০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Although not, the greatest victories into the Playtech’s community provides happened into the most other popular online slots Together with, the latest promise of future discount password products adds an element of expectation to have what exactly is ahead Slots be noticeable due to their vibrant image and enjoyable templates কুবিতে ‘ডাটা গভর্নেন্স অ্যান্ড ইন্টারঅপারেবিলিটি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৮৬ লাখ টাকার ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে আটক দেবিদ্বারে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে ‘ক্লিনিং ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন Free Gambling Enterprise Games for Enjoyable: A Total Guide চৌদ্দগ্রামে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী: পল্লী চিকিৎসক ইয়াছিন আটক কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কিতে জামাতার লাশ; স্ত্রী, দুই পুত্র ও দুই শ্যালক আটক কুমিল্লায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ মাজারে হামলা ভাঙচুর আগুন

কুমিল্লায় শেষ সময়ে চাহিদা বাড়লেও দাম কমেছে প্রতিমার

  • তারিখ : ০৫:১৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • 12

নেকবর হোসেন।।
আগামী মাসে ১১ অক্টোবর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গা পূজা। হাতে মাত্র কিছুদিন বাকি। করোনা মহামারিতে লকডাউন থাকা না থাকা নিয়ে আগ থেকেই তেমন প্রস্তুতি ছিলো না অনেকের। লকডাউন উঠে গেলে পূজার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে অনেকেই।

শেষ সময়ে প্রতিমার চাহিদা বাড়লেও দাম কমেছে প্রতিমার। প্রতিমা কিনতে প্রতিমা বিক্রেতার দ্বারে দ্বারে ঘুরছে পূজা আয়োজকরা। তবে হাতে সময় কম থাকায় প্রতিমার অর্ডার নিচ্ছেন না অনেক কারিগর। এ নিয়ে অস্বস্থিতে রয়েছে আয়োজকরা। নগরীর ঠাকুরপাড়ার কালীগাছতলা মন্দিরের আঙিনায় প্রতিমা তৈরী করেন রমেশ পাল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবারই দূর্গাপূজার শেষে অনেকেই পুনরায় প্রতিমার অর্ডার দিয়ে দেন। অনেকেই পূজার ৩/৫ মাস আগে অর্ডার দেন। তখন আমরা আমাদের মনের মত করে এগুলো তৈরী করি কিন্তু গতবার করোনার কারনে এই দুই বছর সব এলামেলো।

অনেকেই ভেবেছিলো পূজায় লকডাউন থাকবে, যে কারণে অনেকেই আগে থেকে প্রতিমার কথা বলেন নি। এবার লকডাউন ছেড়ে দেয়ায় হুট করে অনেকেই প্রতিমা বানানোর কথা বলছেন। প্রতি পূজোর জন্য দূর্গা, লক্ষী, স্বরসতী, গনেশ, কার্তিকসহ কয়েকটি দেবতা নিয়ে একটি মন্ডপ তৈরী হয়। এত অল্প সময়ে এসব প্রতিমা বানানো খুব কষ্টকর। প্রতিমা কারিগর সংকর পাল বলেন, অন্যান্যবার সময় নিয়ে আমরা কাজ করতাম। এবার শুরুতে তেমন কাজ ছিলো না। লকডাউন উঠে গেলে হুট করেই প্রতিমার চাহিদা বাড়ছে। চাহিদা থাকলেও আমরা অর্ডার নিতে পারছিনা না, সময়মত সরবরাহ করতে পারবো না বলে। যাদের অর্ডার নিয়েছি তাদেরগুলো সময় মত বুঝিয়ে দিতে চেষ্টা করছি। প্রতিমা কারিগর সুকুমার পাল বলেন, চাহিদা রয়েছে অনেক কিন্তু কম দামে প্রতিমা চান সবাই ।

গতবার যে প্রতিমা ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি, সেটা দাম দিতে চাচ্ছে ২০ হাজার টাকারও কম। প্রতি প্রতিমায় পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে প্রতিমা বানানোর কাঁচামালের দাম তো কমেনি। নগরীর কান্দিরপাড়ের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠিনের চাকুরীজীবি বিপুল কুমার রায় বলেন, করোনা মহামারির কারনে মানুষের অবস্থা তেমন ভালনা। আগে পাঁচ দিনের পূজার ছোট আয়োজনে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা খরচ হতো। এখন তা কমিয়ে দুই লক্ষ টাকায় আনা হয়েছে। আগে আমি পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছি। এবার দিলাম তিন হাজার টাকা। সীমিত বাজেট দিয়ে শেষ করতে হবে পূজোর আয়োজন।

নগরীর ঠাকুরপাড়া পালপাড়ার দূর্গা পূজার আয়োজক পাগল সংঘের সহ-সভাপতি তপন পাল বলেন, আগামী ৮, ৯, ১০ ও ১১ অক্টোবর হচ্ছে শারদীয় পূজা। প্রতি বছরই পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা বাজেট নিয়ে দূর্গা উৎসব করা হয়। এবার করোনায় লকডাউন উঠে যাওয়ায় আমরা পূজোর আয়োজন করছি। তবে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার কারনে হয়তো কম বাজেটে তা করতে হবে। পূঁজোর চাঁদা যাই উঠোক বাকি টাকা আমরা দিয়ে সুন্দরভাবে পুজা সম্পন্ন করবো আশা করি।

