১২:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার হোমনায় পৃথক স্থান থেকে দুটি লাশ উদ্ধার কুমিল্লায় নদীপথে চাঁদাবাজি, নৌপুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১ ‎ব্রাহ্মণপাড়ায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইজমাল হাসানের বিদায় সংবর্ধনা ব্রাহ্মণপাড়ায় আগুনে সর্বস্ব হারালেন রোস্তম আলী মুরাদনগর সমিতি-ঢাকার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন এম আই জামাল সিদ্দিকী কুমিল্লায় ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি দুলাল হত্যার বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন কুমিল্লায় এশিয়া বাসচাপায় তিশা ট্রান্সপোর্টের সুপারভাইজার নিহত সংযুক্ত আরব আমিরাতস্থ চৌদ্দগ্রাম বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কামরুল হুদার মতবিনিময় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ৫৪ বছরের কলঙ্কমুক্ত হবে দেশ: ডা. তাহের ব্রাহ্মণপাড়ায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ছাত্রশিবিরের সংবর্ধণা

কুমিল্লায় অনিয়মের দায়ে একটি হাসপাতাল সিলগালা; দুই লাখ টাকা জরিমানা

  • তারিখ : ১০:৩০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
  • 1

নিউজ ডেস্ক।।
বিভিন্ন হাসপাতালে শুরু হয় অভিযান। এই ভয়ে হাসপাতাল বন্ধ করে পালিয়েছে সবাই। পুরো হাসপাতাল খালি। নেই অভ্যর্থনাকারী। না আছে কোনও চিকিৎসক, নার্স বা প্যাথলজিস্ট। জ্বলছিল না কোনও আলো। যেন ভূতের আস্তানা। অথচ গতকালও এই হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। এমন ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে। নাম কুইন্স ডিজিটাল হাসপাতাল লিমিটেড।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকার এই হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের অভিযান চলে। বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে হাসপাতালটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানাসহ সিলগালা করা হয়।

সূত্র জানায়, হাসপাতালটির কোনও লাইসেন্স কিংবা অনুমতিপত্র ছিল না। নিয়ম না মেনেই সাততলা আবাসিক ভবনের পাঁচটি ফ্লোরের ফ্ল্যাটগুলোকে কেবিন ও ওয়ার্ড বানিয়ে কুইন্স ডিজিটাল হাসপাতাল নামের কথিত এই সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে নগরীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোনও ডিউটি ডাক্তার ছাড়াই চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিল। অভিযানের খবর শুনে ভয়ে সকাল থেকেই কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল রেখে পালিয়ে যায়। যদিও ভবনের কেয়ারটেকার বলছেন, তিন মাসের ভাড়া বকেয়া থাকায় তাদের চলে যেতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার অভিযানের সময়ও কাউকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে ছিল না কোনও রোগী বা চিকিৎসক। পাওয়া যায়নি দায়িত্বরত কোনও কর্মকর্তাকে। পুরো ভবনের কেয়ারটেকার হাসপাতালের সামনে বসেছিলেন। এ সময় বিভিন্ন মাধ্যমে সহযোগিতা নিয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে এনে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হয়। পরে কোনও কাগজপত্র না দেখাতে পারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ডা. মো. আবদুল কাইয়ুম। অভিযান নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদার।

ডা. মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালটি অনুমতি ছাড়া অস্ত্রোপচার, রোগী ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে আসছিল। এ ছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে কোনও ডিউটি ডাক্তার বা কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায়নি। এমন অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

কুমিল্লায় অনিয়মের দায়ে একটি হাসপাতাল সিলগালা; দুই লাখ টাকা জরিমানা

তারিখ : ১০:৩০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

নিউজ ডেস্ক।।
বিভিন্ন হাসপাতালে শুরু হয় অভিযান। এই ভয়ে হাসপাতাল বন্ধ করে পালিয়েছে সবাই। পুরো হাসপাতাল খালি। নেই অভ্যর্থনাকারী। না আছে কোনও চিকিৎসক, নার্স বা প্যাথলজিস্ট। জ্বলছিল না কোনও আলো। যেন ভূতের আস্তানা। অথচ গতকালও এই হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। এমন ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে। নাম কুইন্স ডিজিটাল হাসপাতাল লিমিটেড।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকার এই হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের অভিযান চলে। বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে হাসপাতালটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানাসহ সিলগালা করা হয়।

সূত্র জানায়, হাসপাতালটির কোনও লাইসেন্স কিংবা অনুমতিপত্র ছিল না। নিয়ম না মেনেই সাততলা আবাসিক ভবনের পাঁচটি ফ্লোরের ফ্ল্যাটগুলোকে কেবিন ও ওয়ার্ড বানিয়ে কুইন্স ডিজিটাল হাসপাতাল নামের কথিত এই সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে নগরীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোনও ডিউটি ডাক্তার ছাড়াই চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিল। অভিযানের খবর শুনে ভয়ে সকাল থেকেই কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল রেখে পালিয়ে যায়। যদিও ভবনের কেয়ারটেকার বলছেন, তিন মাসের ভাড়া বকেয়া থাকায় তাদের চলে যেতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার অভিযানের সময়ও কাউকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে ছিল না কোনও রোগী বা চিকিৎসক। পাওয়া যায়নি দায়িত্বরত কোনও কর্মকর্তাকে। পুরো ভবনের কেয়ারটেকার হাসপাতালের সামনে বসেছিলেন। এ সময় বিভিন্ন মাধ্যমে সহযোগিতা নিয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে এনে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হয়। পরে কোনও কাগজপত্র না দেখাতে পারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ডা. মো. আবদুল কাইয়ুম। অভিযান নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদার।

ডা. মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালটি অনুমতি ছাড়া অস্ত্রোপচার, রোগী ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে আসছিল। এ ছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে কোনও ডিউটি ডাক্তার বা কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায়নি। এমন অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’