০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় র‍্যাব-১১ এর অভিযানে ৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার মুরাদনগরের আকুবপুর ইউপিতে প্রশাসকের দায়িত্বে পাভেল খান পাপ্পু বুড়িচংয়ে মা-মেয়ের আত্মহত্যা: সৎকারে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ে ঘটনায় ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ১৭ জনকে শোকজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসে “সফল আত্মকর্মী” পুরস্কার পেলেন কুমিল্লার লাভলী ৪৩তম জাতীয় জেলা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ রানার্সআপ প্রাইজমানি বিতরণ কুমিল্লায় ৩০ বছরের জলাবদ্ধতা নিরসনে পানিতে নেমে খাল খনন করলেন বিএনপি নেতারা বাংলা প্রেসক্লাব ভেনিসের আয়োজনে তুহিন হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সভা কুমিল্লার সংরাইশ সরকারি শিশু পরিবারে ফল উৎসব ও সেলাই মেশিন বিতরন কুমিল্লার মুরাদনগরে মামলায় আটক বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীর জামিন

কুমিল্লায় আগুন-পুড়ে গেছে ১৫ মুদি দোকান; ঈদের আগে নিঃস্ব ব্যবসায়ীদের বোবা কান্না

  • তারিখ : ০৩:১৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩
  • 2

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার কংশনগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঘটনা ঘটেছে। বুধবার গভীর রাতের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ টি মুদি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ৪ টি ইউনিটের ৫ ঘন্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে । ততক্ষনে ব্যবসায়ীদের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যায়। কোরবানীর ঈদের আগে অগ্নিকাণ্ডের এমন ঘটনায় বোবা কান্না বুক চাপরাচ্ছেন নিঃস্ব ব্যবসায়ীরা। কি করবেন কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইসমাইল হোসেন। পুলিশ কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।

ইউসুফ স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী আবু ইউসুফ বলেন, আগুনের ঘটনা শুনে বাজারে এসে দেখি আমার সব শেষ। আমি এখন কি করবো। কেউ বলেন আমি কি করবো।

কাশেম স্টের্সের স্বত্তাধিকারী হাসান কোন কথাই বলতে পারছেন না। একই অবস্থা আরেক দোকানী রঞ্জিত দত্তের। চোখের কোনে পানি। বোবা কান্না করছেন তারা।

সাদ্দাম ব্রয়লার হাউজের স্বত্তাধিকারী সাদ্দাম বলেন, সাড়ে ৩শ মুরগী পুড়ে গেছে। আমার মত সবার অবস্থা। একটা খড়কুটোও নেই। সব পুড়ে গেছে।

কংশনগর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, রাত প্রায় ২ টায় বাজারের নৈশপ্রহরী আমাকে ফোন দিয়ে জানায় বাজারে আগুন লাগছে। আমি ঘটনা শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেই। চোখের সামনে দোকানপাট পুড়তে দেখেছি। ৪ টা ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে। সকালে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। ব্যবসায়ী নেতা মিজান আরো বলেন, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দোকানীাভ মুদিমাল এনেছেন। এখন সব পুড়ে গেছে। কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেলো।

কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাস বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সবগুলো দোকান টিনের। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমরা কুমিল্লাসহ অন্যান্য উপজেলা থেকে মোট ৪ টি ইউনিট একযোগে কাজ করেছি। পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।

কুমিল্লায় আগুন-পুড়ে গেছে ১৫ মুদি দোকান; ঈদের আগে নিঃস্ব ব্যবসায়ীদের বোবা কান্না

তারিখ : ০৩:১৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার কংশনগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঘটনা ঘটেছে। বুধবার গভীর রাতের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ টি মুদি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ৪ টি ইউনিটের ৫ ঘন্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে । ততক্ষনে ব্যবসায়ীদের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যায়। কোরবানীর ঈদের আগে অগ্নিকাণ্ডের এমন ঘটনায় বোবা কান্না বুক চাপরাচ্ছেন নিঃস্ব ব্যবসায়ীরা। কি করবেন কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইসমাইল হোসেন। পুলিশ কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।

ইউসুফ স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী আবু ইউসুফ বলেন, আগুনের ঘটনা শুনে বাজারে এসে দেখি আমার সব শেষ। আমি এখন কি করবো। কেউ বলেন আমি কি করবো।

কাশেম স্টের্সের স্বত্তাধিকারী হাসান কোন কথাই বলতে পারছেন না। একই অবস্থা আরেক দোকানী রঞ্জিত দত্তের। চোখের কোনে পানি। বোবা কান্না করছেন তারা।

সাদ্দাম ব্রয়লার হাউজের স্বত্তাধিকারী সাদ্দাম বলেন, সাড়ে ৩শ মুরগী পুড়ে গেছে। আমার মত সবার অবস্থা। একটা খড়কুটোও নেই। সব পুড়ে গেছে।

কংশনগর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, রাত প্রায় ২ টায় বাজারের নৈশপ্রহরী আমাকে ফোন দিয়ে জানায় বাজারে আগুন লাগছে। আমি ঘটনা শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেই। চোখের সামনে দোকানপাট পুড়তে দেখেছি। ৪ টা ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে। সকালে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। ব্যবসায়ী নেতা মিজান আরো বলেন, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দোকানীাভ মুদিমাল এনেছেন। এখন সব পুড়ে গেছে। কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেলো।

কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাস বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সবগুলো দোকান টিনের। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমরা কুমিল্লাসহ অন্যান্য উপজেলা থেকে মোট ৪ টি ইউনিট একযোগে কাজ করেছি। পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।