নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লা ছেলে আল আমিন হত্যার ঘটনায় বান্দরবানে জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার আমির ও কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রধানসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে এ মামলা করেছেন নুরুল ইসলাম (৫৪)। ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে আল আমিনকে (২৩) হত্যার পর মরদেহ গুম করার অভিযোগে জঙ্গি সংগঠন শারক্কীয়ার আমির আনিসুর রহমান, কেএনএফ প্রধান নাথান বমসহ ২০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন তিনি।
আদালতের বিচারক নাজমুল হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট এম ডি খলিল গনমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট তাবলীগে যাওয়ার কথা বলে কুমিল্লার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন আমিনুল ইসলাম। পরে তিনি বান্দরবানে শারক্কীয়া ও কেএনএফের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যান। তবে র্যাবের অভিযানে আটক ৫ জঙ্গির তথ্যমতে, সেই ক্যাম্পে থাকতে না চাওয়ায় আমিনুলকে হত্যা করা হয়।
আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, কুমিল্লার মোখলেছুর রহমানের ছেলে আনিসুর রহমান মাহমুদ (৩২), শামীম মাহফুজ স্যার (৪৭), নারায়ণগঞ্জের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোশাররফ হোসেন বাবু (৩৪), সিলেটের হাফিজ মাওলানা হোসাইনের ছেলে আব্দুল্লাহ মায়মুন ওরফে শায়েখ (৩৪), সিলেটের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মাসকুর রহমান রনবীর (৪৪), সুনামগঞ্জের সৈয়দ আব্দুল কালামের ছেলে সৈয়দ মারুফ আহমেদ মানিক (৩১), আব্দুল কাদের সুজন ওরফে ফয়েজ সোহেল, কুমিল্লার মমতাজ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ হাবিব (৩৫), বান্দরবানের জাওতন লনচেও এর ছেলে নাথানা লনচেও ওরফে নাথান বম (৫০), লাল মোহন বিয়াল ওরফে কর্নেল সলোমান (৫০), কুমিল্লার রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. বায়োজিদ ইসলাম মোয়াজ ওরফে বাইরু (২১), নোয়াখালীর আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নিজামুদ্দিন হিরন ইউসুফ ওরফে বাপুয়াল(৩২), বান্দরবানের সাংবেম বমের ছেলে লালদন সাং বম পাদন (২৭), কুমিল্লার আব্দুর রহমানের ছেলে দিদার ওরফে চম্পাই (২৭), সিলেটের আব্দুস সালামের ছেলে শিবির আহমেদ (২৬), সাং ইসমাইল হোসেন হানজালা ওরফে ফাহিম, কুমিল্লার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সালেহ আহম্মদ সাইহা (২৭), সিলেটের মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সাদিকুর রহমান সুমন ওরফে ফারকুন (২৯) এবং কুমিল্লা মজিবুর রহমানের ছেলে ইমরান বিন রহমান শিথিল ওরফে বিল্লাল (১৮)।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি গ্রেপ্তার জঙ্গিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম লুয়ংমুয়াল পাড়া এলাকায় মরদেহ উদ্ধারে যায় পুলিশ, র্যাব ও স্থানীয় প্রশাসনের একটি দল। তবে পাহাড়ে সন্ধান পাওয়া কবরটি খোড়া হলেও তাতে মরদেহ পাওয়া যায়নি বলে জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page