০২:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হোমনায় নার্সের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, তদন্তের দাবি কুমিল্লার তরুণ প্রজন্মের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন বুড়িচংয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কীটনাশক দোকানে জরিমানা কুমিল্লায় ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত, আহত ৪ কুমিল্লা নগরীর বিসিকে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ব্রাহ্মণপাড়ায় ৬ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ ট্রাক চালককে জরিমানা ব্রাহ্মণপাড়ায় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে পুকুর ও জলাশয়ে পোনামাছ অবমুক্তকরণ মনোহরগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে ৩০ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার মুরাদনগরে দানিক সমবায় সমিতেতে জমা অর্থ ফেরত পেতে গ্রাহকদের মানববন্ধন

কুমিল্লার হাটে গরু আছে ক্রেতা নেই, হতাশ খামারিরা!

  • তারিখ : ১১:৩৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
  • 8

কুমিল্লা নিউজ ডেস্ক।।
ঈদুল আজহা আসতে আর বেশিদিন বাকী নেই। জেলার বিভিন্ন পশুর হাটেই আছে পর্যাপ্ত পশু কিন্তু পর্যাপ্ত ক্রেতার দেখা নেই। এদিকে এখন অবধি পশুর ক্রেতা হাটে না আসায় এবং পশু বিক্রি করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ছেন প্রান্তিক খামারিরা।

বুধবার সকাল থেকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভরাসার, বাবুবাজার, ফকিরবাজার, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিরশ্বান্নী, নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নেউরা হাট ঘুরে দেখা যায় প্রচুর গরু এসেছে। পছন্দের পশুটি কিনতে ঘুরে ঘুরে দেখছেন, বিক্রেতার সঙ্গে করছেন দরদাম।

নগরীর নেউরা পশুর হাটে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, হাটে বড় গরুর আধিক্য। এ হাটে ১৫টি গরু এনেছেন খামারি জুয়েল মিয়া। সবচেয়ে ছোট গরুটির দাম চাচ্ছেন আড়াই লাখ টাকা। তার কাছে সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকার গরু রয়েছে।

আদর্শ সদর উপজেলার জালুয়াপাড়া এলাকার হাটে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু ভারতীয় গরু আছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা তাদের গরু নিয়ে এসেছেন।

খামারি-ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাটে প্রচুর গরু আছে কিন্তু ক্রেতা নেই বললেই চলে। এবার হাটগুলোয় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দুই লাখ টাকা দামের গরু উঠেছে।

গরু বিক্রি করতে আসা কৃষক রফিক সিকদার আলী বলেন, “দুটি গরু বিক্রি করতে হাটে তুলেছিলাম। দাম চাচ্ছি এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা। অথচ এই দুটি গরুর দাম বলছে ৭০-৮০ হাজার। ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে না পেরে গরু দুটো বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।”

হাটে গরু বিক্রি করতে আসা খামারি নবীন মিয়া বলেন, “দাম হাঁকিয়েছি দুই লাখ। কিন্তু এখন দেখছি ক্রেতা নেই। ব্যাপারি নেই। স্থানীয় কিছু ক্রেতা ও স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা দাম বলছে ৯০ থেকে এক লাখ। গরুর দাম একদমি নেই।

জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পশু নিয়ে হাটে এসেছেন পাইকারি বিক্রেতা, খামারি ও গবাদিপশু পালনকারী প্রান্তিক কৃষকরা। দেশি গরুতে বাজার ভরে গেছে। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়াও ৯০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের গরুর দাম ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে।

হাটের ইজারাদাররা বলছেন, হাটে পর্যাপ্ত গরু ছাগল আছে। কিন্তু সে অর্থে ক্রেতা এখনো আসেনি। আশাকরছি কাল পরশুর মধ্যে ক্রেতা সমাগম বাড়ার পাশাপাশি গরুও বিক্রি হবে। গতবারের তুলনায় এবার বেশি দাম দিয়েই গরু ক্রয় হবে। কেননা গরু উৎপাদনে খামারির দাম অনেক বেড়েছে। তাই যারাই গরু কিনতে আসুক না কেন গরু কেনার বাজেট বাড়িয়ে আসতে হবে। এছাড়াও হাটগুলোয় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাইকিং করা হচ্ছে। হাটে মাস্ক ব্যবহার করতে ক্রেতা-বিক্রেতাকে অনুরোধ করা হচ্ছে।

কুমিল্লার হাটে গরু আছে ক্রেতা নেই, হতাশ খামারিরা!

