রাজিব হোসেন জয়, দাউদকান্দি।।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সদর উত্তর ইউনিয়নের হাসনাবাদ ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাইমুল হোসেন নাজমুলের নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তার পদ বাতিলের দাবিতে গণসাক্ষ্য দিয়েছেন এলাকাবাসী।
খোজ নিয়ে জানা যায়, নাজমুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ১৫১ জন ভুক্তভোগী স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন, বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম, জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা এবং চেরাম্যান, দাউদকান্দি সদর (উঃ) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
সরোজমিনে গেলে এলাকাবাসীরা জানান,জম্ম ও মৃত্যু সনদ করতে এবং কোন সরকারি সহায়তার জন্য গেল মেম্বারকে ঘুষ দিতে হয়। এছাড়াও জমি দখল, বিচারের নামে ঘুষ গ্রহন,অত্যাচার ও নির্যাতনসহ নানা অনিয়ম কাজে লিপ্ত রয়েছে। ত্রাসের রাজত্বের কর্যক্রম হিসেবে যখন ইচ্ছে গ্রামের বিভিন্ন ব্যক্তির গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। দরিদ্রদের জন্য প্রেরিত টিউবওয়েল নিজের জমিতে স্থাপন করা, গ্রামের কেউ টিউবওয়েল নিতে হলে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া, গ্রামে কেউ নতুন বাড়ি করলে কিংবা জমিতে বালু ভরাট করলে সেখান থেকে চাঁদা আদায়, গ্রাম্য বিচারের নামে তাঁর লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা মানুষকে নির্যাতন, নারী নির্যাতন, জোড় করে মানুষের বাড়ি দখল এবং মাদক ব্যবসা ছাড়াও প্রাচীন মহাজনি প্রথায় সুদের ব্যবসায় সহ প্রকাশ্যেই না-নান দূর্নীতি-অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সালমা আত্তার নামে একজন অভিযোগ করে বলেন, নাজমুল মেম্বারের ভয়ে আমরা ঢাকায় পালিয়ে থাকি। গ্রামের বাড়ী আসলে আমাদের প্রাণভয়ে থাকতে হয়। এভাবে আর কতোদিন গ্রাম ছেড়ে থাকবো। প্রশাসনের কাছে আমরা এর দ্রুত বিচার দাবি করছি।
প্রবাস ফেরত রিজভী বলেন, তার কাছ থেকে নাজমুল মেম্বার পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তিনি নাজমুলকে ইউপি সদস্য পদ থেকে অপসারণের দাবি জানান।
হাবিবুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, নাজমুল মেম্বাররা আট ভাই। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের অত্যাচারে অনেকেই গ্রাম ছাড়া। আমি নাজমুল মেম্বারকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করছি।
এলাকার সাধারণ মানুষের শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে যতো দ্রত সম্ভব দুর্নীতিবাজ মেম্বার নাজমুলকে অপসারণ করে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে এলাকাবাসী জোর দাবি জানান।
অভিযুত্ত ইউপি সদস্য নাইমুল হোসেন নাজমুল মেম্বার সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, আমার সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কিছু দুষ্কৃতকারী হেরে গিয়ে এই অপপ্রচার ও মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। বিষয়টি ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন তদন্ত করছেন। আশাকরি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সকল সত্য মিথ্যা প্রমাণিত হবে।