মুরাদনগর প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নিমাইকান্দি একটি দু’তলা বাড়ির ফ্লাট বাসা থেকে পতিতা ব্যবসায়ী বিল্লালসহ চারজনকে আটক করেছেন মুরাদনগর থানা পুলিশ। শনিবার সন্ধায় তাদের গ্রেফতার করে রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পতিতা ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন উপজেলা সদরের দক্ষিণ পাড়ার ফরিদ মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রিরী ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের অনুসারী, সোস্যাল মিডিয়ায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের একাধিক নেতার সাথে বিল্লালের বিভিন্ন মূহর্তের ছবি পাওয়া যায়।
সূত্রে জানা যায়, পতিতা ব্যবসায়ী বিল্লাল দীর্ঘদিন লিজা নামে আরেক পতিতা ব্যবসায়ীর সাথে মিলে ব্যবসা করে আসছিল। তাদের মধ্যে ভাগ নিয়ে বনাবন্তি না হওয়ায় বিল্লাল উপজেলার জাহাপুর গ্রামের পতিতা রাবেয়া আক্তারকে বেছে নেয়। দুজনে মিলে উপজেলার আবাসিক এলাকা নগরপাড়, মুরাদনগর, নিমাই কান্দিসহ বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে এই ব্যবসা করে শুরু করেন।
নিমাই কান্দি বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় রাবেয়া আক্তার (২০) কে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসায় উঠে। তারপর থেকে ওই বাসায় বিভিন্ন রঙের লোক আসা যাওয়া করতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে শনিবার বিকালে তারা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশের এসআই বোরহান উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই বাড়ির দু’তলার ফ্লাটে অভিযান চালিয়ে ব্যবসার মূলহোতা বিল্লাল ও রায়েবাসহ মোট চারজনকে আটক করেন। অপর দুইজনের মধ্যে খদ্দর ওয়াসিম সে তিতাস উপজেলার আফজাল কান্দি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ও পতিতা ব্যবসায়ী জুলেখা সে দেবিদ্বার থানা মরিচা গ্রামের গ্রামের মজিবুর রহমান ভ’ইয়ার স্ত্রী।
কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব ও মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর বলেন, বিল্লাল স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেউ না। আমি যে হেতু জনপ্রিয় নেতা সেহেতু অনেক লোক আমার সাথে ছবি তুলতে পারে। আমি কেউকে আশ্রয় কিংবা প্রশ্রয় দেইনা।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃ সাদেকুর রহমান বলেন, শনিবার বিকালে উপজেলার নিমাইকান্দি এলাকা থেকে বিল্লালসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তারা পতিতা ব্যবসার সাথে জরিত থাকার সত্যতা স্বীকার করেছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page