০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ছেলে রুটি খুব পছন্দ করতো, ছেলে নেই; এক বছর বাসায় রুটি বানাইনি -শহীদ হামিদুরের মা কুমিল্লা থেকে অপহরণ, মুক্তিপণ না পেয়ে কক্সবাজারে নিয়ে হত্যা: তিন জন গ্রেপ্তার বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে প্রকাশ্যে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা ছয় মাসেও দেশে ফিরল না কুমিল্লার প্রবাসী আকাশের মরদেহ বুড়িচংয়ে খাল দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান শুরু: জনগণের সহযোগিতা চাইলেন ইউএনও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়াকে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে বিদায়ী সংবর্ধনা শাহরাস্তিতে ব্যারিস্টার কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজয় র‍্যালি ব্রাহ্মণপাড়ায় এক মাদকসেবীর কারাদণ্ড ও জরিমানা ব্রাহ্মণপাড়ায় ড্রেজার দিয়ে জলাধার ভরাট, অর্ধলাখ টাকা জরিমানা বাইউস্টে “রিসার্চ এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” আয়োজিত

বুড়িচংয়ে খাল দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান শুরু: জনগণের সহযোগিতা চাইলেন ইউএনও

  • তারিখ : ১০:৫৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
  • 191

জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো পুনরুদ্ধার ও পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের খালগুলোতে কচুরিপানা ও জলজ আগাছা অপসারণ এবং বাঁধ উচ্ছেদের মাধ্যমে খাল দখলমুক্তকরণের গত ২২ জুলাই থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগকে ঘিরে এলাকাজুড়ে চলছে ব্যাপক সাড়া।

উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক মোঃ তানভীর হোসেনের নেতৃত্বে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে। তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন বুড়িচং প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খোরশেদ আলম।

খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে নৌকা নিয়ে বিভিন্ন এলাকার খালের অবস্থা পরিদর্শন করেন ইউএনও মোঃ তানভীর হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনিয়া হক, উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহম্মেদ অক্ষয়, বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী খোরশেদ আলম, সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমেন, ক্রীড়া ও আম্প্যায়ন সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিরা।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর হোসেন বলেন, “মূলত ফসলি জমি ও বাড়িঘরের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং পানি প্রবাহ সচল রাখতেই এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলাবদ্ধতা আসলে মানবসৃষ্ট সমস্যা। তাই সকল মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে খালগুলো পুনরুদ্ধার করে এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। আমি বুড়িচংবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।”

জানা গেছে, বুড়িচং উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ২০৩টি খাল রয়েছে—যার মধ্যে রাজাপুর ইউনিয়নেই রয়েছে ১১০টি খাল। বাকশীমুলে ৩টি, বুড়িচং সদরে ২৬টি, পীরযাত্রাপুরে ৩টি, ষোলনলে ৫টি, ময়নামতিতে ৯টি, ভারেল্লা উত্তর ও দক্ষিণে ১৬টি এবং মোকামে ৩০টি খাল রয়েছে। তবে বাস্তবে এসব খালের অধিকাংশই দখল, ভরাট ও অযত্নে হারিয়ে যেতে বসেছে। কোথাও ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, আবার কোথাও পাকা স্থাপনা গড়ে উঠে খালের চিহ্ন পর্যন্ত মুছে গেছে।

সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলা এবং নিয়মিত পানি প্রবাহ রক্ষার উদ্যোগ না থাকায় খালগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগ এলাকাবাসীর মাঝে আশার সঞ্চার করেছে।

উল্লেখ্য, কুমিল্লার উত্তরের সীমান্তঘেঁষা এ উপজেলাটি ১৬৩.৭৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের। প্রায় তিন লাখ মানুষের বসবাস। খালগুলো উদ্ধার ও পানি প্রবাহ সচল হলে কৃষি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

বুড়িচংয়ে খাল দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান শুরু: জনগণের সহযোগিতা চাইলেন ইউএনও

তারিখ : ১০:৫৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো পুনরুদ্ধার ও পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের খালগুলোতে কচুরিপানা ও জলজ আগাছা অপসারণ এবং বাঁধ উচ্ছেদের মাধ্যমে খাল দখলমুক্তকরণের গত ২২ জুলাই থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগকে ঘিরে এলাকাজুড়ে চলছে ব্যাপক সাড়া।

উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক মোঃ তানভীর হোসেনের নেতৃত্বে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে। তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন বুড়িচং প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খোরশেদ আলম।

খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে নৌকা নিয়ে বিভিন্ন এলাকার খালের অবস্থা পরিদর্শন করেন ইউএনও মোঃ তানভীর হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনিয়া হক, উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহম্মেদ অক্ষয়, বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী খোরশেদ আলম, সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমেন, ক্রীড়া ও আম্প্যায়ন সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিরা।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর হোসেন বলেন, “মূলত ফসলি জমি ও বাড়িঘরের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং পানি প্রবাহ সচল রাখতেই এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলাবদ্ধতা আসলে মানবসৃষ্ট সমস্যা। তাই সকল মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে খালগুলো পুনরুদ্ধার করে এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। আমি বুড়িচংবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।”

জানা গেছে, বুড়িচং উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ২০৩টি খাল রয়েছে—যার মধ্যে রাজাপুর ইউনিয়নেই রয়েছে ১১০টি খাল। বাকশীমুলে ৩টি, বুড়িচং সদরে ২৬টি, পীরযাত্রাপুরে ৩টি, ষোলনলে ৫টি, ময়নামতিতে ৯টি, ভারেল্লা উত্তর ও দক্ষিণে ১৬টি এবং মোকামে ৩০টি খাল রয়েছে। তবে বাস্তবে এসব খালের অধিকাংশই দখল, ভরাট ও অযত্নে হারিয়ে যেতে বসেছে। কোথাও ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, আবার কোথাও পাকা স্থাপনা গড়ে উঠে খালের চিহ্ন পর্যন্ত মুছে গেছে।

সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলা এবং নিয়মিত পানি প্রবাহ রক্ষার উদ্যোগ না থাকায় খালগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগ এলাকাবাসীর মাঝে আশার সঞ্চার করেছে।

উল্লেখ্য, কুমিল্লার উত্তরের সীমান্তঘেঁষা এ উপজেলাটি ১৬৩.৭৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের। প্রায় তিন লাখ মানুষের বসবাস। খালগুলো উদ্ধার ও পানি প্রবাহ সচল হলে কৃষি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।