জহিরুল হক বাবু।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকায় সিমেন্টবাহী লরির নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় হানিফ পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ পদুয়ার বাজার ইউটার্ন।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন—বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। নিহতদের মধ্যে আবুল হাশেমই প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন।
নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় হানিফ পরিবহনের চালক ও সিমেন্টবাহী লরির অজ্ঞাতনামা চালকদের আসামি করা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম বলেন, “আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।”
দুর্ঘটনার পর শনিবার দুপুরে সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ ও সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে বিকেল ৫টার দিকে পদুয়ার বাজার ইউটার্নটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন থেকে মহাসড়কের সব যানবাহন সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর এলাকায় থাকা ইউটার্ন ব্যবহার করবে।
সওজ-এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান জানান, ইউটার্নটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বিত সভায় নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানান, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ইউটার্নের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে থাকেন যাত্রীরা।