০১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় অটোরিকশা চালকের যমজ ছেলে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

  • তারিখ : ০৬:৩০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১
  • 115

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার অটো রিকশা চালকের যমজ দুই ছেলে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তারা হচ্ছে উপজেলার মানরা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম।

সূত্রমতে,২০১৮সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উপজেলার মান্দারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ -৫ পায় তারা। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ভর্তি হয় কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজে। সেখান থেকেও এইচএসসিতে জিপিএ -৫ পায়। ছেলেদের এমন সফলতায় মা-বাবা ভীষণ খুশি। বাকী দুই ভাই-বোনের মধ্যে সাইফুল ইসলাম মাদ্রাসায় এবং আমেনা আক্তার প্রাইমারি স্কুলে পড়ে। তার আয় দিয়ে চার সন্তানের লেখাপড়ার খরচ সংসার চালাতেন তিনি।

আরিফ ও শরিফ জানান, আরিফ সারা বাংলাদেশে ৮২২ তম হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেলে, শরিফ ১১৮৬ তম হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তারা চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চান। বাবার পরিশ্রম, মায়ের যতœ আর শিক্ষকদের সহযোগিতায় তাদের লেখাপড়ার সাহস যুগিয়েছে। তারা সকলের দোয়া প্রার্থী।

বাবা বিল্লাল হোসেন জানান, নিজে ইন্টারমেডিয়েট পাস করেছি। সিএনজি অটো রিকশা চালাই। অর্থাভাবে লেখাপড়া হয়নি। সেজন্য নিজে কষ্ট করেও তাদের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে ছেলেদের পড়ার খরচ নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় অটোরিকশা চালকের যমজ ছেলে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

তারিখ : ০৬:৩০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার অটো রিকশা চালকের যমজ দুই ছেলে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তারা হচ্ছে উপজেলার মানরা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম।

সূত্রমতে,২০১৮সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উপজেলার মান্দারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ -৫ পায় তারা। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ভর্তি হয় কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজে। সেখান থেকেও এইচএসসিতে জিপিএ -৫ পায়। ছেলেদের এমন সফলতায় মা-বাবা ভীষণ খুশি। বাকী দুই ভাই-বোনের মধ্যে সাইফুল ইসলাম মাদ্রাসায় এবং আমেনা আক্তার প্রাইমারি স্কুলে পড়ে। তার আয় দিয়ে চার সন্তানের লেখাপড়ার খরচ সংসার চালাতেন তিনি।

আরিফ ও শরিফ জানান, আরিফ সারা বাংলাদেশে ৮২২ তম হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেলে, শরিফ ১১৮৬ তম হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তারা চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চান। বাবার পরিশ্রম, মায়ের যতœ আর শিক্ষকদের সহযোগিতায় তাদের লেখাপড়ার সাহস যুগিয়েছে। তারা সকলের দোয়া প্রার্থী।

বাবা বিল্লাল হোসেন জানান, নিজে ইন্টারমেডিয়েট পাস করেছি। সিএনজি অটো রিকশা চালাই। অর্থাভাবে লেখাপড়া হয়নি। সেজন্য নিজে কষ্ট করেও তাদের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে ছেলেদের পড়ার খরচ নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।