নেকবর হোসেন
কুমিল্লায় থার্টি-ফার্স্ট নাইটের পার্টি থেকে ডেকে নিয়ে ফয়সাল ইসলাম হৃদয় (১৯) নামে এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের একদিন পর সোমবার (২জানুয়ারি) সকালে নিহত হৃদয়ের বড় ভাই পারভেজ হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলাটি দায়ে করেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হানিফ সরকার। তিনি বলেন, হত্যার ঘটনায় হৃদয়ের ভাই সোমবার সকালে একটি মামলা করেছেন। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের যোগসূত্র পেলে গ্রেফতার দেখানো হবে।
এর আগে রবিবার (১ জানুয়ারি) ভোরে নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে নিউ ইয়ারের পার্টি থেকে ডেকে নিয়ে ফয়সাল ইসলাম হৃদয়কে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। নিহত হৃদয় দক্ষিণ চর্থা বড়পুকুর পাড় এলাকার বাবু মিয়ার ছেলে।
পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানান নিহতের স্বজনরা।
নিহত হৃদয়ের মামা জয়নাল আবেদিন জনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাংয়ের সাথে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল নিয়ে তার দ্বন্দ্ব হয়। তারা সেদিন হৃদয়কে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এরপর শনিবার দিবাগত রাতে হৃদয় ও তার বন্ধুরা বড় পুকুর পাড়ের প্রাইমারি স্কুলের সামনে থার্টি-ফার্স্ট নাইটে আনন্দ-উল্লাস করছিল। যাদের সাথে দ্বন্দ্ব ছিল তারা দক্ষিণ চর্থা পশ্চিম পাড়া এলাকায় পার্টি করছিল। পার্টি চলাকালীন তাদের পক্ষের কয়েকজন হৃদয়কে কৌশলে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে ছুরিকাঘাত করে ও শরীরের বিভিন্ন রগ কেটে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে গেলে তাকে রেখে সবাই পালিয়ে যায়।
নিহত হৃদয়ের বড় বোন শিউলি আক্তার জানান, ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা জয়ের পর হৃদয় আনন্দ মিছিল বের করে। এ সময় স্থানীয় কয়েক যুবকের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবকরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংশা হয়।
শনিবার রাতে হৃদয়সহ তার বন্ধুরা নিউ ইয়ার ২০২৩ উদযাপনে বাড়ির পাশে একটি পিকনিকের আয়োজন করে। ওই সময় কয়েকজন যুবক হৃদয়কে কৌশলে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে ছুরিকাঘাত করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানের রগ কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে সবাই পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page