নিজস্ব প্রতিবেদক।।
দেশে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়েছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) কুমিল্লা মহানগরীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজে আলোচনা সভা ও এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা এবং শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীসহ সকলের শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত এ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবুল হোসেন। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।শোভাযাত্রায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
পরে কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ প্রফেসর শান্তিরঞ্জন ভৌমিক। কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবুল হোসেন বক্তব্য রাখেন কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আবু নাঈম আল মামুন, অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক নার্গিস আফরোজ, গনিত বিভাগের প্রভাষক কাজী মোহাম্মদ ফারুক, চারুকারু কলা বিভাগের প্রভাষক ঝুমুর দাশ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রভাষক মায়মুন শরীফ রায়হান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ প্রফেসর শান্তিরঞ্জন ভৌমিক বলেন, শিক্ষকরা জাতি গঠনের কারিগর। একজন শিক্ষার্থী ক্লাসে যখন একজন শিক্ষকের বক্তব্য শোনে তখন সে শুধু বক্তব্যই শোনে না, শিক্ষকের প্রতিটি জিনিস সে অনুসরণ করে এবং তার মনের মধ্যে একজন আদর্শিক ব্যক্তিত্ব তৈরি করে। শিক্ষকদের দেখে শিক্ষার্থীরা যেন সেই আদর্শ ব্যক্তিত্বের দেখা পায়, আজকের এই শিক্ষক দিবসে সব শিক্ষকের মধ্যে এই জিনিসটি জাগ্রত হোক তিনি সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, সমাজে সকল পেশা মধ্যে এখনো শিক্ষকের মর্যাদা বেশি। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার,বিজ্ঞানী সবারই মৃত্যু ঘটে কিন্তু একজন আদর্শ শিক্ষকের কখনো মৃত্যু হয় না। তিনি বেঁচে থাকেন অসংখ্য শিক্ষার্থীদের মাঝে।
কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, ১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপনে ইউনেস্কোর যে ঘোষণা, তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবারই প্রথম বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে শিক্ষক দিবস পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা ও সম্মান যে বৃদ্ধি পেয়েছে এই দিবস পালনের মাধ্যমে সেটি প্রতিষ্ঠিত হলো। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই শিক্ষক দিবসে আমি সর্বপ্রথম সেইসব শিক্ষকদের স্মরণ করছি, যাদের হাতে আমার প্রথম বর্ণমালা ও প্রথম অক্ষরটি শিখেছি।