০৮:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খেলাধুলা যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখে -সফিকুর রহমান বুড়িচংয়ে আ’লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের গ্রেপ্তার বুড়িচংয়ে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, দুইটি ইটভাটা উচ্ছেদ জয়পুর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির ৬১ তম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী শামীম গ্রেপ্তার জাতীয় পর্যায়ের তুলনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন- ড. ইমরান আনসারী কোনো ষড়যন্ত্রই কুমিল্লা-৬ আসনের মানুষের সঙ্গে আমার বন্ধন ভাঙতে পারবে না-হাজী ইয়াছিন কুমিল্লা-৯ আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মোঃ শফিকুর রহমান কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনে বিএনপির প্রার্থী কামরুল হুদার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ বুড়িচংয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত

কুমিল্লায় ফাঁসির কয়েক ঘণ্টা আগে প্রাণভিক্ষা পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা রাখাল মুক্তি পেলেন

  • তারিখ : ১১:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩
  • 61

নেকবর হোসেন।।
ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে প্রাণভিক্ষা পাওয়া কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বেগমাবাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র সাহা অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে কুমিল্লা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে করা একটি হত্যা মামলায় রাখাল চন্দ্র সাহাকে আসামি করা হয়। এ মামলায় তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়। কিন্তু এ বীর মুক্তিযোদ্ধা আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা মামলা পরিচালনার জন্য অর্থ সংস্থান করতে পারেননি। সব আদালতে তাঁর ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকে।

রায় কার্যকর করার বিষয়ে তাঁর বাড়িতে কারা কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠায়। ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল চিঠিটি পায় তাঁর পরিবার। ওই বছর ৭ এপ্রিল রাত ১১টায় রায় কার্যকর করার সময় নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়টি ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠন তৎকালীন জরুরি অবস্থা ভঙ্গ করে এ মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসির দণ্ড রহিত করার দাবিতে সারা দেশে মানববন্ধন ও নানা কর্মসূচি পালন করে।

রাখাল চন্দ্রের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুমিল্লায় অনশনে বসেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমটির সভাপতি হুমায়ুন কবিরসহ কুমিল্লার মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানেরা। সরকারের কাছে আবেদন করা হয়।

পরের দিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ‘মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসি কাল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি রাষ্ট্রপতিকে এ মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসির দণ্ড মওকুফ করার অনুরোধ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফাঁসির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তা রহিত করা হয়। পরে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

কারাগারে ভালো কাজ করায় ৩০ বছর কারাদণ্ড থেকে প্রায় ছয় বছর দণ্ড মওকুফ করে কারা কর্তৃপক্ষ। অবশেষে দীর্ঘ ২৪ বছরের কারাজীবনের অবসান হলো এ বীর মুক্তিযোদ্ধার। আজ কুমিল্লা কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র সাহাকে এ সময় ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংগঠনের কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তরিকুর রহমান জুয়েল, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শাহ পরান সিদ্দিকী তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মাছুম, রাখাল চন্দ্র সাহার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।

মুক্তি পেয়ে রাখাল চন্দ্র বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি একটি হত্যা মামলায় আসামি হয়েছিলাম। দারিদ্র্যের কারণে আমার পক্ষে উকিল রাখতে পারিনি। আদালত আমাকে ফাঁসির রায় দিয়েছিল। আমাদের সন্তানেরা অনেক কষ্ট করেছে, আন্দোলন করেছে। তাদের কারণে আমি আবার পৃথিবীর আলো দেখতে পেরেছি। তাদের ঋণ শোধ করার মতো নয়। সকলের প্রতি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা।’

ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র সাহা বলেন, ‘একটি মিথ্যা খুনের মামলায় আমার বাবার ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রাণভিক্ষার দাবি জানিয়েছিলাম। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবিরসহ সবার আন্দোলন, বিভিন্ন মিডিয়ার ভূমিকার কারণে ও রাষ্ট্রপতির দয়ায় আমরা আমার বাবাকে ফিরে পেয়েছি। বাবার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা বাকি ছিল, ঠিক তখনই বাবার ফাঁসির কার্যকর সংশোধন করা হয়েছে। আজ বাবার সাজা শেষ হওয়াই মুক্তি পেয়েছেন। আমাদের পরিবার আজ আনন্দিত।’

আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘১৯৯৯ সালে দেবিদ্বারে বেগমবাদ গ্রামে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এই হত্যা মামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র সাহা আসামি হয়ে কারাগারে যান। আদালত ২০০৩ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অসহায় রাখাল চন্দ্র সাহার পক্ষে মামলার পরিচালনার ব্যয় বহন করার কোনো ক্ষমতা ছিল না। তাঁর বিপক্ষে ছিল সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু।

