রোরো’র প্রণোদনার বীজ-সার পেলো কুমিল্লা সদরের সাড়ে ৩ হাজার কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চলতি রবি মৌসুমে বোরো ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কুমিল্লা সদর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের সাড়ে ৩ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে রোরো ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিভিন্ন ফসলের বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. মো. আমিনুল ইসলাম টুটুল। এতে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আউলিয়া খাতুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড. মো. আমিনুল ইসলাম টুটুল বলেন, দেশের সব সংকটে কৃষকরা জাতির হাল ধরেছেন। মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বে খাদ্য সংকট ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি চরম আকার ধারণ করেছে। ২০২৩ সালে চরম বৈশি^ক মন্দার আশংকা করা হচ্ছে। বৈশি^ক সংকট রোধে আমাদের প্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। আমরা বিশ্বাস করি নেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে বৈশ্বিক এ সংকট মোকাবিলায় নেতৃত্ব দেবে আমাদের কৃষকরা।

সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও কানিজ ফাতেমা বলেন, দেশের সংকট মোকাবেলায় কৃষিতে এ প্রনোদনা প্রদান সরকারের একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে আমাদের কৃষি বিভাগ। প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বীজ-সার বিতরণ কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করবে। কৃষকদের সরকারি প্রণোদনার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি অফিসার আউলিয়া খাতুন বলেন, অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে। বোরো ধান থেকে দেশের ৫৫ ভাগ চালের জোগান হয়ে থাকে। উৎপাদন খরচ বেশি হলেও ফলন বেশি হয় বোরোতে। রবি মৌসুমে ধান -সবজি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় মাঠে রয়েছে আমাদের কৃষি বিভাগ। সোনালি ধানের পাশাপশি শীতকালীন সবজি, হলুদ ও সবুজের মিশ্রণে সরিষার ক্ষেতসহ অন্য ফসলে ভরপুর থাকবে কুমিল্লার ফসলের মাঠ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সদর উপজেলায় সাড়ে ৩ হাজার জন কৃষকের মধ্যে প্রায় ১৯ লাখ টাকা মূল্যের বুরোর প্রণোদনা বিতরণের অংশ হিসেবে বীজ ধান ও সার বিতরণ করা হয়। সাড়ে ৩ হাজার কৃষকের মাঝে ১ হাজার ৭শ জন পেয়েছে হাইব্রীড ধান বীজ ও সার আর এক হাজার ৮ শ জন পেয়েছে উচ্চ ফলনশীল উফষী জাতের ধানের বীজ ও সার।

এর আগে গত মাসে এ কর্মসূচির পুনর্বাসন আওতায় প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে চাহিদা মোতাবেক গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম ও শীতকালীন খেসারী বীজ এবং ডিএপি ও এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছিল।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page