তারিখ : ১১:৩৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২

কুমিল্লা নিউজ ডেস্ক।।
ঈদুল আজহা আসতে আর বেশিদিন বাকী নেই। জেলার বিভিন্ন পশুর হাটেই আছে পর্যাপ্ত পশু কিন্তু পর্যাপ্ত ক্রেতার দেখা নেই। এদিকে এখন অবধি পশুর ক্রেতা হাটে না আসায় এবং পশু বিক্রি করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ছেন প্রান্তিক খামারিরা।

বুধবার সকাল থেকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভরাসার, বাবুবাজার, ফকিরবাজার, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিরশ্বান্নী, নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নেউরা হাট ঘুরে দেখা যায় প্রচুর গরু এসেছে। পছন্দের পশুটি কিনতে ঘুরে ঘুরে দেখছেন, বিক্রেতার সঙ্গে করছেন দরদাম।

নগরীর নেউরা পশুর হাটে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, হাটে বড় গরুর আধিক্য। এ হাটে ১৫টি গরু এনেছেন খামারি জুয়েল মিয়া। সবচেয়ে ছোট গরুটির দাম চাচ্ছেন আড়াই লাখ টাকা। তার কাছে সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকার গরু রয়েছে।

আদর্শ সদর উপজেলার জালুয়াপাড়া এলাকার হাটে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু ভারতীয় গরু আছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা তাদের গরু নিয়ে এসেছেন।

খামারি-ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাটে প্রচুর গরু আছে কিন্তু ক্রেতা নেই বললেই চলে। এবার হাটগুলোয় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দুই লাখ টাকা দামের গরু উঠেছে।

গরু বিক্রি করতে আসা কৃষক রফিক সিকদার আলী বলেন, “দুটি গরু বিক্রি করতে হাটে তুলেছিলাম। দাম চাচ্ছি এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা। অথচ এই দুটি গরুর দাম বলছে ৭০-৮০ হাজার। ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে না পেরে গরু দুটো বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।”

হাটে গরু বিক্রি করতে আসা খামারি নবীন মিয়া বলেন, “দাম হাঁকিয়েছি দুই লাখ। কিন্তু এখন দেখছি ক্রেতা নেই। ব্যাপারি নেই। স্থানীয় কিছু ক্রেতা ও স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা দাম বলছে ৯০ থেকে এক লাখ। গরুর দাম একদমি নেই।

জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পশু নিয়ে হাটে এসেছেন পাইকারি বিক্রেতা, খামারি ও গবাদিপশু পালনকারী প্রান্তিক কৃষকরা। দেশি গরুতে বাজার ভরে গেছে। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়াও ৯০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের গরুর দাম ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে।

হাটের ইজারাদাররা বলছেন, হাটে পর্যাপ্ত গরু ছাগল আছে। কিন্তু সে অর্থে ক্রেতা এখনো আসেনি। আশাকরছি কাল পরশুর মধ্যে ক্রেতা সমাগম বাড়ার পাশাপাশি গরুও বিক্রি হবে। গতবারের তুলনায় এবার বেশি দাম দিয়েই গরু ক্রয় হবে। কেননা গরু উৎপাদনে খামারির দাম অনেক বেড়েছে। তাই যারাই গরু কিনতে আসুক না কেন গরু কেনার বাজেট বাড়িয়ে আসতে হবে। এছাড়াও হাটগুলোয় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাইকিং করা হচ্ছে। হাটে মাস্ক ব্যবহার করতে ক্রেতা-বিক্রেতাকে অনুরোধ করা হচ্ছে।