ফয়সাল মিয়া, কুবি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য সংগঠন ‘থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে’র আয়োজনে অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক উৎসব -২০২৪ এর ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন থিয়েটার কুবির উপদেষ্টা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন ।
থিয়েটার কুবির সভাপতি গুলশান পারভীন সুইটি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড মো.হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার ড. মোহাম্মদ সোলাইমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন, ছাত্র পরামর্শ ও নিদের্শনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, থিয়েটার কুবির সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসিনা বেগম।
আবৃত্তি, বারোয়ারি বিতর্ক, নৃত্য, লোকগীতি ও আধুনিক গান এই পাঁচটি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আবৃত্তিতে প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে রুবাইয়াত তাজবিন, অন্তর রায় ও ফাহমিদা সুলতানা।
বারোয়ারি বিতর্কে প্রথম হয়েছেন রুবাইয়াত তাজবিন, দ্বিতীয় কারিশমা মেহেজাবীন ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন কিফায়াতুল হক।
নৃত্যে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে রুমা রাণী দেবনাথ,উম্মে হাবিবা শান্তা ও রাবেয়া ভূইয়া অন্তু। লোকগীতিতে প্রথম সোহেল রানা, দ্বিতীয় আল আরাফাত আমিন রাফি ও কে এম ইশতিয়াক আহমেদ তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।
আধুনিক গান প্রথম হয়েছেন কেএম ইশতিয়াক আহমেদ, দ্বিতীয় আল আরাফাত আমিন রাফি ও তৃতীয় হয়েছেন অজয় দেবনাথ।
থিয়েটার কুবির সভাপতি গুলশান পারভীন সুইটি বলেন,থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। সেই লক্ষ্যে আমরা প্রতিবছর সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স (সিসিডিএ) এর সহযোগিতায় অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করি। প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমরা গান, নাচ,আবৃত্তিসহ ৫টি সেগমেন্টে প্রতিযোগিতার আয়োজন করি। এই আয়োজনের কার্যক্রম অনেক আগে শুরু হলেও বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগ হচ্ছিল না। কিন্তু সকলের সহযোগিতায় আমরা অবশেষে অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক উৎসব – ২০২৪ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন সংস্কৃতি চর্চা করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন করার চেষ্টা করব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড মো.হায়দার আলী বলেন, সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে আমি এবং আমার প্রশাসন সব সময় সহযোগিতা করবো। এক বছর বা তার চেয়ে একটু বেশি সময়ের মধ্যেই তোমাদের নতুন ক্যাম্পাস চালু হয়ে যাবে। সেখানে বিশ্বমানের মুক্তমঞ্চের ব্যবস্থা করা আছে । সংস্কৃতিমনা মানুষরা নরম মনের হয়ে থাকেন। তারা সমাজের উপকার করেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page