জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে এক নারীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে হত্যাকারী।
বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত সোমবার রাতে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চরানল গ্রাম থেকে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোহাম্মদ কামরান হোসেনের তত্ত্বাবধানে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খন্দকার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলামসহ বুড়িচং থানার একাধিক দল হত্যা মামলাটি রহস্য উদঘাটনের জন্য তৎপর হয়।
পরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম তন্ময় (২০) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এক পর্যায়ে নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করে সে।
স্বীকারোক্তিতে সে জানায়, আয়েশা বেগম ও তন্ময় সম্পর্কে জেঠি-ভাতিজা। তন্ময়ের মায়ের সঙ্গে আয়েশা বেগমর খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। প্রতিদিনই আয়েশা বেগম তন্ময়দের বাসায় গিয়ে তার মায়ের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। সেই সুবাদে দুই পরিবারের অভ্যন্তরীণ সব কথা একে অন্যের সঙ্গে আলোচনা হতো।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে তন্ময়ের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের এক মেয়ের পরিচয় হয়। পরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে পরিবারকে না জানিয়ে তারা বিয়ে করেন।
পরবর্তীতে মেয়ের পরিবার তাদের সম্পর্ক পারিবারিকভাবে মেনে নেবে এমন আশ্বাস দিয়ে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপরই ডিভোর্স লেটার পাঠায় তন্ময়ের বাড়িতে। এ ঘটনার তন্ময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
তন্ময়ের বিয়ের কথা তার পরিবার ছাড়া কেউ জানতো না। তবে আয়েশা বেগম বিয়ের ব্যাপার নিয়ে প্রতিদিনই তন্ময়কে নানা প্রশ্ন করত যাতে করে বিব্রত হয় তন্ময়। এক পর্যায়ে আয়েশা বেগমের মাধ্যমে বিয়ের বিষয়টি এলাকার মানুষ জেনে যায়। এ নিয়ে তন্ময়ের পরিবারকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আয়েশা বেগমের এমন কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ হয়ে তন্ময় সিদ্ধান্ত নেয় কিছু একটা করার।
গত সোমবার সন্ধ্যায় তন্ময়ের মা আয়েশা বেগমকে ডেকে নিয়ে যায় কথা বলতে। কথা বলে বাসায় ফেরার সময় তন্ময় আয়েশা বেগমের সঙ্গে এসে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page