০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা-৯ আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মোঃ শফিকুর রহমান কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনে বিএনপির প্রার্থী কামরুল হুদার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ বুড়িচংয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত স্বপ্নের বুড়িচংয়ের নেতৃত্বে ২৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার, আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস কুবি আন্তঃবিভাগ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এমসিজে ও সিএসই বিভাগ কুমিল্লায় চালু হলো দেশের প্রথম স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি বিপণন ডিপো, সরবরাহ ৪ জেলায় মুরাদনগরে পুলিশের অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৪ কুবি ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন ছাড়িয়েছে ৮০ হাজার, সময় শেষ ৩১ ডিসেম্বর সৌদি আরব পূর্বাঞ্চলের কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা ইয়াকুব চৌধুরীকে চৌদ্দগ্রামে সংবর্ধনা কুমিল্লার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধাওয়ায় পুকুরে লাফিয়ে পড়ে প্রেমিকের মৃত্যু

কুমিল্লায় যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার

  • তারিখ : ০৫:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 60

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পের কমান্ডারকে প্রত্যাহার করেছে সেনাবাহিনী। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

আইএসপিআর বলেছে, গত ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ৩টায় ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের’ ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা থেকে মো. তৌহিদুল ইসলাম (৪০) আটক হন। পরদিন দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক’ ঘটনা তদন্তে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সেনা ক্যাম্পের কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্‌ঘাটনে উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম বন্দরের একটি শিপিং এজেন্টের কর্মী ছিলেন। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের পাঁচথুবী গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তাঁর স্ত্রী ও চার মেয়ে রেখেছেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বাবার মৃত্যুর খবর শুনে গত রোববার বাড়ি আসেন তৌহিদুল। গতকাল শুক্রবার তাঁর বাবার কুলখানি হওয়ার কথা ছিল।

তৌহিদুল ইসলামের ভাই আবুল কালাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর ৩টি গাড়ি ও একটি লাল রঙের গাড়ি বাড়িতে আসে। তৌহিদুল ইসলামের কাছে অস্ত্র আছে— এমন অভিযোগে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় তাঁরা।

আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ভাই কখনই অস্ত্র আনতে পারে না। তার সম্পর্কে আমাদের পুরো এলাকা খুব ভালো করে জানে। আমরা বারবার বলার পরেও তাঁরা আমার ভাইকে নিয়ে যায়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ আমাদের জানায়, তাকে গোমতী পাড়ের গোমতী বিলাশ নামক স্থান থেকে তাঁরা উদ্ধার করেছে। সে নাকি হাসপাতালে আছে। আমরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাঁর লাশ দেখি। তার শরীরে বেদম মারের আঘাতের চিহ্ন আছে।’

যুবদল নেতার মৃত্যুতে জড়িত সেনা সদস্যদের বিচার চেয়েছে বিএনপি। ফেসবুকে পৃথক পোস্ট দিয়েছেন বিএনপি ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার

তারিখ : ০৫:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পের কমান্ডারকে প্রত্যাহার করেছে সেনাবাহিনী। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

আইএসপিআর বলেছে, গত ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ৩টায় ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের’ ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা থেকে মো. তৌহিদুল ইসলাম (৪০) আটক হন। পরদিন দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক’ ঘটনা তদন্তে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সেনা ক্যাম্পের কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্‌ঘাটনে উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম বন্দরের একটি শিপিং এজেন্টের কর্মী ছিলেন। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের পাঁচথুবী গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তাঁর স্ত্রী ও চার মেয়ে রেখেছেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বাবার মৃত্যুর খবর শুনে গত রোববার বাড়ি আসেন তৌহিদুল। গতকাল শুক্রবার তাঁর বাবার কুলখানি হওয়ার কথা ছিল।

তৌহিদুল ইসলামের ভাই আবুল কালাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর ৩টি গাড়ি ও একটি লাল রঙের গাড়ি বাড়িতে আসে। তৌহিদুল ইসলামের কাছে অস্ত্র আছে— এমন অভিযোগে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় তাঁরা।

আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ভাই কখনই অস্ত্র আনতে পারে না। তার সম্পর্কে আমাদের পুরো এলাকা খুব ভালো করে জানে। আমরা বারবার বলার পরেও তাঁরা আমার ভাইকে নিয়ে যায়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ আমাদের জানায়, তাকে গোমতী পাড়ের গোমতী বিলাশ নামক স্থান থেকে তাঁরা উদ্ধার করেছে। সে নাকি হাসপাতালে আছে। আমরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাঁর লাশ দেখি। তার শরীরে বেদম মারের আঘাতের চিহ্ন আছে।’

যুবদল নেতার মৃত্যুতে জড়িত সেনা সদস্যদের বিচার চেয়েছে বিএনপি। ফেসবুকে পৃথক পোস্ট দিয়েছেন বিএনপি ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।