১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়া যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা কুমিল্লার লাভলী আক্তারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান কক্সবাজারের আনন্দযাত্রা সড়কেই শেষ, কুমিল্লার একই পরিবারের ৫ জন নিহত ক্যান্সার আক্রান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রভা বাঁচতে চায় মুরাদনগরে শিশু আদিবা হত্যার ঘটনায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার কুবিতে রোটারেক্ট ক্লাবের উদ্যোগে ‘স্টাডি অ্যাবরোড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪নং ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা কুমিল্লায় ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ, প্রধান আসামি বাবু গ্রেফতার মুরাদনগরে ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশের আওতায় পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বাঁশি বাদক মনির নিহত

  • তারিখ : ১২:০১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
  • 26

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সদর দক্ষিণ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনির হোসেন এক বাঁশি বাদক নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ জুলাই) ভোর চারটায় উপজেলার বিজয়পুরের হরিশ্চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত প্যাড বাদক সহযোগী বোরহান উদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।

নিহত মনির হোসেন জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ধান্যদৌল গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।

নিহত মনির ও আহত বোরহান দুজনেই সাংস্কৃতির সংগঠন ‘দ্যা কালচারাল ফাউন্ডেশন অব কুমিল্লা’র সদস্য ছিলেন। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কান্তি দে (কিষাণ) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মনিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহত বোরহানের বরাতে তিনি বলেন, ভোর সাড়ে চারটার দিকে তারা লাকসামের একটি অনুষ্ঠানের শেষ করে কুমিল্লা ফিরছিল। যখন হরিশ্চর এলাকায় আসলো পেছন থেকে একটি বাস তা থেকে ধাক্কা দেয়। এসময় মনির হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে বোরহান কি উদ্ধার করে হাসপাতালে উদ্দেশ্যে গাড়িতে তুলে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকা কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেন।

এদিকে সংগঠনের আরেক সদস্য রাসেল দেওয়ান বলেন, তারা লাকসামে চারজন গিয়েছিল দুইটি বাইকে। দুজন সামনে ছিল। মনির ভাই এবং বোরহান পেছনে ছিল। দুর্ঘটনাকবলিত হলে মনির ভাই মারা যায় এবং বোরহানকে হাসপাতালে নেয়া হয়। আমাদের আজকে সন্ধ্যায় ভৈরবে আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথা। যে কারণে আমরা একটি বড় বাস ভাড়া নিয়েছি। এবং মনির ভাই লাকসাম থেকে আসলে ভৈরবের উদ্দেশ্যে রওনা দিতাম। আমরা সবাই যাচ্ছি কিন্তু মনির ভাইয়া যাচ্ছেন না। তিনি চলে গেলেন পরপাড়ে। আমাদের সবচেয়ে বড় সাহস ছিল মনির ভাই। দারুন বাঁশি বাজাতেন, শো মাতিয়ে রাখতে তার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

লাকসাম হাইওয়ে ক্রসিং ফাঁড়ির আইসি কাইয়ুম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমরা একটু আগেই খবর পেয়েছি। সেখানে পুলিশ গেছে। তবে কাউকে পায়নি। আমরা খবর নিচ্ছি।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী বাঁশি বাদক মনির নিহত

তারিখ : ১২:০১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সদর দক্ষিণ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনির হোসেন এক বাঁশি বাদক নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ জুলাই) ভোর চারটায় উপজেলার বিজয়পুরের হরিশ্চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত প্যাড বাদক সহযোগী বোরহান উদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।

নিহত মনির হোসেন জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ধান্যদৌল গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।

নিহত মনির ও আহত বোরহান দুজনেই সাংস্কৃতির সংগঠন ‘দ্যা কালচারাল ফাউন্ডেশন অব কুমিল্লা’র সদস্য ছিলেন। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কান্তি দে (কিষাণ) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মনিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহত বোরহানের বরাতে তিনি বলেন, ভোর সাড়ে চারটার দিকে তারা লাকসামের একটি অনুষ্ঠানের শেষ করে কুমিল্লা ফিরছিল। যখন হরিশ্চর এলাকায় আসলো পেছন থেকে একটি বাস তা থেকে ধাক্কা দেয়। এসময় মনির হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে বোরহান কি উদ্ধার করে হাসপাতালে উদ্দেশ্যে গাড়িতে তুলে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকা কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেন।

এদিকে সংগঠনের আরেক সদস্য রাসেল দেওয়ান বলেন, তারা লাকসামে চারজন গিয়েছিল দুইটি বাইকে। দুজন সামনে ছিল। মনির ভাই এবং বোরহান পেছনে ছিল। দুর্ঘটনাকবলিত হলে মনির ভাই মারা যায় এবং বোরহানকে হাসপাতালে নেয়া হয়। আমাদের আজকে সন্ধ্যায় ভৈরবে আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথা। যে কারণে আমরা একটি বড় বাস ভাড়া নিয়েছি। এবং মনির ভাই লাকসাম থেকে আসলে ভৈরবের উদ্দেশ্যে রওনা দিতাম। আমরা সবাই যাচ্ছি কিন্তু মনির ভাইয়া যাচ্ছেন না। তিনি চলে গেলেন পরপাড়ে। আমাদের সবচেয়ে বড় সাহস ছিল মনির ভাই। দারুন বাঁশি বাজাতেন, শো মাতিয়ে রাখতে তার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

লাকসাম হাইওয়ে ক্রসিং ফাঁড়ির আইসি কাইয়ুম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমরা একটু আগেই খবর পেয়েছি। সেখানে পুলিশ গেছে। তবে কাউকে পায়নি। আমরা খবর নিচ্ছি।