নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার বরুড়া চাঞ্চল্যকর আব্দুস সাত্তার হত্যা মামলার ০৫ আসামীকে দাউদকান্দি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব একটি যৌথ দল।
গত ০১ সেপ্টেম্বর বরুড়া জালগাঁও গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৫৫) খুন হয়। বাদীর দায়েরকৃত এজাহারের মাধ্যমে জানা যায় যে, বরুড়া থানার জালগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার (৫৫) এর সাথে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলতে থাকে। এরই জের ধরে গত ০১ সেপ্টেম্বর তার নিজ জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ও সাথে থাকা অন্য পলাতক আসামীরা লাঠিশোঠা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে মাথায় আঘাত করে।
এর ফলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় অন্যান্য আসামীরা তাদের সাথে থাকা লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে আহত করে। বাঁচার আশায় সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি কচু ক্ষেতের জলার মধ্যে উপস্থিত হলে গ্রেফতারকৃত আসামী ইমন, রাজ্জাক ও আজাদ তাদের সাথে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সাত্তার বাম পা ভেঙে দেয় এবং চাকু দিয়ে আঘাত করে ভিকটিমের সাত্তাররে দুই পায়ের হাটুর নিচে ছিদ্র করে ফেলে।
সাত্তাররে মৃত্যু নিশ্চিত জেনে আসামীরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সাত্তাররে স্ত্রী সহ অন্যান্য লোকজন ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করে সিএনজি যোগে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে সাত্তার স্ত্রী রোশন আরা বেগম (৪০) বাদী হয়ে বরুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের নিমিত্তে র্যাব-১১ও র্যাব-০২,ঢাকা মাঠ পর্যায়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে।
ছায়া তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য ও গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ ও র্যাব-০২,এর একটি যৌথ দল গত ১৮ সেপ্টেম্বর দাউদকান্দি থানার টোল প্লাজা এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে এই হত্যা মামলার আসামী ইমন (২০), পিতা-মোঃ বাবুল, আব্দুর রাজ্জাক (৪৫), পিতা-মৃত আবুল হাসেম, সেকান্দার আলী (৬০), পিতা-মৃত কলিম উদ্দিন, জয়নাল (৪৬), পিতা-মৃত আব্দুল গনি ও আজাদ (৪০), পিতা- মৃত আব্দুল গনি, সর্ব সাং- জালগাঁও, থানা-বরুড়া,জেলা-কুমিল্লা’কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরুড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page