
সোহরাব হোসেন।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ ১৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, যানবাহন ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার (এসপি) নজির আহমেদ খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি মডেল মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মুরাদনগরের মো. মনির হোসেন (৪০), তার বিরুদ্ধে ২১টি মামলা রয়েছে; দেবিদ্বারের শাহ আলম দুলাল (৪৮), তার নামে ২৬টি মামলা রয়েছে; ব্রাহ্মণপাড়ার মামুন মিয়া (২৪) ও মাহবুব আলম (৩৮); সদর দক্ষিণের আলমগীর হোসেন (৩০); বুড়িচংয়ের মো. আল আমিন (৩২), তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলা; বরুরার কামাল হোসেন (৩২), খোকন (৪০) যার নামে ৯টি মামলা, এবং আল আমিন (২৫); চান্দিনার শরীফ মোশারফ শরীফ (৩২), মো. সুমন (৩৩) যার নামে ১৩টি মামলা, ও মো. সোহেল (২৬) যার নামে ১৫টি মামলা রয়েছে; বাঙ্গরা বাজার থানার মো. আব্দুল আউয়াল (৫০) এবং চাঁদপুরের নিহার বিশ্বাস (৪৮)।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ৪ জোড়া স্বর্ণের দুল, একটি স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া নুপুর, নগদ ২০ হাজার টাকা, একটি হাইএস মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-৫৩-৭১৯৭) এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতরা স্বীকার করেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর লালমাই উপজেলায় ২টি, বরুড়ায় ১টি ও নবীনগরে ১টি ডাকাতির ঘটনা তারা সংঘটিত করেছে।
এসপি নজির আহমেদ খান জানান, “লালমাই উপজেলায় সাম্প্রতিক ডাকাতির ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। বাঙ্গরা বাজার এলাকায় ডাকাতি করতে ব্যর্থ হওয়ার পর তারা দেবিদ্বারে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। তবে পুলিশের সতর্ক অভিযানে তারা ধরা পড়ে।”
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।