কালী গাছতলা কালী বেদী ও শিবের মন্দির পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বরুন চক্রবর্ত্তী বলেন, গতবারের চেয়ে এবার পূজার চাহিদা বেড়েছে। লকডাউন উঠে যাওয়ায় গত কয়েকদিনে হঠাৎ করেই বেড়েছে প্রতিমার চাহিদা। একসাথে এত প্রতিমা তৈরী নিয়ে হিমশিমই খেতে হচ্ছে কারিগরদের। দামে না মেলায় অনেকেই ছোট আকৃতির প্রতিমা বানানোর জন্যও বলছেন কারিগরদের। জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল পাল জানান, গতবছর করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের কারনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই উৎসব সীমিত করা হয়েছিলো। পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ৭২৯টি মন্ডপে। এবার সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় শেষ সময়ে চাহিদা বাড়লেও দাম কমেছে প্রতিমার

তারিখ : ০৫:১৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

নেকবর হোসেন।।
আগামী মাসে ১১ অক্টোবর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গা পূজা। হাতে মাত্র কিছুদিন বাকি। করোনা মহামারিতে লকডাউন থাকা না থাকা নিয়ে আগ থেকেই তেমন প্রস্তুতি ছিলো না অনেকের। লকডাউন উঠে গেলে পূজার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে অনেকেই।

শেষ সময়ে প্রতিমার চাহিদা বাড়লেও দাম কমেছে প্রতিমার। প্রতিমা কিনতে প্রতিমা বিক্রেতার দ্বারে দ্বারে ঘুরছে পূজা আয়োজকরা। তবে হাতে সময় কম থাকায় প্রতিমার অর্ডার নিচ্ছেন না অনেক কারিগর। এ নিয়ে অস্বস্থিতে রয়েছে আয়োজকরা। নগরীর ঠাকুরপাড়ার কালীগাছতলা মন্দিরের আঙিনায় প্রতিমা তৈরী করেন রমেশ পাল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবারই দূর্গাপূজার শেষে অনেকেই পুনরায় প্রতিমার অর্ডার দিয়ে দেন। অনেকেই পূজার ৩/৫ মাস আগে অর্ডার দেন। তখন আমরা আমাদের মনের মত করে এগুলো তৈরী করি কিন্তু গতবার করোনার কারনে এই দুই বছর সব এলামেলো।

অনেকেই ভেবেছিলো পূজায় লকডাউন থাকবে, যে কারণে অনেকেই আগে থেকে প্রতিমার কথা বলেন নি। এবার লকডাউন ছেড়ে দেয়ায় হুট করে অনেকেই প্রতিমা বানানোর কথা বলছেন। প্রতি পূজোর জন্য দূর্গা, লক্ষী, স্বরসতী, গনেশ, কার্তিকসহ কয়েকটি দেবতা নিয়ে একটি মন্ডপ তৈরী হয়। এত অল্প সময়ে এসব প্রতিমা বানানো খুব কষ্টকর। প্রতিমা কারিগর সংকর পাল বলেন, অন্যান্যবার সময় নিয়ে আমরা কাজ করতাম। এবার শুরুতে তেমন কাজ ছিলো না। লকডাউন উঠে গেলে হুট করেই প্রতিমার চাহিদা বাড়ছে। চাহিদা থাকলেও আমরা অর্ডার নিতে পারছিনা না, সময়মত সরবরাহ করতে পারবো না বলে। যাদের অর্ডার নিয়েছি তাদেরগুলো সময় মত বুঝিয়ে দিতে চেষ্টা করছি। প্রতিমা কারিগর সুকুমার পাল বলেন, চাহিদা রয়েছে অনেক কিন্তু কম দামে প্রতিমা চান সবাই ।

গতবার যে প্রতিমা ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি, সেটা দাম দিতে চাচ্ছে ২০ হাজার টাকারও কম। প্রতি প্রতিমায় পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে প্রতিমা বানানোর কাঁচামালের দাম তো কমেনি। নগরীর কান্দিরপাড়ের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠিনের চাকুরীজীবি বিপুল কুমার রায় বলেন, করোনা মহামারির কারনে মানুষের অবস্থা তেমন ভালনা। আগে পাঁচ দিনের পূজার ছোট আয়োজনে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা খরচ হতো। এখন তা কমিয়ে দুই লক্ষ টাকায় আনা হয়েছে। আগে আমি পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছি। এবার দিলাম তিন হাজার টাকা। সীমিত বাজেট দিয়ে শেষ করতে হবে পূজোর আয়োজন।

নগরীর ঠাকুরপাড়া পালপাড়ার দূর্গা পূজার আয়োজক পাগল সংঘের সহ-সভাপতি তপন পাল বলেন, আগামী ৮, ৯, ১০ ও ১১ অক্টোবর হচ্ছে শারদীয় পূজা। প্রতি বছরই পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা বাজেট নিয়ে দূর্গা উৎসব করা হয়। এবার করোনায় লকডাউন উঠে যাওয়ায় আমরা পূজোর আয়োজন করছি। তবে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার কারনে হয়তো কম বাজেটে তা করতে হবে। পূঁজোর চাঁদা যাই উঠোক বাকি টাকা আমরা দিয়ে সুন্দরভাবে পুজা সম্পন্ন করবো আশা করি।

কালী গাছতলা কালী বেদী ও শিবের মন্দির পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বরুন চক্রবর্ত্তী বলেন, গতবারের চেয়ে এবার পূজার চাহিদা বেড়েছে। লকডাউন উঠে যাওয়ায় গত কয়েকদিনে হঠাৎ করেই বেড়েছে প্রতিমার চাহিদা। একসাথে এত প্রতিমা তৈরী নিয়ে হিমশিমই খেতে হচ্ছে কারিগরদের। দামে না মেলায় অনেকেই ছোট আকৃতির প্রতিমা বানানোর জন্যও বলছেন কারিগরদের। জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল পাল জানান, গতবছর করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের কারনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই উৎসব সীমিত করা হয়েছিলো। পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ৭২৯টি মন্ডপে। এবার সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।