১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় উল্টো পথে আসা পিকআপে ধাক্কা, মোটরসাইকেল চালক নিহত কুমিল্লা নিউজের প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ কুমিল্লায় বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে আহত এক নারীসহ ২ জনের মৃত্যু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে মব তৈরি করে ৩ সাংবাদিক হেনস্তা ব্রাহ্মণপাড়ায় স্কুল পরিদর্শনে ইউএনও, ক্লাস নিলেন শিক্ষার্থীদের কুমিল্লায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন আহত; ২ জনের হাত-পা বিচ্ছিন্ন কুমিল্লায় সেনা অভিযানে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক, বিপুল অস্ত্র-সামগ্রী জব্দ জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের বর্ণাঢ্য র‍্যালী মুরাদনগরে অগ্নিকাণ্ডে দোকান পুড়ে ছাই, ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি কুমিল্লায় বাল্যবিয়ের খবর বিয়ে বাড়ীতে অভিযান; বরের বাবাকে জরিমানা

কুমিল্লা সিটি মেয়রের পিএসসহ ১৩জনের পাঁচদিন করে রিমান্ড

  • তারিখ : ০৯:৪৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
  • 14

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় সিটি মেয়রের (পিএস) মইনুদ্দিন আহমেদ বাবুসহ গ্রেপ্তার ১২ জনকে পাঁচদিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক চন্দন কান্তি নাথ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে রিমান্ডের আদেশ দেন।

নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম।

তিনি বলেন, আমরা আদালতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করি। পরে বিচারক তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম খান জানান, বাবুর বিরুদ্ধে ভাঙচুর, নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী পুলিশ, অন্যটির বাদী পূজা ব্যবস্থাপনার আহ্বায়ক তরুণ কান্তি মোদক মিথুন।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর শনিবার গভীর রাতে সাজেক থেকে মইনুদ্দিন আহমেদ বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন পুলিশের মামলার আরও ১২ আসামিকে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়,গত ১৩ অক্টোবর পূজামণ্ডপে হামলার পরে পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান বাবু।

কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার পর সহিংসতা শুরুর জন্য তাকে অভিযুক্ত করেছেন এলাকাবাসী ও মণ্ডপসংশ্লিষ্টরা।

তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক বাহিনীর কর্মকর্তারাও বলছেন, মণ্ডপে কোরআন রাখায় ইকবাল হোসেন প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেও ১৩ অক্টোবর সকালে সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে তৎপর ছিলেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে মঈনুদ্দীন আহমেদ বাবু অন্যতম।

মণ্ডপে সহিংসতার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন অভিযোগ করেন, কোরআন পাওয়া নিয়ে উত্তেজনা শুরুর পর বাবু প্রথম একটি প্রতিমা ভাঙচুর করেন। এর পরেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উত্তেজনা শুরুর পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিএনপি থেকে সিটি মেয়র। হামলা শুরুর পর পুলিশ তার পিএস বাবুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলেও মেয়র তাকে ছাড়িয়ে নেন।

নানুয়ার দিঘির পাড়ের ওই মণ্ডপে চলে ব্যাপক ভাঙচুর, আক্রান্ত হয় নগরীর আরও বেশকিছু পূজামণ্ডপ।পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে চাঁদপুর, নোয়াখালী,চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।

error: Content is protected !!

কুমিল্লা সিটি মেয়রের পিএসসহ ১৩জনের পাঁচদিন করে রিমান্ড

তারিখ : ০৯:৪৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১

নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় সিটি মেয়রের (পিএস) মইনুদ্দিন আহমেদ বাবুসহ গ্রেপ্তার ১২ জনকে পাঁচদিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক চন্দন কান্তি নাথ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে রিমান্ডের আদেশ দেন।

নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম।

তিনি বলেন, আমরা আদালতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করি। পরে বিচারক তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম খান জানান, বাবুর বিরুদ্ধে ভাঙচুর, নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী পুলিশ, অন্যটির বাদী পূজা ব্যবস্থাপনার আহ্বায়ক তরুণ কান্তি মোদক মিথুন।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর শনিবার গভীর রাতে সাজেক থেকে মইনুদ্দিন আহমেদ বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন পুলিশের মামলার আরও ১২ আসামিকে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়,গত ১৩ অক্টোবর পূজামণ্ডপে হামলার পরে পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান বাবু।

কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার পর সহিংসতা শুরুর জন্য তাকে অভিযুক্ত করেছেন এলাকাবাসী ও মণ্ডপসংশ্লিষ্টরা।

তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক বাহিনীর কর্মকর্তারাও বলছেন, মণ্ডপে কোরআন রাখায় ইকবাল হোসেন প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেও ১৩ অক্টোবর সকালে সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে তৎপর ছিলেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে মঈনুদ্দীন আহমেদ বাবু অন্যতম।

মণ্ডপে সহিংসতার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন অভিযোগ করেন, কোরআন পাওয়া নিয়ে উত্তেজনা শুরুর পর বাবু প্রথম একটি প্রতিমা ভাঙচুর করেন। এর পরেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উত্তেজনা শুরুর পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিএনপি থেকে সিটি মেয়র। হামলা শুরুর পর পুলিশ তার পিএস বাবুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলেও মেয়র তাকে ছাড়িয়ে নেন।

নানুয়ার দিঘির পাড়ের ওই মণ্ডপে চলে ব্যাপক ভাঙচুর, আক্রান্ত হয় নগরীর আরও বেশকিছু পূজামণ্ডপ।পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে চাঁদপুর, নোয়াখালী,চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।