তাঁর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করার আগে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা একজন মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসি থেকে রক্ষা করতে সারা দেশে আন্দোলন শুরু করি। তারই ধারাবাহিকতায় তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের অনুরোধে রাষ্ট্রপতি এই মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসির রায় সংশোধন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে রক্ষা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘১৯৯৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে আসেন মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র সাহা। ৩০ বছর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হন। জেল কোড অনুযায়ী ভালো ও বিশেষ কাজের জন্য ৫ বছর ৭ মাস ২৬ দিন সাজা মওকুফ পান। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়াই রোববার (২ জুলাই) তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ফাঁসির কয়েক ঘণ্টা আগে প্রাণভিক্ষা পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা রাখাল মুক্তি পেলেন

তারিখ : ১১:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩

নেকবর হোসেন।।
ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে প্রাণভিক্ষা পাওয়া কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বেগমাবাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র সাহা অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে কুমিল্লা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে করা একটি হত্যা মামলায় রাখাল চন্দ্র সাহাকে আসামি করা হয়। এ মামলায় তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়। কিন্তু এ বীর মুক্তিযোদ্ধা আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা মামলা পরিচালনার জন্য অর্থ সংস্থান করতে পারেননি। সব আদালতে তাঁর ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকে।

রায় কার্যকর করার বিষয়ে তাঁর বাড়িতে কারা কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠায়। ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল চিঠিটি পায় তাঁর পরিবার। ওই বছর ৭ এপ্রিল রাত ১১টায় রায় কার্যকর করার সময় নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়টি ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠন তৎকালীন জরুরি অবস্থা ভঙ্গ করে এ মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসির দণ্ড রহিত করার দাবিতে সারা দেশে মানববন্ধন ও নানা কর্মসূচি পালন করে।

রাখাল চন্দ্রের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুমিল্লায় অনশনে বসেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমটির সভাপতি হুমায়ুন কবিরসহ কুমিল্লার মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানেরা। সরকারের কাছে আবেদন করা হয়।

পরের দিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ‘মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসি কাল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি রাষ্ট্রপতিকে এ মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসির দণ্ড মওকুফ করার অনুরোধ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফাঁসির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তা রহিত করা হয়। পরে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

কারাগারে ভালো কাজ করায় ৩০ বছর কারাদণ্ড থেকে প্রায় ছয় বছর দণ্ড মওকুফ করে কারা কর্তৃপক্ষ। অবশেষে দীর্ঘ ২৪ বছরের কারাজীবনের অবসান হলো এ বীর মুক্তিযোদ্ধার। আজ কুমিল্লা কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র সাহাকে এ সময় ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংগঠনের কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তরিকুর রহমান জুয়েল, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শাহ পরান সিদ্দিকী তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মাছুম, রাখাল চন্দ্র সাহার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।

মুক্তি পেয়ে রাখাল চন্দ্র বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি একটি হত্যা মামলায় আসামি হয়েছিলাম। দারিদ্র্যের কারণে আমার পক্ষে উকিল রাখতে পারিনি। আদালত আমাকে ফাঁসির রায় দিয়েছিল। আমাদের সন্তানেরা অনেক কষ্ট করেছে, আন্দোলন করেছে। তাদের কারণে আমি আবার পৃথিবীর আলো দেখতে পেরেছি। তাদের ঋণ শোধ করার মতো নয়। সকলের প্রতি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা।’

ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র সাহা বলেন, ‘একটি মিথ্যা খুনের মামলায় আমার বাবার ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রাণভিক্ষার দাবি জানিয়েছিলাম। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবিরসহ সবার আন্দোলন, বিভিন্ন মিডিয়ার ভূমিকার কারণে ও রাষ্ট্রপতির দয়ায় আমরা আমার বাবাকে ফিরে পেয়েছি। বাবার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা বাকি ছিল, ঠিক তখনই বাবার ফাঁসির কার্যকর সংশোধন করা হয়েছে। আজ বাবার সাজা শেষ হওয়াই মুক্তি পেয়েছেন। আমাদের পরিবার আজ আনন্দিত।’

আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘১৯৯৯ সালে দেবিদ্বারে বেগমবাদ গ্রামে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এই হত্যা মামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র সাহা আসামি হয়ে কারাগারে যান। আদালত ২০০৩ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অসহায় রাখাল চন্দ্র সাহার পক্ষে মামলার পরিচালনার ব্যয় বহন করার কোনো ক্ষমতা ছিল না। তাঁর বিপক্ষে ছিল সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু।

তাঁর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করার আগে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা একজন মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসি থেকে রক্ষা করতে সারা দেশে আন্দোলন শুরু করি। তারই ধারাবাহিকতায় তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের অনুরোধে রাষ্ট্রপতি এই মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসির রায় সংশোধন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে রক্ষা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘১৯৯৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে আসেন মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র সাহা। ৩০ বছর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হন। জেল কোড অনুযায়ী ভালো ও বিশেষ কাজের জন্য ৫ বছর ৭ মাস ২৬ দিন সাজা মওকুফ পান। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়াই রোববার (২ জুলাই) তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’