০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়া যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা কুমিল্লার লাভলী আক্তারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান কক্সবাজারের আনন্দযাত্রা সড়কেই শেষ, কুমিল্লার একই পরিবারের ৫ জন নিহত ক্যান্সার আক্রান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রভা বাঁচতে চায় মুরাদনগরে শিশু আদিবা হত্যার ঘটনায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার কুবিতে রোটারেক্ট ক্লাবের উদ্যোগে ‘স্টাডি অ্যাবরোড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪নং ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা কুমিল্লায় ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ, প্রধান আসামি বাবু গ্রেফতার মুরাদনগরে ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশের আওতায় পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

“নিউজটা ডিলেট করা যায় কি?”-ওসি কোতয়ালি

  • তারিখ : ১২:০৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 1092

স্টাফ রিপোর্টার।।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামীম কুদ্দুছ ভূঁইয়া ট্রাফিকের দায়িত্ব পাওয়ার পর যানজট নিরসন কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে মনোযোগ দেন। কুমিল্লার অন্যতম বড় সমস্যা যানজট নিরসনে স্টকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয় করে শহরে লাগামহীনভাবে চলতে থাকা অবৈধ অটোরিকশা ও ইজিবাইকের বিরুদ্ধে তিনি অভিযান চালান।

এই উদ্যোগে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পেলেও স্বার্থান্বেষী মহলে দেখা দেয় ক্ষোভ। আর সেই ক্ষোভ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামীম কুদ্দুছ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়ে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালায় মহলটি।

এমনি মুহুর্তে জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় “কুমিল্লায় যানজট নিরসনে নেমে রোষানলের শিকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে, এবং প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট পত্রিকার ফেসবুকে আপলোড দেয়া হলে গত ২৮ আগস্ট রাতে এক সাংবাদিকের কাছে কল ও বার্তা দিয়ে সংবাদটি ডিলেট করে দেওয়ার অনুরোধ জানান কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমি কাউকে কোনো নিউজ ডিলেট করতে বলিনি। আমি অন্য একটি নিউজ ডিলেট করার কথা বলেছি”।

এ বিষয়ে যে সাংবাদিককে সংবাদটি ডিলেট করার জন্য ওসি অনুরোধ করেছেন, ওই সাংবাদিকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এই মুহূর্তে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

একদিকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে বিতর্কিত করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামীম কুদ্দুছ ভূঁইয়াকে, অন্যদিকে কুমিল্লার ট্রাফিক অঙ্গনে তাঁর ইতিবাচক ভূমিকা ও যানজট নিরসনের উদ্যোগে ক্ষুব্ধ হয়েছেন একাধিক পক্ষ।

তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায়, এসব ঘটনা কি কেবল কাকতালীয়, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে কোন ব্যক্তি বা মহলের স্বার্থের অদৃশ্য খেলা? সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করছেন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকের হস্তক্ষেপে বেরিয়ে আসতে পারে লুকিয়ে থাকা স্বার্থের অদৃশ্য থলের বিড়াল!

error: Content is protected !!

“নিউজটা ডিলেট করা যায় কি?”-ওসি কোতয়ালি

তারিখ : ১২:০৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামীম কুদ্দুছ ভূঁইয়া ট্রাফিকের দায়িত্ব পাওয়ার পর যানজট নিরসন কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে মনোযোগ দেন। কুমিল্লার অন্যতম বড় সমস্যা যানজট নিরসনে স্টকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয় করে শহরে লাগামহীনভাবে চলতে থাকা অবৈধ অটোরিকশা ও ইজিবাইকের বিরুদ্ধে তিনি অভিযান চালান।

এই উদ্যোগে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পেলেও স্বার্থান্বেষী মহলে দেখা দেয় ক্ষোভ। আর সেই ক্ষোভ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামীম কুদ্দুছ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়ে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালায় মহলটি।

এমনি মুহুর্তে জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় “কুমিল্লায় যানজট নিরসনে নেমে রোষানলের শিকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে, এবং প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট পত্রিকার ফেসবুকে আপলোড দেয়া হলে গত ২৮ আগস্ট রাতে এক সাংবাদিকের কাছে কল ও বার্তা দিয়ে সংবাদটি ডিলেট করে দেওয়ার অনুরোধ জানান কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমি কাউকে কোনো নিউজ ডিলেট করতে বলিনি। আমি অন্য একটি নিউজ ডিলেট করার কথা বলেছি”।

এ বিষয়ে যে সাংবাদিককে সংবাদটি ডিলেট করার জন্য ওসি অনুরোধ করেছেন, ওই সাংবাদিকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এই মুহূর্তে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

একদিকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে বিতর্কিত করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামীম কুদ্দুছ ভূঁইয়াকে, অন্যদিকে কুমিল্লার ট্রাফিক অঙ্গনে তাঁর ইতিবাচক ভূমিকা ও যানজট নিরসনের উদ্যোগে ক্ষুব্ধ হয়েছেন একাধিক পক্ষ।

তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায়, এসব ঘটনা কি কেবল কাকতালীয়, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে কোন ব্যক্তি বা মহলের স্বার্থের অদৃশ্য খেলা? সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করছেন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকের হস্তক্ষেপে বেরিয়ে আসতে পারে লুকিয়ে থাকা স্বার্থের অদৃশ্য থলের বিড়াল!