্নে দৈহিক সম্পর্ক চালিয়ে রাখতেই পরকিয়া প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে খুন !

  • তারিখ : ০৪:২৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
  • 226

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় পল্লী বিদ‍্যুৎ কর্মকর্তা শরীফ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। প্রেমিকের সঙ্গে নির্বিঘ্নে দৈহিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে তাকে হত্যা করে স্ত্রী মোনালিসা হিমু। হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে হিমুর প্রেমিক মো. আশিক। ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে স্বামীকে হত্যার পর স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে বাসায় ফেলে চলে যায় সে।

তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২২ ডিসেম্বর আশিক ও ২৫ ডিসেম্বর হিমুকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে দুজনই হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা ডিবি পুলিশের এসআই ইকতিয়ার।

নিহত শরীফের স্ত্রী মোনালিসা হিমু সিরাজগঞ্জের হোসেনপুরের মো. আবদুল মান্নানের মেয়ে। মো. আশিক কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের চেঙ্গাচ্ছাল গ্রামের নাসিরুল আলমের ছেলে।

গ্রেফতারদের জবানবন্দি অনুযায়ী, নিহত শরীফ ও আসামি আশিকের চাচা রেজু মিয়া একই অফিসে চাকরি করতেন। এ কারণে দুইজনের পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়। সেই সুবাদে শরীফের বাড়িতে যাতায়াত করত আশিক। এক পর্যায়ে শরীফের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী মোনালিসা হিমুর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে আশিক। বিভিন্ন সময় দৈহিক সম্পর্কেও লিপ্ত হয় আশিক-হিমু।

এরই ধারাবাহিকতায় হিমু ও আশিক পরামর্শ করে- শরীফ তাদের জীবনে না থাকলে তারা নির্বিঘ্নে দৈহিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টায় আশিক হিমুর বাসায় গিয়ে ঘুমন্ত শরীফের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে সজোরে আঘাত করে। এতে ছটফট করতে করতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শরীফ। পরে তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে আশিক ও হিমু। ঘটনাটি অন্যদিকে নিতে হিমুকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে বাসা থেকে চলে যায় আশিক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইকতিয়ার জানান, ওই ঘটনায় প্রথমে বরুড়া থানায় মামলা হয়। পরে মামলার তদন্তভার পায় ডিবি পুলিশ। দীর্ঘ তদন্তের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হ’ত্যাকাণ্ডে জড়িত আশিক ও হিমুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দুজনই হত্যার দায় স্বীকার করে কুমিল্লা আদালতে জবানবন্দি দেয়।

error: Content is protected !!

নির্বিঘ্নে দৈহিক সম্পর্ক চালিয়ে রাখতেই পরকিয়া প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে খুন !

তারিখ : ০৪:২৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় পল্লী বিদ‍্যুৎ কর্মকর্তা শরীফ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। প্রেমিকের সঙ্গে নির্বিঘ্নে দৈহিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে তাকে হত্যা করে স্ত্রী মোনালিসা হিমু। হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে হিমুর প্রেমিক মো. আশিক। ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে স্বামীকে হত্যার পর স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে বাসায় ফেলে চলে যায় সে।

তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২২ ডিসেম্বর আশিক ও ২৫ ডিসেম্বর হিমুকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে দুজনই হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা ডিবি পুলিশের এসআই ইকতিয়ার।

নিহত শরীফের স্ত্রী মোনালিসা হিমু সিরাজগঞ্জের হোসেনপুরের মো. আবদুল মান্নানের মেয়ে। মো. আশিক কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের চেঙ্গাচ্ছাল গ্রামের নাসিরুল আলমের ছেলে।

গ্রেফতারদের জবানবন্দি অনুযায়ী, নিহত শরীফ ও আসামি আশিকের চাচা রেজু মিয়া একই অফিসে চাকরি করতেন। এ কারণে দুইজনের পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়। সেই সুবাদে শরীফের বাড়িতে যাতায়াত করত আশিক। এক পর্যায়ে শরীফের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী মোনালিসা হিমুর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে আশিক। বিভিন্ন সময় দৈহিক সম্পর্কেও লিপ্ত হয় আশিক-হিমু।

এরই ধারাবাহিকতায় হিমু ও আশিক পরামর্শ করে- শরীফ তাদের জীবনে না থাকলে তারা নির্বিঘ্নে দৈহিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টায় আশিক হিমুর বাসায় গিয়ে ঘুমন্ত শরীফের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে সজোরে আঘাত করে। এতে ছটফট করতে করতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শরীফ। পরে তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে আশিক ও হিমু। ঘটনাটি অন্যদিকে নিতে হিমুকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে বাসা থেকে চলে যায় আশিক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইকতিয়ার জানান, ওই ঘটনায় প্রথমে বরুড়া থানায় মামলা হয়। পরে মামলার তদন্তভার পায় ডিবি পুলিশ। দীর্ঘ তদন্তের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হ’ত্যাকাণ্ডে জড়িত আশিক ও হিমুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দুজনই হত্যার দায় স্বীকার করে কুমিল্লা আদালতে জবানবন্দি দেয়।