০২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাজধানীতে ২৬ টুকরা লাশের ঘটনার মূলহোতা কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার বুড়িচংয়ে পুকুরে সেচ পাম্পে সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু চৌদ্দগ্রামে গুনবতী জনসভার সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে ইউনিয়ন জামায়াতের সংবাদ সম্মেলন চৌদ্দগ্রামে উজিরপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত গোমতী কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে প্রবাসীর মৃত্যু কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ; লটারি পদ্ধতি বহাল ফ্যাসিবাদ মোকাবেলা ব্যর্থ ইউনূস সরকার; কুমিল্লায় ইসলামী ৮ দলের নেতারা কুমিল্লা-৪ আসনে এনসিপির মনোনয়ন ফরম কিনলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

দেবিদ্বারে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে স্কুল ছাত্রীর অনশন

  • তারিখ : ০৮:০৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩
  • 27

দেবিদ্বার প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে বিয়ের দাবিতে গত পাঁচদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক স্কুলছাত্রী (১৫)। গত শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে এখনো পর্যন্ত কলেজ ছাত্রের বাড়ীতে অবস্থান নিয়েছেন ওই ছাত্রী।

ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার বাড়িতে। ওই ছাত্রীর নাম সুমাইয়া আক্তার। সে দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর হাজী আমির উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী এবং রসুলপুর গ্রামের মো.শাহজাহান মিয়ার মেয়ে। অপরদিকে ওই কলেজ ছাত্রের নাম নাজমুল হাসান টিটু। সে জীবনপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় একটি কলেজর একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।

স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমাদের পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। আমাদের মধ্যে একাধিকবার শারিরিক সম্পর্ক হয়েছে। নাজমুল গত বৃহস্পতিবার (৩০মার্চ) সন্ধ্যায় বাজারের যাওয়ার পথে আমার বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে। পরে তাকে রশি দিয়ে বেঁধে এলোপাতারি মারধর করে। আমি দৌড়ে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা আমাকে একটি কক্ষে আটক করে রাখে। পরে তাঁরা নাজমুল যেন এলাকা ছাড়ে এ শর্তে খালি স্টেম্পে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেয়। পরে আমার কয়েকজন সহপাঠি আমাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও অপমান শুরু করলে নাজমুলের বাড়িতে চলে আসি। এখন আমাদের বিয়ে না হলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন পথ থাকবে না।

নাজমুলের বাবা দুলাল মিয়া বলেন, তাজুল মিস্ত্রি হুমায়ুনসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার ছেলেকে মারধর করা হয়েছে। সে এখন ভয়ে বাড়িতে আসতে পারছে না। মেয়ে গত শুক্রবার আমার বাড়িতে চলে এসেছে। তাকে ফিরানোর জন্য তার পক্ষের লোকজনের সাথে কথা বার্তা চলছে। এটি দ্রুত সমাধান করা হবে। এ বিষয়ে জানতে ওই স্কুলছাত্রীর চাচা তাজুল ইসলামকে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

রসুলপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো.আনিছুর রহমান বলেন, স্কুলছাত্রী সুমাইয়া সম্পর্কে আমার প্রতিবেশী ভাতিজি হয়। কলেজ ছাত্র নাজমুলের সাথে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাজমুলকে সুমাইয়ার চাচা রাজমিস্ত্রি তাজুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে। পরে তাকে এলাকা ছাড়ার শর্তে খালি স্টেম্পে স্বাক্ষর রেখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। এখন শুনেছি নাজমুলকে মারধর করায় লজ্জায় বিয়ের দাবিতে ওই মেয়ে নাজমুলের বাড়িতে অবস্থান করছে।

error: Content is protected !!

দেবিদ্বারে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে স্কুল ছাত্রীর অনশন

তারিখ : ০৮:০৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

দেবিদ্বার প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে বিয়ের দাবিতে গত পাঁচদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক স্কুলছাত্রী (১৫)। গত শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে এখনো পর্যন্ত কলেজ ছাত্রের বাড়ীতে অবস্থান নিয়েছেন ওই ছাত্রী।

ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার বাড়িতে। ওই ছাত্রীর নাম সুমাইয়া আক্তার। সে দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর হাজী আমির উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী এবং রসুলপুর গ্রামের মো.শাহজাহান মিয়ার মেয়ে। অপরদিকে ওই কলেজ ছাত্রের নাম নাজমুল হাসান টিটু। সে জীবনপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় একটি কলেজর একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।

স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমাদের পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। আমাদের মধ্যে একাধিকবার শারিরিক সম্পর্ক হয়েছে। নাজমুল গত বৃহস্পতিবার (৩০মার্চ) সন্ধ্যায় বাজারের যাওয়ার পথে আমার বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে। পরে তাকে রশি দিয়ে বেঁধে এলোপাতারি মারধর করে। আমি দৌড়ে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা আমাকে একটি কক্ষে আটক করে রাখে। পরে তাঁরা নাজমুল যেন এলাকা ছাড়ে এ শর্তে খালি স্টেম্পে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেয়। পরে আমার কয়েকজন সহপাঠি আমাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও অপমান শুরু করলে নাজমুলের বাড়িতে চলে আসি। এখন আমাদের বিয়ে না হলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন পথ থাকবে না।

নাজমুলের বাবা দুলাল মিয়া বলেন, তাজুল মিস্ত্রি হুমায়ুনসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার ছেলেকে মারধর করা হয়েছে। সে এখন ভয়ে বাড়িতে আসতে পারছে না। মেয়ে গত শুক্রবার আমার বাড়িতে চলে এসেছে। তাকে ফিরানোর জন্য তার পক্ষের লোকজনের সাথে কথা বার্তা চলছে। এটি দ্রুত সমাধান করা হবে। এ বিষয়ে জানতে ওই স্কুলছাত্রীর চাচা তাজুল ইসলামকে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

রসুলপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো.আনিছুর রহমান বলেন, স্কুলছাত্রী সুমাইয়া সম্পর্কে আমার প্রতিবেশী ভাতিজি হয়। কলেজ ছাত্র নাজমুলের সাথে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাজমুলকে সুমাইয়ার চাচা রাজমিস্ত্রি তাজুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে। পরে তাকে এলাকা ছাড়ার শর্তে খালি স্টেম্পে স্বাক্ষর রেখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। এখন শুনেছি নাজমুলকে মারধর করায় লজ্জায় বিয়ের দাবিতে ওই মেয়ে নাজমুলের বাড়িতে অবস্থান করছে।